স্বপ্নপূরণ

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

-ডিপার্টমেন্টের প্রথম ব্যাচের স্টুডেন্ট৷ সব সময় প্লান ছিলো শিক্ষকতায় যাবো৷ পড়াশোনা সেটা মাথায় নিয়েই করতাম।

–পাশ করলাম। কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই সাব্জেক্ট না থাকায় এপ্লাই করা যেতোনা। নানান কারণে ঢাকায় থাকার দরকার ছিলো। তাই ঢাকার বাইরে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্লাই করতাম না। প্রথম এক বছর ঢাকার ভিতরে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রাই করলাম। বেশীরভাগ সময় ম্যানজমেন্ট অথবা মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে এপ্লাই করতাম। রিটেন প্রেজেন্টেশন পেরিয়ে যখন ভাইভা তে যেতাম তখন বলতো আপনি ম্যানেজমেন্ট বা মার্কেটিং ব্যাকগ্রাউন্ড এর হলে ভালো হতো। আপনাকে নেয়ার সুযোগ থাকতো। দুইটা ভার্সিটি আইবি চাইলো। পোস্ট কম। আমার ব্রিলিয়ান্ট ফ্রেন্ডরা জয়েন করে ফেললো। আমি রইলাম পড়ে৷ NSU, AIUB এরা IB চাইলেও ফরেন ডিগ্রী না থাকাই আমাদের কাউকে কখনোই ডাকে নাই।

–বছর খানেক পর এপ্লাই করা বন্ধ করে দিলাম। বউ কে বলতাম আমি টিচিং এ যাবো বাট মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছিলাম ব্যাংকার হয়ে যাবো। সে হিসাবে ব্যাংকিং মেটেরিয়াল পড়া শুরু করে দেয় এবং প্রো এক্টিভ ওয়েতে পড়ালেখা এবং কাজ দুইটাই করতাম। একাডেমিশিয়ান এর পড়ালেখা বাদ।

–আমার কানের কাছে আমার বউ সব সময় ঘ্যান ঘ্যান করতো কেনো আমি ব্যাংকে এতো মনোযোগ দিয়ে কাজ করছি। জিজ্ঞেস করতো তাহলে কি আমি শিক্ষকতায় যাবোনা। আমি বলতাম পাবলিক ভার্সিটি না হলে ব্যাংকেই থাকি৷ বলতাম চেষ্টা করছি। আরেকজন আমার বড় ভাই। যখনি ফোন করতো জিজ্ঞেস করতো শিক্ষকতার কি অবস্থা। আমি বলতাম নতুন ডিপার্টমেন্ট। অন্য বিশ্ববিদ্যালয় এই সাব্জেক্ট খুললেই একটা ব্যবস্থা হবে। তবে এটা ঠিক আমার অনেক ফ্রেন্ড আমাকে বকা দিতো। আমাকে নিয়ে আফসোস করতো। কল দিয়েই বকা দিতো। জিজ্ঞেস করতো আমি কেনো ব্যাংকে। আমার শিক্ষকতায় যাওয়া উচিত ব্লা ব্লা।

–স্বপ্ন পূরণের এক বছর পূর্ণ হলো। স্বপ্ন পূরণের আনন্দের যে অনুভূতি সেটা অন্যরকমের হয়। বলে বা লিখে বুঝানো যাবেনা। যারা অনুপ্রেরণা দিয়েছেন প্রত্যেককে অনেক ধন্যবাদ। যতদিন বেচেঁ আছি দোয়ায় আপনাদের /তোমাদের কে স্মরণ করবো। এই পেশার মান মর্যাদার ব্যাপারে আমি সচেতন। সবাই দোয়া রাখবেন।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া