মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর পরিচয় ছোট বেলায় পাঠ্য বই এ পেয়েছিলাম। সে সময় মজলুম শব্দটার সাথে পরিচয় ঘটে। মজলুম সে ব্যক্তি যে কিনা অত্যাচারিত, যে শোষনের শিকার , যে বিপদাপন্ন,যে অসহায়। এমন মজলুমদের পাশে যে দাঁড়ায় তাকে মজলুম জননেতা বললে বিশেষ ভুল হবেনা। সেই যে পাঠ্য বই এ পড়েছিলাম, তখন থেকেই তাঁর নামটা মগজে গেথে গিয়েছিলো। আজ তাঁর সম্পর্কে কিছু জানা-অজানা কথা নতুন ভাবে জানবো।
মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ( Maulana Abdul Hamid khan Bhashani ) জন্ম সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে। পিতা-হাজী শারাফাত আলী । মা’র নাম বেগম শারাফাত আলী। তাঁদের চার সন্তানের তিন জন ছেলে , একজন মেয়ে। ভাসানী ছিলেন সবার ছোটমাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তাঁর জন্ম ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর ।মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ডাকনাম ছিলো চেগা মিয়া। বাবা মারা যখন ছেলে মেয়েরা ছোট ছিলো। হাজী শারাফাত আলীর মৃত্যুর কিছুদিন পরেই এক মহামারিতে মারা যান বেগম শারাফাত। শুধু তাই নয় মারা যায় তিন ছেলের দুই জন-ই। বেঁচে থাকেন-এক পুত্র সন্তান , ছোট্ট শিশু হামিদ খান, যার পরিচিতি ভবিষ্যতে হয়ে উঠে মজলুম জননেতা।
তিনি ছিলেন গনান্দোলনের নায়ক আর ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম তৃনমূল রাজনীতিবিদ । আমারা দেশ বিভাগ বা স্বাধীনতার পূর্বের কথা যখন বলি, তখন সামনে চলে আসে কিছু মানুষের নাম, এদের মধ্যে মওলানা ভাসানী , শের ই বাংলা একে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী অন্যতম। মজলুম দের পাশে দাড়াতেন বলে বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাঁর পরিচয় ছিলো মজলুম জননেতা হিসেবে। ১৯৫৪ সালের একটি দল পরবর্তিতে স্বাধীনতার চেতনার বীজ বপন করেছিল , সেই যুক্তফ্রন্টের গঠনকারি নেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্টায় ও তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছে।রাজনৈতিক জীবনের বেশির ভাগ সময় জুড়ে এই মজলুম জননেতা বামধারার রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন।তাঁর অনুসারীরা তাকে এই কারনে “লাল মওলানা” নামেও ডাকতেন। এক দূরদর্শী নেতা ছিলেন তিনি, তিনি পঞ্চাশের দশকেই বুঝতে পেরেছিলেন পাকিস্তানের অধীনে বাংলাদেশ কখনো উন্নত হতে পারবেনা ,বুঝতে পেরেছিলেন দেশটিতে অচল অবস্থা বিরাজ করবে যদি পাকিস্তানের অংশ হয়ে থাকে। পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের কে কাগমারী সম্মেলনে “ওয়ালাকুমুসসালাম” বলেছিলেন তিনি ১৯৫৭ সালে, সেদিনি ঘন্টা বেজে উঠেছিলো পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতার ।এই মজলুম জননেতার মৃত্যু ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর।
রেফারেন্স bn.wikipedia.org
 
							
