রকিব হাসান আমার কৈশোরের ভালো লাগার নাম। রকিব হাসান বলতেই মনে আসে প্রথমেই “তিন গোয়েন্দা”র কথা। সুক্ষ বুদ্ধির কিশোর , বই পোকা রবিন মিলফোর্ড আর নিগ্রো মুসার কথা। যদিও রকিব হাসানের শুরুটা তিন গোয়েন্দা দিয়ে হয় নি। আসুন জেনে ই রকিব হাসান সম্পর্কে কিছু কথা।
রকিব হাসানের জন্ম ১৯৫০ সালে কুমিল্লায়। তবে তিনি তাঁর লেখনির মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছে সারা বাংলাদেশের লাখো লাখো পাঠকের মনে। তাঁর বিশেষ পরিচয় গোয়েন্দা কাহিনীর লেখক হিসেবে , বিশেষ করে বলতে গেলে তিন গোয়েন্দার জন্যে তিনি একনামে পরিচিত। নিশ্চই তিন গোয়েন্দার পাঠকদের মনে আছে মাছির সার্কাস আর হারানো তিমির কথা। গ্রেট কিশোরিয়াসো নিশ্চই অনেকেই আমার মত লুকিয়ে পড়েছেন। অভিশপ্ত লকেটের কথা মনে পরলে এখনো শিহরন জাগে ।
থ্রিলার ও গোয়েন্দা গল্প লেখার পূর্বে তিনি রহস্যপত্রিকার সহকারী সম্পাদক ছিলেন। তিনি জাফর চৌধুরী ছদ্ম নামেও সেবা প্রকাশনীর রোমহর্ষক সিরিজ লিখে থাকেন। তাঁর প্রথম বই প্রকাশিত হয় ১৯৭৭ সালে , ছদ্ম নামে। নিজের নামে তাঁর প্রথম বই বের হয় ,যেটি একটি অনুবাদ গ্রন্থ । বইটি হলো ব্রাম স্টোকারের ড্রাকুলা। মনে আছে নিশ্চই সেই রক্ত হীম করা ড্রাকুলার কথা।পরে একে একে তাঁর আরো অনুবাদ গ্রন্থ বের হয় । বিখ্যাত অনেক লেখক দের বই তিনি অনুবাদ করেছেন। পাশাপাশি মৌলিক অনেক রহস্য উপন্যাস লিখেছেন। কিশোর দের জন্যে লেখার পাশাপাশি তিনি বড় দের জন্যেও লিখেছেন।
তবে আগেই বলেছি তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজ “ তিন গোয়েন্দা “ । তিন গোয়েন্দার সর্বাধিক জনপ্রিয় কিছু বই এর কথা বলছি এখন। “তিন গোয়েন্দা”, “কঙ্কাল দ্বীপ” , “রত্নদানো”, “জলদস্যুর দ্বীপ ১,২” , “কাকাতুয়া রহস্য” , “ছুটি” , “পোচার” , “অথৈ সাগর ১,২” , “জিনার সেই দ্বীপ”, “টেরির দানো”; “বাবলি বাহিনী”; “শুঁটকি গোয়েন্দা” , “চট্টগ্রামে তিন গোয়েন্দা” , “সিলেটে তিন গোয়েন্দা” আরো অনেক অনেক গল্প আছে তিন গোয়েন্দার। সে সব কি চাইলেই ভুলা যায়? সেই শুটকি বাহিনীর কথা মনে আছে তো?যারা তিন গোয়েন্দার ভক্ত তাঁদের সেই ঝামেলা “ফগর্যাম্পারকট “এর কথা আর বাঘার কথা ভুলার উপায় নেই। মনে আছে সে বার বড় দিনের ছুটিতে কিশোর দের রহস্যের কথা?
