আমাদের রূপকথার গল্পের নায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার জন্ম নড়াইল জেলায়, ১৯৮৩ সালের অক্টোবরের ৫ তারিখ।দলের অন্যতম বোলিং স্তম্ভ, তিনি ডান হাতি ব্যাটসম্যান। তার ডাক নাম কৌশিক । কৌশিক থেকে মাশরাফি হয়ে ওঠার গল্প টা রুপকথা কে হার মানায়। একজন ক্রিকেটার একটা দেশের ক্রিকেট কে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, ক্রিকেট ভক্ত দের উত্তেজনার পারদ কতটা উচুতে ঊঠাতে পারে তা আমাদের মাশরাফি ,আমাদের নড়াইল এক্সপ্রেস মাঠে নামলেই বোঝা যায়। যখন তিনি সামনে থাকেন, পেছনে টাইগার রা, তখন বুকের ভেতরটায় কোথায় যেন একটা শিহরন জাগে।
৮ নভেম্বর ২০০১ সালে ম্যাশ এর টেস্ট অভিষেক হয় জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে। বাংলাদেশের টেস্ট অভিষেক এর পর পরি টেস্ট আঙ্গিনায় পা রাখেন কৌশিকি । আমাদের ম্যাশ বস। ম্যাশ তার প্রথম ম্যাচ টি খেলার আগেই খবরের পাতায় জায়গা করে নিয়েছিলেন তার গতির জন্যে। বাংলাদেশের পেস শূন্যতাপূরণের ভার তার হাতেই পরতে যাচ্ছে, এটা হয়ত তারই আগমনি বার্তা। হালকা গড়নের ছেলেটার, ঠোটের কোনে বাকানো হাসিটা প্রথম দেখাতেই মায়ার জন্ম দেয়।মাশরাফির ইতিহাস গড়ার শুরু জাতিয় দলে ঢুকেই। প্রথম শ্রেনীর ম্যাচ না খেলেও টেস্ট দিয়ে হাতে গোনা যে কজন ক্রিকেটার এর যাত্রা হয়েছিল কৌশিক ঢুকে গেলেন সেই ছোট্ট লিস্ট টায়। গতির ঝড় তোলা কৌশিক রাতা রাতি হয়ে উঠলেন মাশরাফি।টেস্ট ক্রিকেটের সর্ব কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ একজন সত্যিকারের পেসার খুজছিল তখন। অ্যান্ডি রবার্টস ,ওয়েস্ট ইন্ডিজ এর এই কিংবদন্তির নজরের আসা মাশরাফি হলেন শেষ পর্যন্ত পাওয়া সেই অমূল্য রত্ন, একজন জেনুইন পেস বলার। তাকে নিয়ে প্রত্যাশার পারদ উপরে উঠছিল, ম্যাশ ও বুঝিয়ে দিলেন তিনি প্রত্যাশার ভারে নুয়ে পড়ার জন্যে আসেন নি।নিজের প্রথম শিকার বানালেন জিম্বাবুয়ের গ্র্যান্ড ফ্লাওয়ার কে।
মাশরাফিকে নিয়ে আরো লেখনী পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে
একজন ম্যাশ, একজন গুরু ,একজন নেতা
রেফারেন্স en.wikipedia.org