অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ এর জীবন চরিতঃপর্ব ৩

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
কায়কোবাদ,জীবন,জীবনী

অনীকের সাথে কথা হয়নি। তিনি সংযোগের বাইরে। নতুন যা কিছু তথ্য তার জন্য আমার শরণাপন্ন হতে হয়েছে ইন্দ্র-জালের কাছে। তার কাছে যা তথ্য পেয়েছি তা দিয়ে বেশ লেখা যায়। তবে সে লেখা শুধুই তথ্য কেন্দ্রিক হবে বলে আমার সুদৃড় বিশ্বাস ।

 

আজকের সকাল টা ছিলো মেঘলা। কিছুক্ষন বৃষ্টির পরেই বৃষ্টি ধরে এসেছে। সকাল থেকেই কারেন্ট ছিলোনা, আর মোঃকায়কোবাদ কে নিয়ে আমার লেখাটা অনাদরে পড়ে আছে। হ্যারিকেনের আলোয় গল্পের ঝুড়ি খুলে বসা এখন সুদূর কোন অতিতের কল্পনা।  তথ্য নিয়ে টানা-পোড়নের শেষে যা জানলাম তাই নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি আজ।

 

“সামান্যে কি তার মর্ম জানা যায়” এটা সম্ভবত কোন কবিতা বা গানের চরন বা তার একাংশ, ঠিক মনে আসছেনা, তবে কায়কোবাদ সম্পর্কে আমার প্রথম চিন্তা আজ এটাই। হাজার লেখার ভিড়ে কায়কোবাদের কাজের যে ফর্দ আমি দাড় করাচ্ছি তার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা। কায়কোবাদ রা কোথাও জীবনী লেখানোর জন্য কাজ করে যান নি, বরং তাকে নিয়ে দুটো কথা গাইতে পেরে আমি ধন্য।

 

যদি ড কায়কোবাদের কাজের ফিরিস্তি শুরু করি, সেটা টেকনাফ শেষ করে তেতুলিয়া যেতে পারে। সে ক্ষমতা আমার নেই। তাই কিছু কথাই না হয় বলি। এসিএম আইসিপিসি  বিশ্ব ফাইনালে বুয়েট দলের নেতৃত্বে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের তিনি বিশ্বমানের মেধার প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে উৎসাহ দেন। জাফর ইকবালের সাথে তার যৌথ চেষ্টায় বাংলাদেশে গনীত অলিম্পিয়াড়ের পথ সুগম হয়।  শুধু পথ তৈরি করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, যে পথের দিশা দিয়েছেন ছাত্র-ছাত্রিদের সে পথের শেষটায় পৌছুবার পথটাও বাতলে দিয়েছেন তিনি। পথের শুরু থাকলেও শেষটা পর্যন্ত পৌছানো কষ্টকর এটা নিশ্চই তিনি জানতেন ।

 

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ,চট্টগ্রাম স্টকএক্সচেঞ্জ সহ, অনেক নামী প্রতিষ্ঠানে তিনি কম্পিউটারাইজেশন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করেছেন। তার রচিত গ্রন্থের সংখ্যাও নেহায়েত কম নয়। লিখেছেন”মেধাবী মানুষের গল্প” “অলিম্পিয়ার্ড সমগ্র” “Computer Programming Contest and Bangladesh,” আরো অনেক বই।  তার অনেক বই এর নাম শুনেই আমার দাঁতকপাটি লেগে যাচ্ছে, তার কাছে এসব নিশ্চই নেহায়েত নিতান্ত ব্যাপার ছিলো!

 

“প্রথম আলো, ভোরের কাগজ, The Daily Star, The Observer, The Independent  ,এছাড়াও অন্যান্য লেখার জগতে লিখেছে ২০০ এর মত প্রবন্ধ। এই জ্ঞানী মানুষ কে নিয়ে লিখতে ভালই লাগছে ।হয়ত লিখতে লিখতে একটা গোটা উপন্যাস দার করানো যায়।

 

তবে সত্য বলতে কি চাইলেই বোধয় সবকিছু  সম্ভব নয়, অথবা আমি সে ভাবে চাইছিনা। ভালো থাকুক কায়কোবাদ, বাংলার বুকে আরো কায়কোবাদের জন্ম হোক, এত্ত এত্ত যে লিখতে গেলেই যেন কনফিউজ হতে হয়! কোন কায়কোবাদের কথা লিখবো!

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া