আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাই ” রবিউল হাসান”
রবিউল হাসান নাম টা বলতেই কেমন যেন একটা তৃপ্তি লাগে। তৃপ্তি লাগে কেন, তাও আমার অজানা। তবে এটা জানা যে, নিজের আর একটা বড় ভাই আছে আমার। তার প্রতি যেটুকু সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধ আছে,ঠিক সমপরিমাণ সম্মান আর শ্রদ্ধাবোধ আছে আমার এই সাংবাদিক ভাইটার প্রতি।জাগো নিউজ এবং রংপুর টাইমস পত্রিকার সাংবাদিক রবিউল ভাইকে প্রথমে যখন দেখেছি, তখন আমি ইন্টারে পড়ি। সে সময়টাতে আমি তার বাড়িতে যেতাম, খরগোশ দেখতাম।আসলে আমি যেতাম কারণ তাঁর ছোট বোন মিলা আপু,যিনি আমার চেয়ে তিন ক্লাস এগিয়ে ছিলেন তিনি আমাকে প্রচুর স্নেহ করতেন। তবুও রবিউল ভাইয়ার সাথে তেমন কথা হতোনা। তবে রবিউল ভাই আমার পরিচিত হয়ে উঠলেন এলাকার কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম করে। বিশেষ করে তিনি আমার প্রিয় ছোট ভাইকে নিয়েও সংবাদ লিখেছিলেন। তখন থেকে ভাইয়ের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ বেড়ে যায়। রবিউল ভাইয়ের সম্পর্কে আমার জানার আগ্রহ বেড়ে যায়।
তার লেখা সংবাদ গুলো পড়তে শুরু করি। নির্ভুল তথ্য আর সঠিক সংবাদ পরিবেশন করার জন্য তিনি চর হতে চরাঞ্চলে ছুটে গিয়েছেন।কত বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন, কত হত্যার হুমকি পেয়েছেন তা যেমন অজানা, কত দুস্থ অসহায়কে নিয়ে তিনি লিখেছেন, তাদের সাহায্য করার ব্যবস্থা করেছেন তাও কিন্তু সবার অজানা।তার একটা কাজ প্রতিনিয়ত পছন্দ করে আসছি।তিনি অসহায়ের পাশে নিজের অর্থ দিয়ে সাহায্য করতে না পারলেও সেই অসহায়ের পাশে তার শক্ত লেখনী নিয়ে হাজির হন।তাকে অন্য কারো কাছে ভালো নাও লাগতে পারে। কিন্তু মনের মাঝে যেসব ব্যক্তি শ্রদ্ধার আসন অলংকৃত করেছেন,তাকে কি কখনো অশ্রদ্ধা করা যায়?যায় না। মাস কয়েক আগে তিনি তুরস্কে সাংবাদিকতার প্রশিক্ষণ নিতে গিয়েছিলেন। অনেক খুশি হয়েছিলাম আমরা সবাই। আজকাল হলুদে সাংবাদিকতায় নাকি ছেয়ে গেছে চারদিক। অথচ তার মধ্যে সেরূপ কোন কর্মকাণ্ড খুঁজে পাইনি বৈকি কেউ পাবে বলে মনে হয় না।হে প্রিয় পাঠক, যারা লেখে, তারা কোন দল বা ব্যক্তির নয়,হয়তো তারা কাউকে পছন্দ করে কিন্তু কাউকে ঘৃণা করতে পারে না।
এটা বুঝতে আমার যে সময় লেগে গেছে, তাতে বিস্তর জ্ঞান বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করি।২৫ শে জুন ২০১৯ তারিখ সকালের কথা, ফেসবুকে ঢুকে নোটিফিকেশন চেক করতেই আনন্দের একটা ঝিলিক বয়ে গেলো। আজ রবিউল ভাইয়ের জন্মদিন! তড়িঘড়ি করে টাইমলাইনে পোস্ট করতে গিয়ে দেখি টাইমলাইন বন্ধ! কি আর করা! বাধ্য হয়ে ভাইকে শুভ জন্মদিন লিখে মেসেজ দিলাম। আমি জানি তিনি হয়তো ব্যাপারটাকে স্বাভাবিক ভাবে নিয়েছেন।কিন্তু আমি নেই নি। যার আদর্শের কারণে আজ কত মানুষ উপকৃত হচ্ছে,তার জন্মদিন। ভাবা যায়? ঝুপঝাপ তার আইডিতে ঢুকে কয়েকটা ছবি ডাউনলোড করে নিলাম। আর এখন তাকে নিয়ে লিখছি। আসলে প্রিয় পাঠক, তাঁকে নিয়ে যে লিখছি,এটা আমার লেখা নয়। তাঁর প্রতি আমার শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাই, আপনার সাহসীকতাপূর্ণ এই পথে আপনার যেমন ঘোর বিরোধী আছে, তেমনি অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী আছে, যারা আপনাকে ভালোবাসে।আপনার মত হতে চায়। আপনি সব সময় সুস্থ ও সুন্দর জীবন যাপন করুন। মহান আল্লাহ আপনাদের মত মানুষদের সবসময় ভালোবাসেন।কেননা আপনাদেরকে মানুষ ভালোবাসে। আর আমরাও আপনাদের মত মানুষদের জন্যই দোয়া করি।
(সমাপ্ত)
লেখাঃ সাঈদ আল রবি।