জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর শিক্ষাজীবন ও জন্মকথা

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
M_A_G_Osmani, বাংলাদেশ

জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী-এর  শিক্ষা ও জন্ম  –

তাঁর সম্পূর্ন নাম মুহম্মদ আতাউল গনি ওসমানী ( জন্ম  -১ সেপ্টেম্বর ১৯১৮ -মৃত্যু-  ১৬ ফেব্রুয়ারি১৯৮৪)  । তবে তিনি জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী ওসমানী নামে বহুল পরিচিত।   বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সাথে তাঁর নাম জড়িয়ে আছে প্রত্যক্ষভাবে।  তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিবাহিনী এবং  সেনাবাহিনীর  ও প্রধান সেনাপতি।  তাঁর পদমর্যাদার সাথে জড়িত উপাধি সমূহ হলোঃ জেনারেল, বঙ্গবীর, বঙ্গবাহাদুর এবং বীর উত্তম।  তিনি জড়িত ছিলেন ২য় বিশ্বযুদ্ধ, ১৯৪৭ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ, ,১৯৬৫ সালের ভারত পাকিস্তান যুদ্ধ এবং সর্বশেষ ১৯৭১ এর বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাথে।

 

জন্মঃ 

জন্ম হয় ১৯১৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর,   সিলেটের সুনামগঞ্জে।  পৈতৃক সূত্রে তাঁর বাড়ি সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানায়  দয়ামীরে।  বালাগঞ্জ থানার বর্তমান নাম ওসমানী নগর উপজেলা। তাঁর পিতার নাম খান বাহাদুর মফিজুর রহমান।  মায়ের নাম জোবেদা খাতুন।জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানী পরিবারের দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার ছোট।  ওসমানীর জন্মের আগে খানবাহাদুর মফিজুর রহমান আসামে অবস্থিত সুনামগঞ্জ সদর মহকুমায় সাব-ডিভিশনাল অফিসার ছিলেন। এখানেই জন্ম হয় জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর।

 

পিতার কর্মস্থলের পরিবর্তনের সাথে সাথে ওসমানীরো শিক্ষাকেন্দ্র পরবর্তন হত। ওসমানীর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।  ওসমানীর বাবাকে বদলির আদেশ নিয়ে সুনামগঞ্জ থেকে চলে যেতে হয় গোহাটিতে, সেখানেই শুরু হয় জেনারেল এম. এ. জি. ওসমানীর প্রাথমিক শিক্ষা জীবন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়  “কটনস স্কুল অব আসাম” এ, তিনি এখানে  ভর্তি হন ১৯২৩ সালে। শিক্ষা ক্ষেত্রে তিনি মনযোগী ছিলেন। আর এর প্রমান প্রতিটি পরীক্ষায় তাঁর প্রথম হয়া। ১৯৩২ সালে সিলেটের  “সিলেট গভর্নমেন্ট পাইলট হাইস্কুলে” ভর্তি হন ।    সিলেটের সরকারী উচ্চবিদ্যালয় থেকে মেট্রিক পাশ করেন ১৯৩৪ সালে।  সমগ্র ব্রিটিশ ভারতে তিনি প্রথম স্থান অধিকার করেন। তাঁর এই অনন্য কৃতিত্বের জন্য ব্রিটিশ সরকার তাকে প্রাইওটোরিয়া পুরুস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানীত করেন ।  এর পর ওসমানীর পরবর্তি অধ্যয়ন জীবন শুরু হয় আলীগড়  মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে । জেলারেল অসমানী আলীগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন  ১৯৩৮ সালে।  এভাবেই ওসমানীর শিক্ষাজীবনের পাঠ শেষ হয়  এবং তিনি প্রবেশ করেন কর্মজীবনে। যোগদেন সেনাবাহিনীতে।   

 

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

1
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

1