হুমায়ূন আহমেদ : কথাসাহিত্যিক ও গল্পের জাদুকর

Please log in or register to like posts.
Video

হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ে তাঁর বিভিন্ন  চরিত্রের প্রেমে মজিনি এমন কজন আছি ! হুমায়ূন আহমেদের গল্পের প্রতিটি লাইনে যেনো এক এক টা আলাদা সাহিত্যের ধারা বয়। সহজ,সরল, ভাষায় জটিল মানুষের  জীবন কে আমাদের সামনে তিনি তুলে ধরেছেন পরিস্কার জলের মত। তাঁর লেখায় সব আছে , তবে বুঝে নিতে হয়। হুমায়ূন স্যারকে এক কথায় বলা যায় গল্পের জাদুকর । গল্পের পরতে পরতে যদি অনাবিল আনন্দ আর রহস্য না থাকলো ,  সে কিসের গল্প। বস্তু নিষ্ঠ লেখা যদি পাঠকের মন না ছুয়ে যেতে পারে সে কেমন লেখা। হুমায়ূন আহমেদ পেরেছিলেন। পাঠকের মন ও মগজে বাসা বাঁধতে। সাহিত্যের কঠিন ভাষা নয়, তিনি সাবলিল ভাবে যে কোন ঘটনাকে উপস্থাপন করে যান আর ঘোলা জল ধীরে ধীরে স্বচ্ছ জলে পরিনত হয়।

 

১৩ নভেম্বর ১৯৪৮ সালে তাঁর জন্ম।  তিনি একজন বাংলাদেশি ঔপন্যাসিক ,নাট্যকার, ছোটগল্পকার, গীতিকার , চিত্রনাট্যকার ও চলচিত্র নির্মাতা। বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তি শ্রেষ্ট লেখক তিনি। তাঁর রচনা শৈলি অন্য লেখ,লেখিকাদের তুলনায় সম্পূর্ন আলাদা। নাটক ও চলচিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি বিখ্যাত। তাঁর গল্প পড়ার সময় সেই গল্পের জগতে হারিয়ে যাইনি এমন কজন আছি আমরা! শুধু জ্ঞান অর্জন যাদের লক্ষ্য হুমায়ূন আহমেদ তাঁদের জন্য নন, যারা জ্ঞান অর্জন কে সাহিত্যের পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়, হুমায়ূন আহমেদ তাঁদের জন্য । ময়মনসিংহ জেলার অন্তর্গত নেত্রকোণা মহুকুমার মোহনগঞ্জে তাঁর মাতামহের বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন । পিতা শহীদ ফয়জুর রহমান ও মা  আয়েশা ফয়েজ ।তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন শহীদ হন। হুমায়ূন আহমেদের বাবা সাহিত্য অনুরাগী ছিলেন। তাঁর প্রকাশিত একটি গ্রন্থের নাম “দ্বীপ নেভা যার ঘরে” ।  তাঁর মার লেখা লেখির অভ্যাস না থাকলেও একটি আত্মজীবনী মুলক গ্রন্থ রচনা করেন । যার নাম “ জীবন যে রকম” । পরিবারে সাহিত্যের পরিবেশ ছিল শুরু থেকেই। তাঁর অনুজ জাফর ইকবাল দেশের একজন বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক।  সর্বকনিষ্ঠ ভ্রাতা আহাসান হাবিব একজন কার্টুনিস্ট  ও রম্য সাহিত্যিক। হুমায়ূন আহমেদের তিন বোন হলেন সুফিয়া হায়দার, মমতাজ শহিদ, এবং রোকসানা আহমেদ ।

হুমায়ূনের রচিত আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথা কথা থেকে জানা যায় তাঁর নাম ছোট কালে ছিল শামসুর রহমান, ডাকনাম ছিল কাজল। তাঁর পিতা সন্তানদের নাম বদলাতে পছন্দ করতেন। পরবর্তিতে তাঁর বাবা নাম পরিবর্তন করে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ । জাফর ইকবালের আগের নাম ছিল বাবুল। হুমায়ূন আহমেদ যখন চট্টগ্রাম থাকতেন তখন তাঁর নাম ছিল বাচ্চু ।  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের অধ্যাপক ছিলেন অনেক দিন পর্যন্ত। পরবর্তিতে লেখা লেখির জগতে এতটাই ঢুকে গিয়েছিলেন যে অধ্যাপনা ছেড়ে দেন। না হলে, এত এত যে গল্প তাঁর আমরা পেতাম কিভাবে। তাঁর হিমু পড়ে হিমু সাজা হতনা যদি তিনি হিমুকে সৃষ্টি না করতেন। মিসির আলিকে এখন যদিও কোন রহস্যের সমাধান করতে হয়না। তথাপি তাঁর বিচরন এখনো পাঠক হৃদয়ে সর্বদা।