কিশোর পাশা তিগো সিরিজের প্রধান চরিত্র, গোয়েন্দা প্রধান। বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত। বাবার নাম জাহেদ পাশা।যখন কিশোরের বয়স সাত বছর তখন এক ঝড়ের রাতে গাড়ির দুর্ঘটনায় তার মা-বাবা দুজনেই মারা যান। চাচা রাশেদ পাশা(রাশেদ পাশার এ স্যালভিজ ইয়ার্ড আছে, নাম “পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ড”) ও মেরি চাচী কাছেই সে মানুষ । । কিশোর পাশার কোঁকড়া চুল, গভীর কালো দুচোখে থাকে বুদ্ধির ঝিলিক! ক্ষুদ্র জিনিসও তার চোখ এড়ায় না সহজে ।কিশোর চরিত্রটিকে দেখান হয়েছে সে ছোটবেলায় মোটাসোটা ছিল কিন্তু বর্তমানে আর মোটা নেই। ।কিশোর কিন্তু ইলেকট্রোনিক্সের কাজেও বেশ পটু, তাই তাকে “ইলেক্ট্রোনিক্সের যাদুকর”ও বলা হয়। একবার মাত্র দেখে সে জিনিশ মনে থাকে দীর্ঘদিন। চমৎকার অভিনেতাও বটে। ছোটবেলায় কমেডি সিরিজে একটা হাস্যকর চরিত্র করেছিলো বলে এখনও সে লজ্জা পায় । কিশোরের মুদ্রাদোষ হলো , গভীর চিন্তামগ্ন অবস্থায় সে ক্রমাগত নিজের নিচের ঠোঁটে চিমটি কাটতে থাকে। তাছাড়াও সময় নাহলে ব্যোম মারলেও কাউকে কিছু বলতে চায় না! বইতে তার ‘বাঘা’ এবং ‘টিটু’ নামে দুটি কুকুরের নামও পাওয়া যায়। মেয়েদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়, কিন্তু পুরো সিরিজে নানাভাবে বঝানো হয়েছে যে একমাত্র জর্জিনা পার্কারের(জিনা) সাথেই সে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
অনেকেরি প্রিয় চরিত্র মুসা আমান তিন গোয়েন্দা সিরিজের দ্বিতীয় চরিত্র, সহকারী গোয়েন্দা। মুসা আফ্রিকান বংশোদ্ভূত। । বাবা রাফাত আমান হলিউডের বড় টেকনিশিয়ান এবং মা মিসেস আমান গৃহিনী। বাবা-মার সাথেই থাকে মুসা। ঘর-বাড়ি পরিষ্কার করা, লনের ঘাস ছাটা এসব কাজ প্রায়ই করতে হয় মুসাকে। । প্রচন্ড শক্ত মাথা দিয়ে শত্রুর পেটে আঘাত্করাতে তার জুড়ি নেই। মাঝে মাঝেই তার নানারকম বাতিক জাগে। সেটা মিটে গেলে আরেকটা শখে মন চলে যায়। কথায় কথায় তার খাইছে আর ইয়াল্লাহবলাটা উপোভোগ্য বেশ। । মুসা আমান একটু ভোজনরসিকও বটে। ভূতের ভয় তার প্রচন্ড । কিন্তু বিপদে সে ই সবচেয়ে বেশি সাহসী হয়ে উঠে মুসা । তবে মুসা বই পড়তে অপছন্দ করে।
তিগো বা তিন গোয়েন্দার নথি গবেষক রবিন মিলফোর্ড। আয়ারল্যান্ডে জন্ম । রবিনের বাবা মিস্টার মিলফোর্ড একজন সাংবাদিক এবং মা মিসেস মিলফোর্ড গৃহিনী।ছাগলের মত পাহাড় চড়তে পারে। । বই এর পোকা সে। তিন গোয়েন্মদার চলমান জ্ঞানকোষ।।শ। সে রকি বীচ লাইব্রেরীতে একটি খন্ডকালীন চাকরী করে। তাছাড়া রবিনও বিমান ও চালাতে পারে, তবে সে অতোটা দক্ষ নয় মুসার মত। দলের অন্যান্যদের মতো সে কারাতে খেলায় খুব দক্ষ। রবিনের প্রধান কাজ হচ্ছে তিন গোয়েন্দার সকল কেসের নথি সংরক্ষণ করা।
