প্রকৃতপক্ষে আসল সত্য জানেন একমাত্র আল্লাহ । আমরা একজন মানুষের জীবন সম্পর্কে লিখে যেতে পারি, মন্তব্য করতে পারি কিন্তু প্রানের গভীরে যে সত্য লুকিয়ে থাকে তাঁর ধারে কাছেও আমরা যেতে পারিনা। একমাত্র আল্লাহ জানেন সকল মানুষের মনের কথা আর তাঁদের নিয়ত সম্পর্কে । আজ একজন উচ্চশিক্ষিত মুসলিম নারীর তিলে তিলে যন্ত্রনায় ভোগার কথা বলব । তাঁর অপরাধ এই পৃথিবীতে আসলেই আছে কিনা, একমাত্র বিধাতাই বলতে পারেন , তিনি ই আসল বিচারে মালিক। তবে মিথ্যা কারনে যদি এক জন মানুষের এই রূপ কষ্ট ভোগ করতে হয় , এর শাস্তিও নিশ্চয়ই তাঁদের জন্যে বিধাতা বরাদ্দ রেখেছেন যারা এটা সাজিয়েছে। বাদি বা বিবাদি যেই হোকনা কেনো , সঠিক সীদ্ধান্তে পৌছুতে যদি আমরা নাও পারি, শেষ বিচারের দিন এর রায় অবশ্যই সঠিক পক্ষের দিকেই যাবে।
বলছিলাম আফিয়া সিদ্দিকার কথা।শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক থেকে তিনি এগিয়ে আছেন অনেকের তুলোনায়। আফিয়া সিদ্দিকার জন্ম পাকিস্তানের করাচিতে । জন্মসূত্রে তিনি পাকিস্তানের নাগরিক । শিক্ষাগত দিক থেকে আফিয়া সিদ্দিকা ছিলেন মেধাবী । শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনি পি এইচ ডি ডিগ্রী ধারি ।যেটা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ ডিগ্রী। শিক্ষা জীবনে তিনি অসামান্য মেধার পরিচয় দেন। স্নায়ুবিজ্ঞানী হিসেবে তিনি স্বনামধন্য ।নিউরোলজি বিষয়ের উপর যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এর পক্ষ থেকে তিনি ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।পাশাপাশি তাঁর মেধার পরিচায়ক হিসেবে রয়েছে একাধিক ডিগ্রীর সার্টিফিকেট। শুধু পার্থিব জীবনের বিষয় নিয়ে তিনি ব্যস্ত ছিলেন না। তাঁর চিন্তায় ছিলো পরকাল । পরকালে বিশ্বাসী , ইসলামের জীবন ব্যবস্থায় বিশ্বাসী আফিয়া ছিলেন “হাফিযে কোরআন” । পাশাপাশি তিনি একজন “আলিমা”ও । কম বয়সে আফিয়া তাঁর মায়ের সাথে মিলে প্রতিবেশিদের দরজায় দরজায় কড়া নাড়িয়ে যেতেন, এবং পেমপ্লেট বিতরন করতেন ধর্মীয় বানী প্রচারের জন্যে। শিক্ষা জীবনের পরে তিনি যুক্ত্রাষ্ট্রে বসবাস করেন ২০০২ সাল পর্যন্ত।
এখানেই তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরী করেন। সহকর্মীদের কাছে তিনি অত্যন্ত বিনয়ী , নম্র-ভদ্র একজন মানুষ হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৫ সালে তিনি তাঁর মায়ের পছন্দের ছেলে আমজাদ মহাম্মদ খান কে বিয়ের সীদ্ধান্ত নেন, যার চেহারাই তিনি এর আগে দেখেন নি । তাঁদের বিয়ে হয় টেলিফোনে । পরে তাঁর স্বামী ইউএস #US আসার পর থেকে একসাথে বাস করে তারা পরবর্তিতেনাইন ইলেভেন # ৯/১১ এর পর আফিফা এবং তাঁর স্বামী এফবিআই #FBI এর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। তাঁদের কাছে ১০০০০ ডলার মূল্যের নাইট ভিশন ইকুইপম্যান্ট , মিলিটারি ম্যানুএলস এবং বডি আর্মার ও এজাধিক মিলিটারি ধাচের বই সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।অবশ্য FBI কে বলা হয়েছিল এগুলো শিকারে যাওয়ার জন্যে সংগ্রহ করা হয়েছে।পরবর্তিতে আফিয়া আর তাঁর স্বামীর মধ্যেকার সম্পর্কের অবনতি হয় এবং তাঁদের মধ্যে তালাক হয়। পরবর্তিতে আফিয়া ২০০৩ সালে আম্মার আল বালুচি কে বিয়ে করেন ,যে কিনা তালেবান বলে চিহ্নিত। তবে আমার মনে হয়না পৃথিবীর কোথাও আইন আছে তালেবানের বৌ মানেই তালেবান। প্রকৃত সত্য একমাত্র আল্লাহই ভালো জানেন।
রেফারেন্স en.wikipedia.org
ফেসবুক কমেন্টস