সবার জীবনে কিছু কিছু শিক্ষকের ভুমিকা চিরদিন মনে রাখার মত। তবে সব শিক্ষকই কম বেশি ভুমিকা রেখে থাকেন তাঁর ছাত্রছাত্রীর জন্য।তাই সবার প্রতি আজীবন শ্রদ্ধা ও দোয়া রইল। আমি আমার প্রাথমিক ও হাই স্কুল এবং কলেজের ৩ জন শিক্ষককে সব সময় মিস করি।
প্রাথমিক : কামাল উদ্দিন স্যার। আমার জেঠা। উনি রাগি ছিলেন কিন্তু স্কুলে সবার পড়া নিশ্চিত করতে একনিষ্ঠ ছিলেন। আমি অনেক বেশি ঋণী।
স্কুলে : একরামুল হক স্যার। মোটামুটি সব ছাত্রদের আপন মানুষ। রাগটা বেশি, হেঁসে এবং হাসিয়ে বেত্রাঘাত করতে পারদর্শী উনি। ক্লাসে তাঁর পড়ানোর গুনে সবার প্রিয় স্থান দখল করে নিয়েছেন। আমার এস এস সি তে ওনার প্রভাব ছিল।
কলেজ : অসাধারণ ভালো একজন মানুষ মহসীন স্যার। উনি যুক্তিবিদ্যার শিক্ষক। ক্লাসে সংক্ষেপে নোট করে বুঝিয়ে দিতেন। আমাকে ভালো জানতেন। অনেক মিস করি স্যার কে। এইচ এস সি ফর্ম সাইন করার সময় স্যার এক দুই তিন বার জিজ্ঞাসা করেছে যুক্তিবিদ্যায় এ+ পাব কিনা। তৃতীয় বারে আমার উত্তর ছিল জ্বী পাব। না পেলে যে ওনার আগ্রহকে অপমান করা হবে। আল্লাহর ইচ্ছায় ওনার কথা রাখতে পেরেছি। স্যারের সাথে দেখা করতে যাব যাব করে যাওয়া হয়নি আজও।
এছাড়া যার কথা না বললে নয় এস এস সি এবং এইচ এস সি দুটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সব সময় সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। যার আদলে এসে অনেক দুর্বল ছাত্রছাত্রী আত্মবিশ্বাসী হয়। জিরো থেকে টেনে তোলার ক্ষমতা যার মধ্যে বিদ্যামান তিনি আমার আমাদের প্রিয় শিক্ষক এবং ভাই, সুজন ভাই। ওনার কাছে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষার পর পরিচয় । তখন থেকে ওনার কাছে আমি ঋণী যার শেষ নেই।
এরপর যার সাথে পরিচয় তিনি নাজমুল হাসান স্যার। দিনে দিনে যার পরিচয় ছড়িয়ে পরছে চট্টগ্রামের সব আইটি প্রিয় মানুষের কাছে। এমন মানুষ খুব বেশি নেই। যার মধ্যে কোন ক্লান্তি নেই, নেই কোন রাগ বা প্রতিক্রিয়া। আইটি সেক্টরে অবশ্যই ঠান্ডা মাথার লোক সফল হয় সহজে। ওনার এক সেমিনারে গিয়ে আইটির প্রতি আমার আগ্রহ জাগে। সুযোগ থাকলে ওনাকে আজীবন প্যারা দেওয়ার ইচ্ছা।
এরপর জিনি আছেন তিনি আমাদের সেনসেই। সেনসেই কে নিয়ে কিছু বলব না এখন। কারণ সেনসেই কি তা অনেকে বুঝবেনা।
অনেক দোয়া ও শ্রদ্ধা রইল আপনাদের প্রতি।