তিন গোয়েন্দার অনেক রহস্য কেসের সঙ্গী জর্জিনা পারকার, সংক্ষেপে তাকে সবাই ডাকে ‘জিনা’ বলে। ।প্রথম দিকে জিনা রকি বীচে থাকত না, শুধু মাত্র ছুটি কাটাতে এসে সে তিন গোয়েন্দার সাথে রহস্যোদঘাটনে জড়াত।ছুটি গল্পের মধ্যে দিয়ে সে পরবর্তীতে রকি বীচেই স্কুলে ভর্তি হয়। পোষা প্রাণীর প্রতি খুব মমতাশীল। ‘রাফিয়ান’ নামে তার একটি পোষা কুকুর আছে, আদর করে যাকে সংক্ষেপে ‘রাফি’ বলে ডাকা হয় । তিন গোয়েন্দার অনেক তদন্তে ছিলো রাফিয়ান। প্রায়ই নিজেকে ছেলেদের সমকক্ষ করে তুলতে জিনা ছেলেদের মতো করে ভাবে আর তখন নিজের ‘জর্জ গোবেল’ বলে পরিচয় দেয় । জিনা ‘জর্জ গোবেল’ নামে একটি দ্বীপের মালিক।সেই দ্বীপ নিয়েও গল্প আছে। স্বনামধন্য বিজ্ঞানী হ্যারিসন জোনাথন পারকারের একমাত্র মেয়ে জিনা
ভিক্টর সাইমন হলেন একজন পেশাদার প্রাইভেট গোয়েন্দা । অনেক সময়ই তিনি নিজে তিন গোয়েন্দার সাথে একই কেসে কাজ করেন। বিভিন্ন রহস্যোদঘাটন শেষে তিন গোয়েন্দা তাঁর কাছে গিয়ে রিপোর্ট জমা দেয়। তার একটি বিমান আছে। তিনি বিভিন্ন সময় নিজের কাছে আসা বিভিন্ন ছোটখাটো কেস দেন তিন গোয়েন্দাকে।ভিক্টর সাইমনের বিমানের পাইলট ল্যারি কংকলিন । তিগোর সাথে তার প্রথম পরিচয় হয় “খোঁড়া গোয়েন্দা” বইয়ে।
ডেভিস ক্রিস্টোফার এর কাছ থেকে তিন গোয়েন্দার গোয়েন্দাগিরির হাতেখড়ি।ডেভিস ক্রিস্টোফার ছিলো বাস্তব চরিত্রের উপর ভিত্তি করে তৈরি একটি চরিত্র। ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচার হলেন রকি বীচ পুলিশ চীফ ।তিনি অনেক সময়ই তিন গোয়েন্দাকে বিভিন্ন কেস দিয়ে থাকেন। তিন গোয়ন্দার ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন ইয়ান ফ্লেচার। তিনি তিন গোয়েন্দা কে যেকোনো জায়গায় তদন্ত করবার অনুমতি দিয়ে তার নিজের স্বাক্ষর সংবলিত একটি সবুজ কার্ড দিয়েছিলেন। এই কার্ডের মাধ্যমে পরবর্তীতে তিন গোয়েন্দা অনেক সুবিধা ভোগ করে । এই সবুজ কার্ডে লেখা আছে- “প্রত্যয়ন করা যাচ্ছে যে, এই কার্ডের বাহক রকি বীচ পুলিশকে সহায়তাকারী একজন স্বেচ্ছাসেবক জুনিয়র সহকারী ডেপুটি। তাকে যেকোন সহযোগীতা প্রদান করলে প্রসংসিত করা হবে।”।তিনি স্বীকার করেছেন যে, জটিল নকশার মর্ম উদ্ধার করার জন্য কিশোর পাশার মতো যোগ্য লোক আর তাঁর জানামতে আর নেই।
ওমর শরীফ জাতে মিশরীয় বংশোদ্ভুত এবং রোমাঞ্চপ্রিয় দক্ষ একজন বৈমানিক। চিত্র পরিচালক ডেভিস ক্রিস্টোফারের পছন্দের পাইলট ওমর । সাহসের কমতি নেই কারন গায়ে তাঁর বেদুইনের রক্ত। তার সাথে তিগোর বেশ কিছু অভিযান রয়েছে, যেমন: জলদস্যুর দ্বীপ ১ ও ২, গোপন ফর্মুলা, দক্ষিণের দ্বীপ, ওকিমুরো কর্পোরেশন ইত্যদি। ‘ওকিমুরো কর্পোরেশন’ তিন গোয়েন্দা আর ওমর শরীফের মিলিত ভাবে খোলা একটি ফ্লাইং ক্লাব, যার ‘ও’ দ্বারা বোঝায় ওমর, ‘কি’ দ্বারা কিশোর, ‘মু’ দ্বারা মুসা আর ‘রো’ দ্বারা রবিনকে। ধীরে ধীরে ওমর, তিন গোয়েন্দার প্রিয় ‘ওমর ভাই’ হয়ে ওঠেন ।