১৯৭২ সালে হুমায়ূন আহমেদের প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয়। নাম “ নন্দিত নরকে” । এ উপন্যাসের মধ্যে দিয়ে হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যচর্চা শুরু।   আহমদ ছফার উদ্যোগে খান ব্রাদার্স কর্তৃক বইটি প্রকাশিত হয়। বাংলার প্রখ্যাত  ভাষাশাস্ত্র পণ্ডিত আহমদ শরীফ নিজেই এ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিলে বাংলাদেশের সাহিত্যামোদী মহলে প্রচুর কৌতূহল সৃষ্টি হয়। শঙ্খনীল কারাগার  হুমায়ূন আহমেদের ২য় গ্রন্থ। হুমায়ূন আহমেদ ১৯৪৬ সালে গুলতেকিন খানকে বিয়ে করেন।তাদের ঘরে আছে তিন মেয়ে ও এক ছেলে। সবচেয়ে  বড় নোভা আহমেদ, মেজো মেয়ে শীলা আহমেদ ও ছোট মেয়ে বিপাশা আহমেদ ।বড় ছেলের নাম নুহাশ আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের আরেকটি সন্তান অকালে মারা যায়। তিনি তাঁর নাম রেখেছিলেন রাশেদ হুমায়ূন।টেলিভিশন  নাট্যকার হিসেবে হুমায়ূন আহমেদ কে আবিষ্কার করেন নওয়াজিশ আলি খান।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত “নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি” থেকে পলিমার রসায়ন বিষয়ে গবেষণা করে তিনি পিএইচডি ও অর্জন করেন।

হুমায়ূন আহমেদের টেলিভিশনে প্রথম কাজ -নাটক”প্রথম প্রহর” ।  পরবর্তিতে অসময়,অযাত্রা,বিবাহ , এসো নিপ বনে” নিমফুল   ”  নাটক রচনা করেন হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম ধারাবাহিক নাটক “এই সব দিন রাত্রি”এই সব দিন রাত্রি   ১৯৮৫ সালে বিটিভিতে  নিয়মিত প্রচারিত হুমায়ূন আহমেদ এর পরিচালিত একটি জনপ্রিয় সামাজিক নাটক। সেই সময় নাটকটা  এতটাই জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল যে নাটক চলাকালীন সময়ে ঢাকার ব্যস্ত রাস্তাগুলো সর্বদা ফাঁকা থাকত। ঢাকা শহরে বসবাসকারী একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের গল্প বলা হয়েছে নাটকটিতে। নাটকে একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে  বিদ্যমান সুখ,দু:খ , ভালোবাসা, বিয়ে, মৃত্যু, সমস্যা ইত্যাদি দেখানো হয়েছে সুন্দর ভাবে ।গল্পটা শেষ হয় “টুনি” নামের লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত এক ছোট মেয়ের মৃত্যুর ঘটনার মধ্যে দিয়ে। । ছোট্ট টুনির মৃত্যু দেশ জুড়ে একটা আলোড়ন তোলে। অনেক দর্শক হুমায়ূন আহমেদকে “টুনি” চরিত্রটিকে বাঁচিয়ে রাখার অনুরোধ করেন। কিন্তু হুমায়ূন আহমেদ তাঁর আগের সীদ্ধান্তেই অটল ছিলেন। নওয়াজিশ খানের প্রযোজনায় হুমায়ূন আহমেদ রচিত জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক “বহুব্রীহি “  । এছাড়াও আছে কোথাও কেউ নেই নামে জনপ্রিয় ধারাবাহিক,যার বাকের ভাই চরিত্রটি প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে ।

 

