একজন দূরদর্শী নেতা-একিসাথে দুর্ধর্ষ সৈনিক এর পূর্ব জীবনের গল্প বলবো আজ । তাঁর শারীরিক কাঠামো সুন্দর ছিলোনা বিধায় সেনাধক্ষের সুনজরে আসেন নি তিনি । এর পরেও হাল ছাড়েন নি তিনি। বাংলার ইতিহাসে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজীর নাম থেকে যাবে যতদিন মানুষ পৃথিবীর ইতিহাস সম্পর্কে অবগত থাকবে। একজন মানুষ ,একজন যোদ্ধা বদলে দিতে পারে ইতিহাসের গতিপথ, পাল্টে দিতে পারে জীবন ধারা। ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজী ছিলেন তেমনি একজন। আসুন জেনে আসি তাঁর সম্পর্কে জানা-আজানা তথ্য। আসুন জেনে নি তাঁর পূর্ব-জীবন ,তাঁর প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে।
তিনি ছিলেন মুসলিম খলজি উপজাতির একজন সদস্য। তিনি জাতিতে ছিলেন একজন তুর্কি । আর তাঁর জীবন-ধারনের পেশা ছিলো ভাগ্যান্বেষী সৈনিকের। একজন তীর হারা সৈনিক কিভাবে পরবর্তিতে বাংলা, বিহার জয় করে? নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে? সে সম্পর্কে জানার আগে তাঁর পরিচয় জানা মনে হয় বাঞ্চনিয়। জীবনের প্রথম ভাগে তিনি ছিলেন আফগানিস্তানের গরমশির এর অধিবাসী । যা বর্তমানে দশত-ই-মার্গ নামেরি পরিচিত। বখতিয়ার খিলজির বাল্যজীবন সম্পর্কে ইতিহাসে উল্লেখগ আছে খুবি কম। অনেক ক্ষেত্রে বইলা হয় দারিদ্রের কারনে তিনি স্বদেশ ত্যাগ করেন।
নিজের উপরে আস্থা রেখে, অন্যান্যদের মত রুজির সন্ধানে বের হয়েছিলেন তিনি। গজনির সুলতান মুহাম্মাদ ঘুরির দরবারে চাকরি চেয়ে তিনি ব্যর্থ হন প্রাথমিক ভাবে। তাঁর শারীরিক কাঠামো সুন্দর ছিলোনা বিধায় সেনাধক্ষের সুনজরে আসেন নি তিনি । এর পরেও হাল ছাড়েন নি তিনি। গজনিতে ব্যর্থ হয়ে তিনি চলে যান দিল্লীর কুতুবুদ্দিন আইবেকের দরবারে হাজির হন, সেখানেও তিনি চাকরি পেতে ব্যর্থ হন। এর পরেও চলতে খলজির থাকে ভাগ্যের অন্বেষণে হন্যে হয়ে ঘুরার কাজ। পরবর্তিতে চলে যান বাদাউনে । বাদাউনের শাসনকর্তা ছিলেন মালিক হিজবর-উদ্দিন , তিনি ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খলজিকে নগদ টাকায় সেনাবাহিনীতে নিয়োগ করেন। কিনতি খলজির চাহিদা অল্পে তুষ্ট হবার নয়। তাঁর চোখ ছিলো আরো উপরে, স্বপ্ন ছিলো আরো বড়। তিনি কিছুদিন পরেই বাদাউন ত্যাক করেন। চলে যান আযোদ্ধায়। সেখানে অযোদ্ধার শাসনকর্তা হুসামউদ্দিন তাকে ভগবৎ ও ভিউলি নামক দুটি পরগনার জায়গির প্রদান করেন। যা বর্তমান মির্জাপুর জেলার পূর্ব-দক্ষিন কোনে অবস্থিত। বখতিয়ার ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা একিসাথে দুর্ধর্ষ সৈনিক। ভবিষ্যতে উন্নতির পথ সৃষ্টিতে বখতিয়ার খলজি এই পরগনা দ্বয় কেই কাজে লাগান। পরবর্তিতে এই পরগনা গুলোই হয়ে উঠেছিলো তাঁর শক্তির কেন্দ্র। তাঁর মৃত্যু ১২০৬ সালে হলেও তাঁর জন্মের সময়টা সঠিক ভাবে বলা যায়না। ইতিহাসে কিছু ঘাটতি থেকেই যায়।
রেফারেন্স bn.wikipedia.org