আরো চরিত্রের মধ্যে গোয়েন্দা শোঁপা ইউরোপের একজন বিখ্যাত গোয়েন্দা। আর চিত্রচোর শোঁপা হচ্ছে চিত্রকর্ম চোর। চমৎকার বুদ্ধিমান মানুষটির কিশোরের জন্য রয়েছে অন্যরকম শ্রদ্ধা। তাঁর সাথেও তিন গোয়েন্দার কয়েকটি অভিযান রয়েছে। যেমন:কাকাতুয়া রহস্য, ঘড়ির গোলমাল।
হ্যানসন হচ্ছে “রোলস রয়েস”-এর ব্রিটিশ শোফার। মধ্যপ্রাচ্যের এক শেখের জন্য প্রস্তুত করা হয় এই রোলস রয়েস। পুরোন প্রায় সব বইগুলোতেই তাঁকে দেখা যায়; অনেক সময় অনেক কেসে সহায়তাও করে থাকেন তিগোকে ।
হ্যারিসন ওয়াগনার ফগর্যাম্পারকট হচ্ছেনপুলিশ কনস্টেবল। তিন গোয়েন্দা তাকে “ঝামেলা” বলে সম্বোধন করে থাকে, কেননা ফগ্র্যাম্পারকট কথা কথায় ‘ঝামেলা’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। ছোটবেলায় যখন ‘গ্রিন হীলস’ নামক গ্রামে রবিন, মুসা আর মুসার চাচাতো বোন ফারিয়া থাকতো, কিশোর মাঝে মাঝে সেখানে ছুটি কাটাতে যেতো, তখনকার ঘটনাগুলো সাধারণত তিন বন্ধু সিরিজের মুখ্য বিষয়। তিন বন্ধুর এখানেও ঝামেলা বইতে দেখা যায় ফগর্যাম্পারকটকে বদলি করে দেয়া হয়েছে গোবেল বীচে।
উইলিয়াম ববর্যাম্পারকট, তিন বন্ধু সংক্ষেপে যাকে বব বলে ডাকে, ফগর্যাম্পারকটের ভাতিজা বব। তিন গোয়েন্দার ভালো বন্ধু; বিভিন্ন কেসে সরাসরি সহায়তা করেছে সে, যদিও চাচা সব সময়ই বিরোধিতা করেছেন এসবের। সাধারণত ‘তিন বন্ধু’ সিরিজে তাকে দেখতে পাওয়া যায়।
তিগোর চিরশত্রু টেরিয়ার ডয়েল, তিন গোয়েন্দার কাছে শুঁটকি টেরি নামে যে একবাক্যে পরিচিত। । টেরিকে মুসা একদম ই দেখতে পারে না।টেরির একটি নিজস্ব বাহিনী রয়েছে ।তিন গোয়েন্দা এই বাহিনীকে শুঁটকি বাহিনী বলে ডাকে।এই বাহিনীর সদস্যরা হলো টাকি,কডি,ক্যাপ,গ্যারি,নিটু, হ্যারল্ড।টেরিয়ার আর তাঁর বাহিনী সব সময়ই ঝামেলা পাকাতে ওস্তাদ
রোডালিন ওয়ার্নার এর ডাকনাম রোডা।সে ভীষণ রাগী ।রোডা তিন গোয়েন্দার ডেথ সিটির বন্ধু।সে খুব সাহসী ।।তার সাথে তিন গোয়েন্দার কিছু অভিযান হল হিম পিশাচের কবলে ,ডেথ সিটির দানব ইত্যাদি ।তিন গোয়েন্দা যখন ডেথ সিটিতে বেড়াতে আসে তখন রোডা তাদের সাথী হয়
মরগ্যান লে ফে হল রাজা আর্থারের সময়্কার এক জাদুকরী লাইব্রেরিয়ান।তিন গোয়েন্দা ও জিনা ট্রী হাউসে চড়ে অতীত -ভবিষ্যতে যেতে পারে।পরবর্তীতে তারা মাস্টার লাইব্রেরিয়ান হয়ে ওঠে ।ট্রী হাউসে চড়ে তারা বিভিন্ন অভিযান করে।এর মধ্যে কয়েকটি অভিযান হল ভূতের শহর ,ড্রাগনরাজার দেশে ,চাঁদের মানুষ ,স্বাধীনতা তুমি ইত্যাদি ।তিনি জাদুর ট্রী হাউসের প্রধান লাইব্রেরিয়ান।
