এই বাংলাদেশের মাটিতে যতদিন স্বাধীনতার পদধ্বনি শুনতে পাওয়া যাবে, ততদিন বাংলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবনের গল্প, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের জীবন-কথা চির অম্লান হয়ে থাকবে । একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী, কারাগারের রুদ্ধ দুয়ার যার প্রতিবাদি কণ্ঠ কে দমিয়ে রাখতে পারেনি,তেমনি একজনের জীবন-কথা, তাঁর জন্ম-কথা বলব আজ।
বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসের আলোচনায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নাম উচ্চারিত হবে সম্মানের সাথে। অনেকজন বুদ্ধিজীবীর নাম আমরা শুনেছি।শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করি ,অথচ তাদের সম্পর্কে তেমন একটা জানিনা। কজন সম্পর্কেই বা বিস্তারিত জানি।কতজনের জন্ম সম্পর্কে আমরা জানি? কোথায় তাঁদের জন্ম? নতুন প্রজন্মের তাদের সম্পর্কে জানা উচিৎ। অনেকেই আছেন, সবার কথাই আমরা জানবো। আজকে জেনে নি মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে।
তার সম্পুর্ন নাম আবু নয়ীম মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরি। জন্ম ২৭ এ নভেম্বর ১৯২৫ সালে। মৃত্যু ১৯৭১ এর ১৪ ডিসেম্বরে।তিনি ছিলেন বাংলাদেশি শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, সাহিত্য সমালোচক একি সাথে একজন বাগ্মী। একজন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে আমরা তার নাম স্মরন করি। তিনি সে সময়কার ঢাকা জেলার মানিকগঞ্জে জন্মান। তাঁর বাবার বাড়ি নোয়াখালি জেলায়। চাটখিল থানাধীন গোপাইরবাগ গ্রামে।তিনি খান বাহাদুর আব্দুল হামিদ চৌধুরীরচৌদ্দ সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় । তাঁর অগ্রজের নাম কবির চৌধুরি।লিলি চৌধুরীর সাথে দাম্পত্ত জীবন শুরু করেন ১৯৪৯ সালে।মুনীর চৌধুরী ,এমন একজন ব্যক্তিত্ব, যিনি শত অত্যাচার আর আঘাতের পরেও সত্য উচ্চারনে পিছপা হন নি।তাঁর লেখনিতে কখনো ভাষার জন্য সংগ্রাম এর আকুতি ছিল,কখনো মুক্তির জন্যে পয়গাম ছিল। কারাগারের রুদ্ধ দুয়ার তাকে তাঁর পথ থেকে সরাতে পারেনি। কলম ছিল তাঁর অস্ত্র। যার প্রতিটি লেখা ছিল শ্ত্রু,আর দেশদ্রোহীদের জন্যে তীরের বিষাক্ত ফলার মত।
রেফারেন্স bn.wikipedia.org