মিসির আলি নামক জনপ্রিয়  চরিত্রটি হুমায়ূন স্যারের মাথায় আসে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত  নর্থ ডাকোটার ফার্গো শহরে স্ত্রীর সাথে গাড়িতে ভ্রমণকালে।এর অনেকদিন পর তিনি মিসির আলি কেন্দ্রিক প্রথম উপন্যাস দেবী  লিখেন। উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৮৫ সালে । নিশীথিনী (১৯৮৭), নিষাদ (১৯৮৮), অন্য ভুবন (১৯৮৯) ও বৃহন্নলা (১৯৮৯ এই )  এই উপন্যাস গুলো মিসির আলির চরিত্রকে কেন্দ্র করেই লিখা ।  মিসির আলির রহস্য সমাধানের প্রক্রিয়ার সাথে আমরা জড়িয়ে পরি নিজের অজান্তেই, মিসির আলিকে ভালোবেসে ফেলি অজান্তেই।১৯৮৭ সালে হুমায়ূন আহমেদ নুহাশপল্লী গড়ে তুলেন ঢাকার গাজীপুরে। সর্ব উত্তরে একটি পুকুর রয়েছে। পুকুরটির নামকরন করা হয়  ‘লীলাবতী‘। পুকুরটির নামকরণ করা হয় শাওন ও তাঁর অকালপ্রয়াত কন্যা সন্তানের  নামে, যে পৃথিবীর আলোর মুখ দেখার পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছিলো।। পুকুরে রয়েছে একটি কাঠের পুল । পুকুরের মাঝখানে একটি দ্বীপ কৃত্রিম ভাবে  তৈরি করা হয়েছে, সেখানে একটি তাবু পোঁতা আছে।জীবনের শেষ সময়টা তিনি এই বাড়িতে থাকতে পছন্দ করতেন। তিনি মজলিশ প্রিয় মানুষ ছিলেন। নীরবে পর্যবেক্ষন করতেন মানুষের আচার আচরন। কিছুটা লাজুক ছিলেন। এত জনপ্রিয়তার পরেও জীবন যাপন করতেন সাধারন মানুষের মত। ভাব নিয়ে কথা বলতেন না। তবে তিনি ভাবুক ছিলেন।

 

ময়ূরাক্ষী উপন্যাস দিয়ে হুমায়ূন আহমেদ সৃষ্ট হিমু চরিত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ১৯৯০ সালে  বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে চরিত্রটি পাঠকদের, বিশেষ করে তরুণ সাহিত্যপ্রেমীদের মাঝে  বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে।    পাঠকের মাঝে  হিমু হয়ে ওঠে জীবন্ত এক মানুষ। পরবর্তীতে একে একে প্রকাশিত হতে থাকে দরজার ওপাশে (১৯৯২), হিমু (১৯৯৩), পারপার (১৯৯৪), এবং হিমু (১৯৯৫), হিমুর হাতে কয়েকটি নীলপদ্ম (১৯৯৬), হিমুর দ্বিতীয় প্রহর (১৯৯৭), হিমুর রূপালী রাত্রি (১৯৯৮), এবং একজন হিমু কয়েকটি ঝিঁঝিঁপোকা (১৯৯৯) ইত্যাদি। এছাড়া এই উপন্যাসগুলো নিয়ে হিমু সমগ্র (১৯৯৪), হিমু সমগ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) (১৯৯৮), এবং হিমু অমনিবাস (২০০০) ।হলুদ হিমু হয়ে রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছে হাজারো হিমুরা। হিমুর মত খালি পায়ে হেটে জীবন টাকে উপভোগ করতে শিখেছে অনেকে।  এতটাই জীবন্ত হয়ে ওঠে হিমু

দারুচিনি দ্বীপ উপন্যাস দিয়ে শুভ্র চরিত্রের আত্মপ্রকাশ ঘটে। শুভ্র চরিত্রটি প্রথম আসে হুমায়ূন স্যারের লেখা একটি ছোটগল্পে, যার নাম ‘শাদা গাড়ি।’ । মেঘের ছায়া  শুভ্রকে নিয়ে রচিত তাঁর ২য় উপন্যাস। ১৯৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। দারুচিনি দ্বীপ  উপন্যাসের গল্পের শেষ যেখানে সেখান  থেকে শুরু হয় পরবর্তী উপন্যাস রূপালী দ্বীপ  । প্রকাশিত হয়  ১৯৯৪ সালে।

  আগুনের পরশমনি  চলচিত্রের মধ্যে দিয়ে তাঁর পরিচালনায় অভিষেক হয়। তিনি লোক-নাট্যধর্মী শ্রাবণ মেঘের দিন নির্মাণ করেন ১৯৯৯ সালে। এটি তাঁর নিজেরি রচিত শ্রাবন মেঘের দিন উপন্যাসের চলচ্চিত্রায়ণ।তাঁর নির্মিত অন্যান্য চলচিত্র গুলো হল , দুই দুয়ারি , শ্যামল ছায়া , চন্দ্র কথা ।