রেমন হলো তিন গোয়েন্দার একজন ভালো বন্ধু ।রেমন তিন গোয়েন্দার সাথে রকি বিচ স্কুলে একই ক্লাসে পড়ে।সে শক্তিশালী ছেলে,রাগবিতে দক্ষ।সে তিন গোয়েন্দাকে অনেক কেসে সাহায্য করেছে ।তিন গোয়েন্দার অদৃশ্য খুনী ,চ্যাম্পিয়ন গোয়েন্দা ,মেলায় ঝামেলা বইয়ে রেমনকে দেখা যায়।
পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডে লোহা-লক্কড়ের স্তুপের নিচে পড়ে যাওয়ায় বেমালুম ভুলেই গেছেন কিশোরের চাচা। আর সেই সুযোগে বোরিস ও রোভার এর সাহায্যে তিন গোয়েন্দা সেই মোবাইল হোমের ভিতর তৈরি করে নিয়েছে নিজেদের হেডকোয়ার্টারতিন গোয়েন্দার হেডকোয়ার্টার বা প্রধানকেন্দ্র বলতে বোঝায় একটি মোবাইল ভ্যান, যেটা ফেলনা অবস্থায় রাশেদ পাশা দীর্ঘদিন আগে কিনে এনেছিলেন। ।তিগো এই গোপন হেডকোয়ার্টারে ঢোকার জন্য তারা তৈরি করে নিয়েছে আলাদা আলাদা গোপন পথ: “সবুজ ফটক এক”, “দুই সড়ঙ্গ”, “সহজ তিন”, “লাল কুকুর চার“ হলো সেসব গোপন পথেরই ছদ্ম নাম।
পাশা স্যালভিজ ইয়ার্ডেই তিন গোয়েন্দা একটি পুরোন ছাপার-যন্ত্রকে সারিয়ে নিয়ে নিজেদের কার্ড ছাপিয়ে নেয়। কার্ডের উপরে শিরোনাম আকারে বড় করে লেখা থাকে “তিন গোয়েন্দা” কথাটি; তার ঠিক নিচেই থাকে তিনটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?); প্রশ্নবোধক চিহ্নের একটা যুক্তি ছিলো কিশোরের। আপনারাই ভেবে বলুন কেনো ? কার্ডে ছিল। ।তিগোর তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি হলো “ভূত-থেকে-ভূতে”। এই পদ্ধতিতে কোনো সন্দেহজনক চরিত্র কিংবা কোনো কিছুর খোঁজ পেতে শহরের ছেলে-মেয়েদের সহায়তা নিয়ে থাকে তিন গোয়েন্দা। অবশ্য পরবর্তিতে তিন গোয়েন্দা তাদের কার্ডে প্রশ্নবোধক চিহ্নের স্থলে আশ্চর্যবোধক চিহ্ন (!) বসিয়ে নেয়
রকিব হাসান শুধু মাত্র তিন গোয়েন্দার ই ১৬০ টি বই লিখেছেন।আর এর পাশাপাশি আছে ৩০ টি অনবদ্য অনুবাদ। এছাড়াও কিশোর দের জন্য কিছু ভৌতিক আর সায়েন্সফিকশন লিখেছেন তিনি। আবু সাঈদ ছদ্ম নামে লিখেছেন গোয়েন্দা রাজু সিরিজ। কিশোর, মুসা ,রবিন কে তিনি তাঁর কলমের আঁচড়ে আমাদের চোখের সামনে তুলে ধরেছেন অসাধারন দক্ষতায়। মাঝে মাঝেই তাঁদের আমরা বাস্তব ভাবি শৈশব,কৈশোরে। নিজে হয়ে উঠতে চাই তাঁদের একজন।
সেই যে গল্পের সার সংক্ষেপের নিচে লেখা থাকতো মনে নেই? এসো না চলে এসো আমাদের সাথে! হ্যা আমরা গল্প পড়ার সময় কিশোর ,মুসা,রবিন, জিনা বা, রাফিয়ান দের সাথেই থাকতাম……।
রেফারেন্স
Pingback: রকিব হাসান : তিনি তাঁর লেখনীর মাধ্যমে জায়গা করে নিয়েছেন সারা বাংলার মানুষের মনে