লাইলাতুল কদর সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেন – ‘“নিশ্চয়ই আমি এটা কোরআন কারিম) নাজিল করেছি মহিমান্বিত রজনীতে”(সূরা -আলকদর, -আয়াত ১)

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
লাইলাতুল_কদর, কদর, কোরআন, ইসলাম

ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা ।মানব জাতির  হেদায়েতের জন্যে এ রাত্রে আল্লাহ তায়ালা সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব কোরআন কারিম নাজিল করেছেন ।

লাইলাতুল অর্থ রাত্রি আর কদর শব্দের অর্থ মর্যাদা,সম্মান,ভাগ্য। সুতরাং লাইলাতুল কদরের অর্থ দাঁড়ায় মর্যাদার রাত্রি, ভাগ্যের রাত্রি ।

হযরত মহাম্মদ সাঃ আলাইহি অয়াসাল্লাম বলেছেন: “এ মাসে এমন একটি রাত রয়েছে যা হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ, যে ব্যক্তি এই রাত্রির কল্যাণ থেকে বঞ্চিত, সেসব কল্যাণ থেকে বঞ্চিত”

                                                 ( মুসনাদে আহমাদ: ২/২৩০, ইব্নমাজা,নাসায়ী: ৪/১২৯)

সর্বশ্রেষ্ঠ কিতাব কোরআন কারিমে আল্লাহ এরশাদ করেন :

‘“নিশ্চয়ই আমি এটা (  কোরআন কারিম  ) নাজিল করেছি মহিমান্বিত রজনীতে” (সূরা -আলকদর, -আয়াত ১)।”

“Surely I have revealed it (Qur’an) in the glorious night ‘(al-Qadr-1).”


হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম লাইলাতুল কদর এর রাত্রি। মহান আল্লাহ কোরআনে বলেন  “ নিশ্চয়ই আমি এটা  (  কোরআন কারিম  ) নাজিল করেছি কদরের রাত্রে , তুমি কি জানো , কদরের রাত্রিটি কী? কদরের রাত্রিটি হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।”(সূরা:কদর-আয়াত : ১-৩)

 

লাইলাতুল কদরে কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে, এর দুটো অর্থের কথা বলা যেতে পারে,

১) এই রাতে সমগ্র কোরআন লাওহে মাহফুজ থেকে লাইলাতুল কদরে অবতীর্ণ হয়েছে,  এবং এর পর থেকে জিব্রাইল আ; কোরআন কে ধীরে ধীরে দীর্ঘ ২৩ বছরে মহানবী হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর নিকট পৌছে দিয়েছেন।  

২) এই মহান রাত্রে কোরআন এর কয়-একটি আয়াত নাজিলের মাধ্যমে কোরানের আয়াত অবতরনের ধারাবাহিকতার সূচনা হয় যা সম্পূর্ন নাজিল হতে সময় লাগে ২৩ বছর।

হাজার মাসের চেয়ে উত্তম লাইলাতুল কদর , এখানে গুনে গুনে হাজার নয় বরং অসংখ্য ,অগণিত দিন,বা মাসের কথা বোঝানো হয়েছে।   রামাদান মাসে কোরআন নাজিল হওয়ায় এটি শ্রেষ্ঠ মাস, আর লাইলাতুল কদরে নাজিল হয়েছে বিধায় এটা শ্রেষ্ঠ রাত্রি ।

 

 সারা বছরই নিয়মিতভাবে আল্লাহর হুকুম মেনে চলতে হবে, তাহলেই লাইলাতুলকদরের ফজিলত ও বরকত লাভের আশা করা যেতে পারে। সারা বছর আল্লাহর হুকুম মানলাম না, শুধু লাইলাতুল কদরে ইবাদত করলাম, পরের বছর আবার বছর জুড়ে আল্লাহর ইবাদত করলামানা ,আবার লাইলাতুল কদরে ইবাদত করলাম এটা মোটেই কাম্য নয় ।বছর জুরে  আল্লাহর হুকুম অমান্য করে শুধু লাইলাতুলকদরে ইবাদত করলেই যথেষ্ট হবে না, যা আমরা অনেকেই বুঝে-না বুঝে করে থাকি।  সারা বছরি আমাদের উচিৎ আল্লাহর হুকুম মেনে চলার কঠোর চেষ্টা করা, তবেই লাইলাতুল কদরের ফজিলত ও বরকত লাভের আশা আমরা করতে পারি।

সবকিছু আল্লাহই ভালো জানেন, তিনি-ই সকল কিছুর মালিক, ন্যায়  বিচারের মালিক। জীবনের জানা-অজানা সকল ভুলের জন্যে তার কাছেই ক্ষমা প্রার্থী ।

  ধর্মীয় আরো লেখা পড়তে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন

                                                       আরব ভূমিকে কেনো মহানবী হযরত মুহাম্মদ ( সাঃ) এর আগমনের জন্যে নির্ধারিত করা হলো? 

                                                       বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ – পর্ব ১ , মরুময় প্রান্তর আরবের পরিচিতি  

                                                       হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর জন্ম – ফুটলো গোলাপ মরুর বুকে 

জীবন সম্পর্কে ইসলাম যা বলেছে

রেফারেন্স

                    ১) সূরা -আলকদর (কোরআন )

                   ২) ( মুসনাদে আহমাদ: ২/২৩০, ইব্নমাজা,নাসায়ী: ৪/১২৯)

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন