মানুষের জীবনের সাথে প্রকৃতির রয়েছে এক অপূর্ব বন্ধন। জীবন ও প্রকৃতি এক ও অবিচ্ছেদ্য। মিরসরাই , এর বারতাকিয়ার , স্টেশন রোড থেকে হেটে ৩০/৪০ মিনিটের হাটা পথে যাওয়া যাবে সোনাইছডা ঝর্নায়। সোনাইছডা ঝর্নায় চলছে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। মানুষের জীবনের সাথে, ভালোলাগার সময় গুলোর সাথে মিশে আছে মিরসরাই এর অসংখ্য ঝর্না।
সোনাইছডি ঝর্নার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন www.facebook.com/AmarJiboniDotCom
বন্ধুরা মিলে প্রকৃতির অভয়ারন্যে কাটানো সময় গুলোর কথা ভুলতে পারেনা কেউ। একটা অজানা শিহরন, অজানা আনন্দ, আদিম উল্লাস ভর করে যখন আপনি একা, বা আপনার পরিজন নিয়ে পৌছে যাবেন প্রকৃতির খুব কাছে। হয়ত কিছুটা কষ্ট হবে পথ পাড়ি দিতে, কিন্তু ট্রেইল ধরে যদি এগিয়ে যান ,পৌছে যাবেন এক আশ্চর্য শান্তির রাজ্যে।
মিরসরাই এ রয়েছে অসংখ্য ঝর্না, যা আপনার মনকে প্রকৃতির জন্যে ভালোবাসায় পূর্ন করতে যথেষ্ট । সরকার ও জনগনের কল্যানে ভবিষ্যতে মিরসরাই এর অনেক ঝর্নার মধ্যে অন্যতম সোনাইছডা ঝর্না এখন সবার আনন্দের অন্যতম উৎস । ঝর্না আগের হলেও এর নামকরন করা হয়েছে কয়েক মাস আগেই। বর্তমানে সেখানে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে, যা অদূর ভবিষ্যতে সোনাইছড়া কে নিয়ে আসবে অসংখ্য মানুষের কাছে।নিচের ছবিতে আপনার দেখছেন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্যে নির্ধারিত জায়গা।
আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে এই ঝর্না হবে আপনাদের আনন্দের উৎস । আপনি একা, বন্ধুদের সাথে বা পরিবারের সদস্যদের সাথে একবার ঘুরে আসতে পারেন মিরসরাই এর বারতাকিয়ার সোনাইছডা ঝর্নায়।
সর্বশেষ আমরা কজন যখন গিয়েছিলাম, তখন এর নামকরন হয়ে উঠেনি। ট্রেইল ছিলো দূর্গম। রেল লাইন পার হয়ে, গ্রামের রাস্তা ধরে হাটছিলাম। আমাকে বলা হয়েছিলো একটু দূরেই ঝর্না। আমি জানতাম না কতটা চড়াই উৎরাই পার হতে হবে। দূর্গম পথের যেন শেষ নেই, কিছু পাহাড় ভেঙ্গে শেষ পর্যন্ত পৌছে গিয়েছিলাম ঝর্নার কাছে। শীতল পানির স্পর্শে প্রান জুড়িয়ে গেলো।
তবে এখন অতটা কষ্ট হবেনা। নাম হীন সেই ঝর্না এখন নাম পেয়েছে। বারতাকিয়া এলাকার পূর্ব পোলমোগরা গ্রামের যাকে স্যেটেশন রোড় নামেই সবাই চেনে , সেখানের যেকোন মানুষ কে জিজ্ঞেস করলেই পেয়ে যাবেন সোনাইছডা ঝর্নার সহজ সরল ট্রেল। আপনার যাত্রা হোক আনন্দের।
সোনাইছডি ঝর্নার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন www.facebook.com/AmarJiboniDotCom