লোকসাহিত্য বিশারদ দীনেশ্চন্দ্র সেনের যাপিত জীবন

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

শিক্ষাবিদ ও লোকসাহিত্য-বিশারদ দীনেশ্চন্দ্র সেনের(১৮৬৬-১৯৩৯)।  জন্ম মানিকগঞ্জ জেলার বগজুরি গ্রামে। বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসের জন্য তাঁকে স্মরন করা হয় শ্রদ্ধার সাথে। একজন মানুষ একটা দেশের সাহিত্যকে কতটা প্রভাবিত করতে পারে, তাঁর উদাহরণ তিনি। ঢাকা জেলার সুয়াপুর গ্রামে তাঁর পিতার জন্ম, পিতার সূত্রে তাঁর নিবাস ও সেখানেই ধরা যায়। 

মানিকগঞ্জ আদালতের উকিল ছিলেন তাঁর পিতা- ঈশ্বরচন্দ্র সেন। দীনেশ্চন্দ্র সেনের মায়ের নাম- রুপলতা দেবী। প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কবি সমর সেন ছিলেন দীনেশ্চন্দ্র সেনের পৌত্র। শিক্ষা জীবনে দীনেশ্চন্দ্র সেন ছিলেন মেধাবী। জগন্নাথ স্কুল থেকে ১৮৮২ সালে এন্ট্রান্স পাশ করেন। ঢাকা কলেজ থে এফ,এ পাশ করেন ১৮৮৫ সালেএবং  বি,এ ডিগ্রী লাভ করেন ১৮৮৯ সালে।

 

কর্মজীবনের শুরুতে তিনি শিক্ষকতা কে পেশা হিসেবে নেন।তিনি ১৯৩৯ এর ২০ এ নভেম্বর কলকাতায় দেহ ত্যাগ করেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন কালে ১৮৯৬ সালে  গ্রাম বাংলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে প্রাচীন বাংলার পুঁথি   সংগ্রহ করেন।  তিনি এসব উপকরনের সাহায্যে  ১৮৯৬ সালে ” বঙ ভাষা ও সাহিত্য”  শিরোনামে বাংলা সাহিত্যের এক অনিন্দ ইতিহাস রচনা করেন।  তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ হিস্টরি অব বেঙ্গল লিটারেচার রচিত হয় ১৯১১ সালে যা সকলের প্রশংসা  লাভ করে। 

 

এই বিখ্যাত সাহিত্য বিশারদকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯২১ সালে ডি. লিট ডিগ্রী প্রদান করে, এবং  “জগত্তারিণী স্বর্ণপদক” প্রদান করে ১৯৩১ সালে। তৎকালীন ভারত সরকার তাঁকে রায় বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেন। বাঙ্গালীর ইতিহাস চর্চায় যে গ্রন্থের প্রভাব প্রচুর  সেই “বৃহৎবঙ্গ ” নামক গবেষনাধর্মী গ্রন্থের রচয়িতা তিনি। তাঁর রচিত অসংখ্য গ্রন্থ রয়েছে। যা আজো কালের মায়ায় হারিয়ে যায়নি, বরং এখনো সেসব গ্রন্থ সর্বজন সমাদৃত । 

 

তাঁর রচিত প্রধান গ্রন্থ গুলোর মধ্যে অন্যতম “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য”  রচিত হয় ১৮৯৬ সালে । অন্যান্য গ্রন্থ গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো-“মৈমনসিংহ গীতিকা” ,    “পদাবলী মাধুর্য্য”(১৯৩৭),    “সরল বাংলা সাহিত্য”(১৯২২),  “বেহুলা” (১৯০৭),  “তিন বন্ধু” (১৯০৪) । তাঁর অন্যান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- “সতী”(১৯০৭), “ওপারের আলো” (১৯২৭),  “আলোকে আঁধারে” (১৯২৫), “ঘরের কথা ও যুগসাহিত্য” (১৯২২),  “নীল মানিক” (১৯১৮), “ফুল্লরা” (১৯০৭),  “মুক্তা চুরি” (১৯০৭), “সুকথা” (১৯১২) ইত্যাদি।

 

এই প্রখ্যাত সাহিত্য বিশারদ ১৯৩৭ সালের নভেম্বরের ২০ তারিখ কলকাতার বেহালায় মৃত্যুবরন করেন 

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া