জার্মান দূর্গে নেইমারের প্রথম ও শেষ আঘাতের দিনে ব্রাজিলের প্রথম অলিম্পিক স্বর্ণপদক জয়

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

 আজকের আয়োজন নেইমারের একটি জয়ের গল্প নিয়ে।পরবর্তিতে অন্যান্য তারকাদের কীর্তিনামা ও পেয়ে যাবেন আশা করি।

ফুটবল বিশ্বকাপ মানেই ব্রাজিলের দৃষ্টিনন্দন ফুটবলের  রুপ দেখার এক আসর। ফুটবলে ব্রাজিল অন্যতম শক্তিশালী একটি দল। যদিও জার্মানি চার বার বিশ্বকাপ নিয়ে তাঁদের ঘাড়ের উপরেই নিশ্বাস ফেলছে।  ২০০২ এ পঞ্চম বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ি রোনালদোর ব্রাজিলের হেক্সা জয়ের স্বপ্ন পুরন হয়নি ২০০৬ এ । আরো একটি দীর্ঘশ্বাস এর নাম অলিম্পিকের  স্বর্ণপদক জয়ের আক্ষেপ।  সে আক্ষেপ অবশেষে ২০১৬ তে এসে ঘুচেছিলো নেইমারের হাত ধরে, বলা ভালো তাঁর ফুটবল জাদুতে। এর আগে অলিম্পিকে  কখনও স্বর্ণের দেখা পায়নি ৫ বার বিশ্বকাপ পাওয়া দলটি।

নিজের দেশের মাটিতে সেই আক্ষেপ ও ঘুচিয়ে দিলো নেইমার রা।

২০১৪  তে যে জার্মানির বিপক্ষে লজ্জার হার তাঁদের হারিয়েই অলিম্পিক এর  স্বর্ণপদক জয়ের আক্ষেপ মেটালো নেইমারের ব্রাজিল,বলা চলে এক ঢিলে দুই পাখি।

পুরুষদের বিভাগে পেনাল্টিতে পাঁচ -চার গোলের ব্যবধানে জয় পায় পাঁচ তারকার ব্রাজিল। যত বিশ্বকাপ জয় জার্সিতে তত তারকার নিয়মে ব্রাজিল কিন্তু পাঁচ তারকা চিহ্নিত দল।অলিম্পিকের দুই বছর আগেই এই জার্মানির কাছেই ৭-১ এর লজ্জায় ডুবতে হয়েছিলো তাঁদের। সেটা অবশ্য বিশ্বকাপ ২০১৪ এর সেমি-ফাইনালের কথা।  সেমি ফাইনালের হারের কষ্ট আরেক ফাইনালে সেই একি দলের বিপক্ষে জিতে লাঘব হয় বৈকি! নিজের দেশের মাঠে, নিজেদের জাত আরেকবার চিনিয়ে দিলো নেইমার রা। মারকানা স্টেডিয়ামে ৭৮ হাজার দর্শকের সামনে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ব্রাজিল ছাড়েনি ।

২০১৪ এর যে সেমি-ফাইনালের কথা বলছি সেটায় অবশ্য তারকা নেইমারের খেলা হয়নি ইঞ্জুরির কারনে। অলিম্পিক ফাইনালে ব্রাজিল কে নিজের করা ফ্রি কিক থেকে করা গোলে খেলা শুরুর ২৭ মিনিটেই এগিয়ে নিয়ে যায় নেইমার। যদিও  খেলার ২য় ভাগের শুরুর দিকেই , প্রায় ৬০ মিনিটের মাথায় জার্মানিকে সমতায় ফেরান ম্যাক্স মেয়ার। ১-১ সমতায় শেষ হয় অতিরিক্ত সময়ের খেলাও।শেষ পর্যন্ত  টাইব্রেকারে জয়সূচক গোলটি আসে নেইমারের পা থেকেই।আবারো কি জার্মান শিবির এ আঘাত হানতে পারবেনা ব্রাজিল?, এমন সব প্রশ্নের উত্তর  নেইমারের করা শেষ গোলটায় ছিলো ।

  

২০১৪ সেমি-ফাইনালে নেইমার ছিলেন না। ২০১৬ তে তিনি ছিলেন, আর জার্মান এর অলিম্পিক ফাইনাল জেতার স্বপ্নের  কফিনে প্রথম ও শেষ পেড়েক টাও তিনি ই ঠুকেন  ।

রেফারেন্স   en.wikipedia.org

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন