হানিফ সংকেতঃ বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

হানিফ সংকেত বাংলাদেশের বিনোদন অঙ্গনের জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব । এটুকু বললেই সবকিছু বলা হয়ে যায়না। অথবা এটুকু বলাই যথেষ্ট। অনেকেরি হয়ত মনে আছে, সেই শৈশব যখন, আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতাম একটি নিদ্দৃষ্ট দিনে একটি অনন্য ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানের জন্য।  এক নামে পরিচিত-”ইত্যাদি”।  ইত্যাদি শুরু হয়েছে বলার সাথে সাথে সবাই যার যার কাজ ফেলে দৌড়ে আসত টেলিভিশনের সামনে আসন গ্রহন করতে। ইত্যাদি আমাদের হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে  , আমাদের আবেগের জলে ভাসিয়েছে। এই ইত্যাদির এ কে এম হানিফ  যখন কথা বলতেন তখন বাচ্চা থেকে বুড়ো এক অদ্ভূত ভালোলাগার আবেগ নিয়ে শুনতাম আর তাকিয়ে থাকতাম।

 

৮০ আর ৯০ এর দশকের দর্শক মাত্রই ভাগ্যবান। আমাদের মত করে আর কেউ হয়ত ইত্যাদিকে এভাবে উপভোগ করতে পারেনি। হানিফ সংকেত একজনি, ইত্যাদির হানিফ সংকেত। এই তথাকথিত ডিজিটাল জুগে, সভ্যতা যেখানে দলিত মথিত সেখানে এখনো ইত্যাদি আপন মহিমায় উজ্জ্বল । এই ইত্যাদি নামক প্লাটফর্ম থেকে জন্ম হয়েছে অসংখ্য গায়ক আর নামিদামিদের।

 

আচ্ছা আপনাদের নকুল বাবুর নাম নিশ্চই এখনো মনে আছে!  সেই নকুল ইত্যাদিতে যার গান প্রান জুড়াতো ছেলে বুড়োর।  এখন ইত্যাদি আগের মত বেশি হয়না, তবে যেটুকু হয় সেটুকুতেও থাকে প্রানের নির্জাস! এখনের হাজারো অনুষ্ঠানের যার খুবি অভাব।         

                                                                                                                                                          

 

                                                                        হানিফ সংকেতের জন্ম

 

১৯৫৭ সালে ,বাংলাদেশের  বরিশালে হানিফ সংকেত জন্ম গ্রহন করেন।তিনি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তাঁর জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে সমাজের ছোটবড় অসঙ্গতি পর্দায় তুলে ধরার প্রয়াশ পেয়েছেন। অর্থের পেছনে ছুটেন নি বলেই, মোবাইল কোম্পানীর মদেল হওয়ার প্রস্তাব গ্রহন করেন নি তিনি।  

 

                                                                                কর্ম জীবনঃ

 

 আমাদের হানিফ সংকেত একাধারে উপস্থাপক,লেখক,পরিচালক। তবে তাঁর উপস্থাপনাই তাকে সাধারনের মাঝে করেছে অসাধারণ।  ফজলে লোহানী“যদি কিছু মনে না করেন” ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে তিনি প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন।

 

শুরু থেকেই ইত্যাদি ছিলো জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এখানে তিনি সমাজের বিভিন্ন  বিষয়ে আলোকপাত করতেন সূক্ষ হাস্যরসের মধ্যদিয়ে। তিনি তাঁর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থান কে তুলে ধরেছেন ভিন্ন আঙ্গিকে। বিবিসি সহ বিভিন্ন জরিপে দেখা যাত এটাই বাংলাদেশের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা টেলিভিশন অনুষ্ঠান। বাংলাদেশের শতকরা ৭৫ ভাগ টেলিভিশন দর্শক এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

 

                                                                       রচনাসমূহঃ

হানিফসঙ্কেতের রম্য রচনার সংখ্যাও কম নয়। তাঁর বইসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘কষ্ট’ , ‘এপিঠ ওপিঠ’, ‘আটখানার পাটখানা’, ‘হামান্দিস্তা’, ‘কিংকর্তব্যবিমূড়’, ‘গণ্য মান্য সামান্য’ ইত্যাদি।

 

                                               

                                                                           নাটকঃ

তাঁর পরিচালিত নাটকসমূহের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- পুত্রদায়, বিপরীতে হিত, কিংকর্তব্য, আয় ফিরে তোর প্রানের বারান্দায়  ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

 

ইত্যাদির শুরুটা ৯০ এর দশকে। এখনো বাংলাদেশের টেলিভিশন অনুষ্ঠান গুলোর মধ্যে এটি সর্বাধিক জনপ্রিয়। তাঁর সামাজিক কার্যক্রমের জন্য তিনি ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। এছাড়াও দেশ-বিদেশে বিভিন্ন সম্মানে তিনি ভূষিত হন।  হানিফ সংকেত “ইত্যাদির” মাধ্যমে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন মজায় মজায়। এখনো সেই চির চেনা সুরটা কানে বাজে” ইত্যাদি্‌,…ইত্যাদি……   

 

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া