সাকিব আল হাসান শুধু মাত্র একটি নাম নয়।সাকিব আল হাসান এখন বিশ্বের তাবদ দেশে খেলছেন,নিজের দেশের ঝান্ডা উড়াচ্ছেন। একজন সমীহ জাগানো ক্রিকেটার। বাংলার হাজারো শিশু কিশোর এর আইকন ক্রিকেটার তিনি। সবাই সাকিব হতে চায়। অসুবিধা কই, এমন সাকিব আর কয়েকটা হলে দেশের ই লাভ। তবে এটাও সত্য এমন সাকিব বলে কয়ে জন্মায় না। শত বছরে এদের কদাচিৎ আগমন ঘটে। বদলে যাওয়ার জন্য, বদলে দেওয়ার জন্য। সাকিব যখন যেকোন দেশের ক্রিকেট প্রাঙ্গনে যে কোন জার্সি গায়ে নামে, চায়ের দোকানে ভিড় জমে জায়। না শুধু উইকেট পাওয়া নয়, নিজের দেশের রত্ন গর্ভা মায়ের ছেলে টা কে একপললক দেখার জন্যে মানুষে্র এ আবেগ। বলতে গেলে বাংলাদেশ এবং দেশের ক্রিকেটের ব্র্যাণ্ড সাকিব আল হাসান। একটা সময় ছিল যখন শচীন টেন্ডুলকার
, এডাম গিলক্রিস্ট , কপিল দেব, ব্রায়ান লারা এদের খেলার প্রসংশা করা আর আনন্দ উপভোগ করাই ছিলো বাঙালি ক্রিকেট প্রেমিদের একটা আবেগের অংশ। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের খর্ব শক্তির দেশ গুলোর সাথে আসা জয় ছিল ক্রিকেট প্রেমিদের জন্য ঈদের চাঁদ। অন্যান্য দেশের কিংবদন্তিদের জয়গান ছিলো আমাদের কন্ঠে , কারন একটাই নিজের দেশের সেই উচ্চতার একটা ক্রিকেটিও কিংবদন্তির অভাব। সে অভাব ঘুচিয়ে দিলেন সাকিব আল হাসান, চিনিয়ে দিলেন প্রথম থেকেই তার জাত।
তিনি শুধু খেলতেই আসেন নি, তিনি ক্রিকে্ট কে কিছু দিতে এসেছেন। অন্য দেশের কিংবদন্তি দের গুনকীর্তন বাদ দিয়ে বাঙ্গালী মেতে উঠলো বাংলার এক দামাল ছেলের জয় গানে। যে কিনা অল্রাউন্ডার নৈপূন্যে একে একে ছিনিয়ে নিচ্ছিলেন ক্রিকেটের সেরা অল্রাউন্ডারের সব ফরমেটের আসন। ক্রিকেটের তিন ফরমেটে সাকিব আল হাসানের নামটাই জেন মানায় বেশি। দেশ বিদেশের অন্যদের ছাপিয়ে অল্রাউন্ডার সাকিব রীতিমতো বিশ্ব কাপাচ্ছেন এখন।
বাংলাদেশে একজন কিংবদন্তি তূল্য ক্রিকেটারের অভাব ছিল, সেটা সাকিব বেশ ভালোই ঘুচিয়েছেন। দেশ-বিদেশের ক্রিকেট গ্রেট আর ভক্তদের প্রশংসা সাকিবের সাথে সাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট কেও নিয়ে গেলো অন্য উচ্চতায়।
এসব কি এক দিনে হলো? সাকিব এলেন, দেখলেন এবং জয় করলেন? মোটেই নয়। আসুন জানি তার জীবনের গল্প, তার কিংবদন্তি হওয়ার পেছনের এবং পরের কিছু কথা।
সাকিবের জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ।তার অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে। সাকিবের শুরুটা ছিলো অল্রাউন্ডার হিসেবে। এখনো সে জায়গাটা বেশ শক্ত করেই ধরে রেখেছেন।বাম হাত্তি ব্যাটসম্যান , বলিং ও বামহাতি অর্থডক্স স্পিনার হিসেবেই করেন। বলারদের বিপক্ষে তার ব্যাট ধারালো তরবারি
হয়ে উঠে প্রায়। বলিং টাও করেনবিশ্ব মানের বা্ম হাতের ঘূর্নিজাদুতে অনেক নাম করা খেলোয়াড়ের উইকেট তিনি নিমিশেই তুলে নেন।