বাংলার পরিচয় জানতে হলে জানতে হয় বাংলার অতিত ইতিহাস। ইতিহাস না জেনে শুধু মুখে মুখে বাংলাকে জানা সম্ভব নয়। বললেই হয়না আমি বাঙ্গালী। কত টুকু জানি আমি, আমরা এই বাংলার ইতিহাস! আজ কিছুটা জেনে নেওয়ার চেষ্টায় আসুন ঘুরে আসি বাংলার মুঘল শাসন আমলের সুবেদার দের জগতে। এর আগের লেখায় বলেছিমা মীর জুমলার কথা। আজ জানবো আরেক বিখ্যাত সুবেদার এর কাহিনি।
মুঘল আমলের বাংলার একজন বিখ্যাত সুবেদার ছিলেন শায়েস্তা খান।বাংলায় মুঘল শাসন আমলের সুবেদার দের মধ্যে অন্যতম একজন তিনি।২ দফায় মোট ২২ বছর তিনি শাসন কার্য চালান। ইতিহাসে উল্লেখ আছে তাঁর শাসন আমলে টাকায় ৮ মন চাল পাওয়া যেত। বাংলার সুবেদার হিসেবে তিনি বিখ্যাত। শায়েস্তা খানের আমলে ঢাকার বিবিধ উন্নয়ন সাধিত হয়।। মির্জা আবু তালিবের পূর্বপুরুষ এবং মুঘলদের রাজ পরিবারে সাথেও তাঁর সখ্যতা এবং সম্পর্ক ছিল। পরবর্তিতে বাদশাহ শাহজাহান মির্জা আবু-তালিব কে উপাধি দেন শায়েস্তা খাঁ ।মির্জা আবু তালিব-তাঁকে অবশ্য আমরা শায়েস্তা খাঁ নামেই আমরা এক নামে চিনি । মুঘল দরবারে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের অবদানের জন্যে তিনি এ সম্মান পান। পরবর্তিতে শায়েস্তা খাঁ মুঘল দের দরবারে এবং সেনাবাহিনীতে অনুশীলন ও চাকরি করেন।
তিনি দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন, বিশ্বস্ততা অর্জন করে হয়ে উঠেন একাধিক প্রদেশের গভর্নর। সর্বোপরি তিনি একজন সফল সেনাপতি ছিলেন। যুবরাজ আওরঙ্গজেবের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠতা বারে গোল্কন্দার সম্রাটের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়। শায়েস্তা খাঁর পদন্নোতি হয়ে তিনি আমির-উল-উমারা উপাধি পান আওরঙ্গজেব সাম্রাজ্যে অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ।তিনি এ পদন্নোতি পান আওরঙ্গজেবেরই ভাই দারা শিকোর বিরুদ্ধে গ্রহন কৃত পদক্ষেপ এর ফলে।শায়েস্তা খাঁ বাং লার সুবেদার পদে অধিষ্ঠিত হন ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে, মীর জুমলার মৃত্যুর পরে । আওরঙ্গজেব ১৬৬০ সালে ডেক্কনের শিবাজীকে পরস্ত করার জন্য শায়েস্তা খাঁ কে নিযুক্ত করেন। পুনেতে তাবু স্থাপন করে শায়েস্তা খাঁ কঠোর নিরাপত্তায় বেষ্টিত হয়ে মহলে প্রবেশ করেন। মারাঠা ব্যক্তিদের কোন প্রবেশ অধিকার ছিলোনা পুনেতে।