আল্লাহর শোকর আদায় করে শেষ করতে পারবোনা। এত কষ্টের ভেতরেও আল্লাহ আমার ছেলের হেফাজত করেছেন। পড়াশুনা যতটুক করতেপেরেছে তাও আল্লার রহমত ছাড়া আর কিছুই নয়। মানুষ বলে চেষ্টা করলে সব হয়। কিন্তু আমি বলি আল্লাহ চাইলে চেষ্টায় কিছু হয়। এদিকে ধীরে ধীরে আমার মেয়ে তিন কন্যার জননী, আর একি সাথে এম,এ পাশ করেছে। সব কিছুই সম্ভব হয়েছে আল্লাহর অশেষ কৃপায়।
আমার জীবনের স্মৃতির মধ্যে একটা অংশ হলো আমার কর্ম জীবন। আমি জীবনে অনেকদিন কর্মজীবী মহিলা ছিলাম। আমিরুন্নেছা প্রাইমারী এন্ড কেজি স্কুলে আমার কর্মজীবনের শুরু। এই স্কুলে বৃষ্টি জুনাইদ দুই জন-ই পড়ালেখা করেছে। এরপর পাশাপাশি আরেকটি স্কুলে ষোলশহর পাব্লিক উচ্চ-বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করি। এরপর আমার বোন মোনীরার জামাই এর স্কুল – F.M international School এ কিছুদিন শিক্ষকতা করি। এরপর সর্বশেষ কালামিয়া গ্রামার এন্ড কেজি স্কুলে সর্বশেষ শিক্ষকতা করি। শিক্ষকতা পেশা সম্মানের, শিক্ষকতা পেশা আমার ভালো লাগার জায়গা।
তবে এখন কোন চাকরি করার ম শরীর আর মন কোন্টাই নেই। এখন ইচ্ছে বাকি দিন গুলো আল্লাহর রাস্তায় ক্লাটিয়ে দেওয়ার। মানুষের জীবনে কার হায়াত কতটুক আমরা জানিনা। সেই হিসেবে বলা যায় প্রতিটা মুহুর্ত আমাদের মৃত্যু জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। আল্লাহর কাছে এখন এক মাত্র চাওয়া, আল্লাহর প্রিয় বান্দা হয়ে, রাসুলের উম্মত হয়ে হয়ে বাচতে পারে এবং মৃত্যু যেন আল্লাহর প্রকৃত বান্দা হিসেবে,। রাসুলের উম্মত হিসেবে হয়। আল্লাহর কাছে চাওয়ার বেশি কিছু নাই, আমি যেন ইজ্জত সম্মান নিয়ে, আল্লাহর পছন্দনীয় ও কবুল্কযোগ্য আমল ও ইবাদত করতে পারি এই তৌফিক চাই। মৃত্যুর মুহুর্তে যেন পবিত্র কালেমা মুখে নিয়ে আল্লাহর কাছে যেতে পারি।