এবি ডি ভিলিয়ার্সের জন্ম এবং তাঁর ব্যক্তিগত জীবন

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

বর্তমান প্রজন্মের সেরাদের মধ্যে অন্যতম এবি এটা বলাই বাহুল্য । এবি ডি ভিলিয়ার্স বলতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে এক মারকুটে অথচ দৃষ্টিনন্দন ব্যাটসম্যান  এর ছবি। এবি ডি ভিলিয়ার্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আজকের এই চেষ্টা। কেমন ছিল এবি ডি শুরুর দিন গুলো? খেলোয়াড় এবি ডির পারিবারিক ও ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে কতটুকু জানি? আসুন জেনে নি তাঁর সম্পর্কে জানা অজানা তথ্য। তাঁর জন্ম ১৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৮৪ সালে। সম্পূর্ন নাম আব্রাহাম বেঞ্জামিন ডি ভিলিয়ার্স । দলের কাছে এবং ভক্তদের কাছে এবি বা এবিডি নামেই বেশি পরিচিত তিনি।  এবি ডি ভিলিয়ার্সের বাবার নাম আব্রাহাম পি ডি ভিলিয়ার্স, পেশায় তাঁর বাবা একজন ডাক্তার।এবিডির মায়ের নাম মিলি। তাঁর মা চাকুরী করেন রিয়্যাল এস্টেট কোম্পানীতে, তাঁর চেয়ে বড় পরিচয় এই যে তিনি এবির মা।এবি ডির রয়েছে দুই ভাই। একজনের নাম জান আরেকজনের নাম ওয়েসেলস।এবিডি শৈশব থেকেই ক্রিকেট অনুরাগী ছিলেন। ভাইদের সাথে নিয়ে খেলেছেন  বিভিন্ন সময়ে। শৈশবের খেলাচ্ছলে খেলা বালক ক্রিকেটার একদিন তাঁর ব্যাটের মাধ্যমে ক্রিকেট বিশ্ব শাসন করবে কে জানত! এক সৃষ্টিকর্তা ছাড়া। এবিডির পড়াশোনা প্রিটোরিয়ার জনপ্রিয় সরকারী বিদ্যালয়ে । তাঁর অনেক সহপাঠি পরবর্তিতে টাইটান্স ও দক্ষিন আফ্রিকার পক্ষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেন। এদের মধ্যে অন্যতম জ্যাকুয়েস রুডলফ , ফ্রাঙ্কওইজ দু প্লেসিস এবং হিনো কান।

প্রত্যেক খেলোয়াড়ের একটা ব্যক্তি জীবন থাকে। সে জীবনকে আমরা উপেক্ষা করতে পারিনা। খেলোয়াড় এবি কে চিনতে হলে জানতে হবে ব্যক্তি এবিকে। নাহলে জানাটাই যে অসম্পূর্ন থেকে যায়। খ্রীস্টান ধর্মের অনুসারী তিনি । এ ধর্ম বিশ্বাস কে তিনি হৃদয়ে লালন করেন। এই বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে তিনি জীবনের চলার পথে সাহস পান। তাঁর মতে প্রভু যীশু তাঁর জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান, এবির কাছে যীশু একজন মহামানব।  এখানেই মেলে ব্যক্তি এবির পরিচয়। যীশুর প্রতি এবির রয়েছে অগাধ আস্থা আর ভালোবাসা । তাঁর মতে যীশুর উপর তাঁর এই আস্থা আর বিশ্বাস তাঁর দলের চেয়ে বড়। সকল দিক বিবেচনা করে বলাই যায় তিনি ধর্মকেই দলের আগে প্রাধান্য দিবেন। আমাদের মাশরাফির মতেও দিন শেষে ক্রিকেট একটা খেলাই। আসলেই দিন শেষে ক্রিকেট একটা খেলা। খেলোয়াড় এবি কোন ভাবেই ব্যক্তি এবির চাইতে বড় হতে পারেনা। স্ত্রীর নাম ড্যানিয়েল ডি ভিলিয়ার্স। ২০১৫ এর জুলাই এ আব্রাহাম নামের এক পুত্র সন্তানের বাবা হন তিনি। মি.৩৬০ ডিগ্রী আবার ফুটবলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সমর্থক। মূলত রায়ান গিগস এর অভিষেক এর পর থেকেই তিনি এ দলের সমর্থনে আসেন।  ব্যক্তি জীবনের এবি সদা হাসি মুখের একজন মানুষ । মাঠে নামলেই যেন তাঁর মাথায় খুন চাপে! এক একটা বলকে এক এক স্টাইলে সীমানা ছাড়া করেন তিনি। টেস্ট এ ও এবি কম যান না। সে ধৈর্য , মাঝে মাঝেই টেস্টেও খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি।

আসলে ব্যক্তি জীবনের  এবি কে চাইলেও বোধয় আর খেলোয়াড় এবির জীবন থেকে আলাদা করা যায় না। দুই এ মিলে এক অমূল্য স্বত্বা ।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
1
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

1

মন্তব্য করুন