সবার প্রিয় ‘ মাসুদ’ ভাইয়া

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
মাসুদ_ভাই, মাসুদ, masud, ইফতেখার_হোসেন_মাসুদ

সবার প্রিয় ‘ মাসুদ’ ভাইয়া 

একটি জনপ্রিয় নাম ইফতেখার হোসেন মাসুদ।একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী।  অন্য কারো কাছে না হোক অন্তত আমার কাছে জনপ্রিয়। তিনি এমন একটি মানুষ, যিনি মানুষকে স্বপ্ন দেখান। মাসুদ ভাইকে আমি মোটেও চিনতাম না। কেন চিনতাম না তাও আমার কাছে রহস্য। একদিন এক দোকানে বসে আছি, সেখানে তিনি এসে কথা বলছেন সবার সাথে। আমি অবাক হয়ে শুনছিলাম তার কথা। এটা ২০১৬ সালের কথা ছিলো, তিনি চলে যাওয়ার পর একজন কে জিজ্ঞেস করলাম, লোকটি কে? উত্তরদাতা অবাক হয়ে বললেন তুমি এনাকে চিনো না? এনি আমাদের এমপি সাহেবের ছেলে, মাসুদ। তার মুখে শুনলাম মাসুদ ভাইয়ের গল্প।

 

মাসুদ ভাই একজন অনন্য মানুষ। তার পরিচয় তিনি সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোতাহার হোসেনের পুত্র। কিন্তু তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নের অগ্রদূত হতে যাওয়া “আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন” এর প্রতিষ্ঠাতা। আলোকিত বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন একটি সেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। সম্মানিত মাসুদ ভাই তার এই সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাবে বিনা স্বার্থে জনসেবা মূলক কাজ করে যাচ্ছেন। না,একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হয়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন নি। তিনি এসেছেন সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে। ছিপছিপে ধরনের মানুষটির মাঝে কোন অহংকার নেই, নেই কোন ধরনের লোভ লালসা। বিন্দু বিন্দু জলের মত তিনি বিভিন্ন স্থান থেকে সহায়তা এনে বিলিয়ে দিচ্ছেন এলাকার গরীবদের মাঝে।

 

তার ও তার সংগঠনের মাধ্যমে কত গরীব মেধাবী শিক্ষার্থী শিক্ষাবৃত্তি পাচ্ছে, অনেকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশেও আছে। আমার এই প্রিয় ব্যক্তিটি এমন একজন মানুষ, যিনি নিম্নবিত্ত থেকে ধনী, সবার সাথে মিশে যান।পাঠক, মাসুদ ভাইয়ের সাথে আমার কিন্তু কোন পরিচয়ই ছিলো না। শুধু তার সকল প্রশংসা শুনেই যেতাম, কিন্তু দেখা আর হতো না। একদিন শীতের কাপড় বিতরণ করার জন্য তিনি বাড়ির সামনের কলেজ মাঠে এসেছেন শুনে প্রায় দৌড়ে গেলাম। কিন্তু ভাগ্য বুঝি অসহায় ছিলো! গিয়ে শুনি তিনি চলে গেছেন পাঁচ মিনিট আগে। ততদিনে তার ফেসবুক প্রফাইল আর গ্রুপ ঘুড়ে বেড়ানো আমার প্রতিদিনকার নেশা হয়ে গিয়েছে। তার সংগঠনের মাধ্যমে আমার একমাত্র মেধাবী ছোট ভাইটিও তুরস্কে লেখাপড়া করছে। খালি ছবিই দেখে গেলাম, কিন্তু দুধের স্বাদ কি ঘোলে মেটে?

 

প্রচন্ড আগ্রহভরে রইলাম যদি একদিন ভাইয়াকে সামনা সামনি দেখতে পাই ! সত্যিই আমি তার দেখা পেলাম, কোন একটা ঘরোয়া মিটিংএ। শুধু তাই নয় তিনি আমাকে নাম ধরে ডাকলেন। আমি আমার নাম বললাম আমি রবি।সেই সাথে আমার পরিচয় দিলাম। আসার সময় ভাবলাম এই সেই মহান মানুষ, যার হাত ধরে আমরা স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছি।যিনি মানুষকে চিকিৎসা,খাবার, বাসস্থান, শিক্ষা,বস্ত্র  আর কতকিছুর সহায়তা করে যাচ্ছেন। তার হাত ধরে কত জনের আজ দুমুঠো ভাতের ব্যবস্থা হয়েছে।আমার এই প্রিয় ব্যক্তির কাছ থেকে সবচাইতে বড় চমক ছিলো, তিনি একদিন হঠাৎ আমাদের বাড়িতে আসলেন! নির্বাচনের সময় বিভিন্ন কাজে এখানে সেখানে যেতেন তিনি। এসেছিলেন পাশের বাসায়, সেখান থেকে আমাদের বাড়িতে আসলেন আমাদের সাথে দেখা করতে। আমার মা তাঁকে আসার জন্য অনুরোধ করেছিলেন।তিনি এসে সবার কুশল জিজ্ঞেস করলেন। আমাদের সাথে কিছুক্ষণ গল্প করলেন। তারপর সন্ধ্যায় মাগরিবের আজান দিলো,তিনিও সাথে সাথেই চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। আমার কাছে সেই মুহূর্ত ছিলো অনেক স্মরণীয়।

 

পাঠক, আমার এই লেখাটি হয়তো তিনি পড়বেন, অথবা নাও পড়তে পারেন। কিন্তু বিশ্বাস করুন, আমার মত হাজার হাজার মাসুদ প্রেমী আছে। যারা প্রতিনিয়ত তার জন্য দোয়া করে যাচ্ছেন। সবাই তার সাফল্য কামনা করছেন। তার এসব কর্মকান্ড দেখে অনেকে হিংসাও করে,ক্ষতি করতে চায়। কিন্তু আমি জানি আমাদের দোয়ার কাছে তাদের এই হিংসা অনেক তুচ্ছ। মহান আল্লাহ আপনাকে সব সময় হেফাজতে রাখুন।

 

—————————————- লেখাঃ সাঈদ আল রবি। রচনাকালঃ ১১ই মার্চ ২০১৯।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া