এই কথা সাহিত্যিক ও গল্পের জাদুকরের সর্বমোট গ্রন্থ সংখ্যা: ২৪৪টি ,হিমু – ২২টি,মিসির আলি – ২০টি,উপন্যাস – ১১২টি,শুভ্র – ০৬টি,কিশোর ও শিশুতোষ গ্রন্থ – ২৬টি,সায়েন্সফিকশন – ১১টি,গল্পগ্রন্থ – ১৫টি,নাট্যগ্রন্থ – ০৪টি,কাব্যগ্রন্থ – ০১টি,অনুবাদ – ০১টি,আত্মরচনা, ভ্রমণ ও অন্যান্য – ২৬টি,কমিক্স – ০১টি। হুমায়ূন আহমেদের লেখা গুলোর মাঝে    হিমু সমগ্র,মিসির আলি সমগ্র ,অনন্ত নক্ষত্রবীথি (১৯৮৮), ,অনিল বাগচীর একদিন (১৯৯২) , আজ চিত্রার বিয়ে (২০০১) , আমরা কেউ বাসায় নেই (২০১১) , আমার আছে জল (১৯৮৫) , এই শুভ্র! এই (২০০৩), কুটু মিয়া (২০০১) , কাঠপেন্সিল (২০০৯) , কিছু শৈশব (২০০৭) , তুমি আমায় ডেকেছিলে ছুটির নিমন্ত্রণে (১৯৯৩) , নন্দিত নরকে (১৯৭২) **প্রকাশিত সর্বপ্রথম গ্রন্থ** – উপন্যাস , বৃষ্টিবিলাস (২০০০) , মন্দ্রসপ্তক (১৯৯৩) , রূপার পালঙ্ক (১৯৯৯) , লীলাবতী (২০০৫) ,মাতাল হাওয়া (২০১০), সবাই গেছে বনে (১৯৮৪) উল্লেখযোগ্য। আসলে এগুলোই উল্লেখযোগ্য বললে ভুল হবে , তাঁর প্রতিটি লেখায় পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

সাল ১৯৯০ এর মধ্যভাগ থেকে তার কন্যা শীলার সমান বয়সি এবং তার কিছু নাটক-চলচ্চিত্রে অভিনয় করা  শাওনের সাথে হুমায়ূন আহমেদের ঘনিষ্ঠতা হয় । এর ফলে সৃষ্ট পারিবারিক অশান্তির অবসানের জন্যে ২০০৩ সালে গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদের বিচ্ছেদ হয় আর সে  বছরই শাওনকে বিয়ে করেন। তাদের তিন ছেলে-মেয়ে জন্মগ্রহণ করে। সর্বপ্রথম ভূমিষ্ঠ হওয়া  কন্যাটি মারা যায়। গল্পের জাদুকর এ কন্যার নাম রাখতে চেয়েছিলেন লীলাবতী। ছেলেদের নাম রাখেন নিষাদ ও নিনিত হুমায়ূন ।এই পাঠক নন্দিত লেখক তাঁর জীবনের শেষ কালে তিনি  ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকা ধানমন্ডির ৩/এ রোডে নির্মিত দখিন হাওয়া ভবনের একটি ফ্লাটে বসবাস করতেন। খুব ভোর বেলা উঠে লেখা লেখির অভ্যেস ছিল তাঁর । মাটিতে বসে লিখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন। অবসর পেলেই তিনি  ছবি আঁকতেন।

২০১১-এর সেপ্টেম্বেরে  সিঙ্গাপুরে ডাক্তারী চিকিৎসার সময় তাঁর দেহে ক্যান্সার ধরা পড়ে। গল্পের জাদুকর নিউইয়র্কের মেমোরিয়াল স্লোয়ান-কেটরিং ক্যান্সার সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তবে তাঁর  টিউমার ছড়িয়ে না-পড়ায় প্রাথমিকভাবে সহজে তাঁর চিকিৎসা সম্ভব হলেও অল্প সময়ের মাঝেই তা আবার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তাঁকে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়েছিল ১২ দফায়।আপাতদৃষ্টিতে  অস্ত্রোপচারের পর কিছুটা শারীরিক উন্নতি হলেও, শেষ মুহূর্তে অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করায় তার অবস্থার অবনতি হয়। । তাকে কৃত্রিমভাবে লাইভ সাপোর্টে রাখা হয়। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘ ৯মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালের ১৯ জুলাই-, স্থানীয় সময় ১১:২০ মিনিটে নিউ ইয়র্কের বেলেভ্যু হসপিটালে বাংলার প্রবাদ পুরুষ,এই নন্দিত লেখক ইহলোক ত্যাগ করেন। তাকে দাফন করা হয় তাঁর প্রিয় নুহাশ পল্লীতে।বাংলার মানুষ স্তম্ভিত হয়ে গেলো।দেশের অগণিত হুমায়ূন ভক্ত নিস্তব্দ হয়ে গেলো, চোখের পানি ধরে রাখা দায়।থেমে গেলো এক গল্পের জাদুকরের পথ চলা,রেখে গেলো তাঁর হিমুদের,রুপাদের।  সারা বাংলাদেশে সকল শ্রেণীর মানুষের মধ্যে অভূতপূর্ব আহাজারির সৃষ্টি হয় তাঁর মৃত্যুতে । হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর ফলে বাংলা সাহিত্য ও চলচ্চিত্র অঙ্গনে এক শূন্যতার শুরু হয়। বাংলা সাহিত্য সে শুন্যতা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।

রেফারেন্স:

১. https://en.wikipedia.org/wiki/Humayun_Ahmed   

২. estudyline.com

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন