অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এর জীবন চরিতঃ পর্বঃ২

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
কায়কোবাদ

সকালের রৌদ্রস্নাত দিন শেষে ঝুম বৃষ্টির গান চলছে। এর মধ্যেই মন-মগজে বেজে চলল মোহাম্মদ কায়কোবাদের কথা। তার জীবনের কিছু কথা বলেছিলাম  ১ম পর্বে। এখন সরাসরি চলে যাবো তার শিক্ষাজীবনে। আসলে চলে যাওয়া সম্ভব না , কিছু স্মৃতিচারণ করব আরকি! চলে যাওয়া সম্ভব হলে অবশ্যই ৪৮ বছর পিছিয়ে গিয়ে মানিকগঞ্জের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ে গিয়ে কায়কোবাদের সাথে দেখা করে আসতাম। সেখান থেকেই তিনি মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন কিনা!  

 

মুক্তিযুদ্ধের ঠিক এক বছরের মাথায় ১৯৭২ সালে দেবেন্দ্র কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে পাশ করেন উচ্চমাধ্যমিক।  আচ্ছা মাথার মধ্যে একটা কথা ঘুড়ির মত ঘুরছে, ড মোহাম্মদ কায়কোবাদ তখন কি জানতেন তিনি একাধারে এত্ত কিছু হবেন? নাকি মজার ছলে পড়েছেন, আর হয়ে গেছেন এরকম!

 

কারন এখন এই যুগে দেখি মানুষ এর লক্ষ্যের শেষ নেই,  সবাই লক্ষের দিকে এতই তীব্র বেগে ছুটে যে আশেপাশে কটা-কাটা পড়লো কেউ খেয়াল রাখেনা। আমি বিশ্বাস করি কায়কোবাদরা এমন ছিলেন না।  মাঝে মাঝেই কেপিয়াই, গোল, আর স্টাটিস্টিক্স এর এই যুগে আমার মোহাম্মদ কায়কোবাদ দের আমলে ফিরে যেতে ইচ্ছে হয়। আমাদের কায়কোবাদ ১৯৮৬ সালে অস্ট্রেলীয়ার ফ্লিন্ডার্স ইউনিভার্সিটি থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।  পড়ালেখা করতে মানুষ সুদূর চীনে যায়, আর আমাদের কায়কোবাদ চষে বেড়িয়েছেন সোভিয়েত ইউনিয়ন,থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলীয়া।

 

পেশা জীবনে  তার পদক্ষেপ অভিনন্দনের দাবিদার বটে! পদক্ষেপ বলছি এ কারনেই এ যুগের টাকা-কড়ির যুগে টাকাটাই প্রাধান্য পায়, যেখানে টাকা বেশি সে চাকরীর দাম বেশি। তিনি শুধু উপার্জনের পথ ই বেছে নেন নি, বেছে নিয়েছেন শিক্ষার পথ। যেন একটা উল্কা পুড়তে পুড়তে অন্যদের ধুপ করে জবালিয়ে যাচ্ছে।

 

১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে যোগ দেন। ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করে দেশে ফিরে সফটয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে কাজ শুরু করেন। আর এখন দেশের গর্ভে জন্ম নিয়ে বিদেশ উন্নয়ন চলে!  অনেকেই একবার বিদেশের মায়ায় পড়লে আর ফিরে আসতে পারেন না! কায়কোবাদের মত অনেকেই ফিরে আসেন। ১৯৯১ সালে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন। সহযোগী অধ্যাপক পদে উন্নীত হইন ১৯৯৪ সালে এবং অধ্যাপক পদে ১৯৯৭ সালে।  এসব কিছুই যেভাবে খুট খুট করে লিখলাম এমন হুট করেই হয়নি নিশ্চই! এর পেছনে ছিলো মোহাম্মদ কায়কোবাদের একনিষ্ঠ সাধনা,জ্ঞানের সাধনা!

 

এভাবে লিখে গেলে একজন কায়কোবাদের জীবন চরিত  লেখা যায়না স্পষ্ট ভাবে। ভালো হত যদি তার সাথে দু-দন্ড দাঁড়িয়ে কথা বলা যেত।  যেটার সম্ভাবনা খুবি ক্ষীন। যদিও তাকে নিয়ে লিখছি শুনার পরেই দুলাভাই মিজানুর রহমান জাভেদ জানালেন তার সাথে যোগাযোগের ই-মাধ্যম রয়েছে। যদিও আমি আলসে প্রকৃতির হয়ায় সে ই-মাধ্যম এখনো খোঁজা হয়ে উঠেনি। দুলাভাই যদি খানিকটা স্বেচ্ছায় ব্যাবস্থা করে দেন তবে অন্য কথা । 

 

ড.মোহাম্মদ কায়কবাদের কাজের শেষ নেই। এ সম্পর্কে হয়ত আমার থেকে ভালো আমার বন্ধু অনীক বলতে পারবে। তার থেকে কিছুটা জ্ঞান ধার করে লিখলে মন্দ হয়না। হয়ত ভালো মন্দের মিশেলে কিছু একটা দাঁড়িয়ে যাবে বেশ! 

আরো কায়কোবাদঃ

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এর জীবন চরিতঃপর্ব ৩

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এর জীবন চরিতঃ পর্ব ১

 

অন্য লেখনীঃ

জীবনের খোঁজে

মজিদ সাহেব এর রহস্যময় জীবন:পর্ব ১

জীবন এর মোহ : আসলের মোড়কে নকল জীবন

******                                                                                                                                                                                              **

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া