বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর জন্ম  

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
বিশ্বনবী, হযরত, মুহাম্মদ (সাঃ), এর, জন্ম

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম  – ( ১২ রবিউল আউয়াল   )আজ হতে ১ হাজার ৪৪৮ বছর আগে ১২ রবিউল আউওয়ালে  আরবের মরু প্রান্তরে ধরনী আলোকিত করে  জন্মেছিলেন, বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সর্বশেষ নবী  বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) । 

প্রথম কখন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নামের সাথে পরিচয় মনে নেই। হয়ত একদিন হঠাৎ করেই বুঝলাম ইনি আমাদের নেতা। এমন নেতা যার আদর্শ আমাদের শিক্ষা দেয় জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমাদের করনীয় সম্পর্কে।   

কেমন ছিলো সে সময়টা যখন ধরনীর বুকে ধরনীর ত্রানকর্তার জন্ম হলো? সম্পূর্ন পৃথিবী যার অপেক্ষায় ছিলো, পৃথিবীর সকল অণুভুতিতে যার আগমনি বার্তা ছিলো  সেই মহা-মানবের আবির্ভাবের সময়টা কতই না পুন্যবান ছিলো। মহান আল্লাহর কাছে দিনের আকুতি ছিলো যেন দিনের আলো থাকতে থাকতে বিশ্বনবীর জন্ম হয়, রাতের নিবেদন ছিলো যেন রাত্রি বিলীন হওয়ার আগেই শিশু মোহাম্মাদের জন্ম হয়।সুভে-সাদিকের সময় বিশ্বনেতার জন্ম হলো।দিন-রাত্রি উভয়ের সন্ধিক্ষণে !  তিনি ছিলেন বিশ্বের জন্য এক  মুক্তির কন্ঠ!

আব্দুল মুত্তালিবের পুত্র-বধুর গর্ভ থেকে উদিত হলো বিশ্ব-মুক্তির মহা-নায়ক, শান্তির বার্তা-বাহক শিশু মুহাম্মদের।  পবিত্রতার আলোয় আলোকিত হলো পৃথিবী। যতটুকু জানা যায় মুহাম্মদের জন্মের পূর্বে তাঁর মার কষ্ট লাঘব হয়েছিলো। যেখানে একজন সন্তান জন্ম দিতে একজন মায়ের সত্তা কষ্টে জর্জরিত হয়,সেখানে বিশ্ব নবীর জন্মের পূর্বে যেন তাঁর মাতার সকল দুখ,কষ্ট লাঘব হয়ে গেলো! এক অনাবিল আনন্দে ভরে উঠলো মন।

বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর জন্ম ৫৭০ খৃষ্টাব্দে । পৃথিবী তৃষ্ণার্থ নয়েনে অপেক্ষায় ছিলো।  এই পৃথিবী সময়ের আবর্তে অনেক নয়নাভিরাম দৃশ্যই হয়ত দেখেছে, কিন্দু যে মুহুর্তে হযরত মুহাম্মদ (সা:) এই ধরনীতে পদার্পন করেছিলেন,সে অদ্বিতীয় মুহুর্ত পৃথিবী এর আগে দেখেনি। ।সেই সুবহে সাদিকের মুহুর্ত ছিল কল্যানময় যা সম্পুর্ন পৃথিবীর ও সৃষ্টিকুলের জন্যে মুক্তির বার্তা বয়ে এনেছিল।  যতই বিশ্বনবীর জন্মের দিন ঘনিয়ে আসছিল, মা আমেনা অধিকতর প্রশান্তি অনুভব করছিলেন।গর্ভবতী হওয়ার কারনে তাঁর শারীরীক অসুস্থতা যেন ক্রমশ মিলিয়ে যাচ্ছিলো।

 আব্দুল মুত্তালিবের তখন বয়স হয়েছে বেশ।   আব্দুল মুত্তালিব কা’বা ঘরে তাঁর সাথিদের সাথে বসে কথা বলছিলেন। সে সময় একজন তাকে  সু সংবাদ দিলো যে তাঁর পুত্র বধূ চাঁদের মতই সুন্দর এবং উজ্জ্বল  এক পুত্র সন্তান প্রসব করেছেন। আব্দুল মুত্তালিবের মন খুশিতে পরিপূর্ণ হয়ে  উঠলো,তিনি ছুটে গেলেন তাঁর নাতি কে দেখতে।আবদুল মুত্তালিবের  চোখে ভেসে উঠলো চির দিনের জন্যে হারিয়ে যাওয়া আব্দুল্লাহর সুন্দর মুখ খানা। আবদুল মুত্তালিবের নয়ন অশ্রুসজল হয়ে উঠলো।সন্তান হারা পিতার অন্তর কেঁদে উঠলো। তাঁর নাতি , অবোধ শিশু কোন দিন তাঁর পিতার(আব্দুল্লাহ এর) আদর,ভালোবাসা কি জিনিশ পাবেনা। সপ্তম দিনে আকিকা করে নাম রাখা হলো মুহাম্মদ ।মুহাম্মদ নামের অর্থ চরম প্রশংসিত।মা আমেনা শিশু মুহাম্মদের নাম রাখলেন আহমাদ,তিনি স্বপ্নে এ নাম রাখার জন্যে আদেশ প্রাপ্ত হয়েছিলেন।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন