বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও দায়িত্ব

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

এর আগেও দুইবার মামা হয়েছিলাম। সেইবার প্রথমবারের মতো চাচা হলাম। আমার মায়ের পুনর্জন্ম হলো। সময়কাল ১৩ই জুলাই ২০১৬। হ্যাপী বার্থডে আরিবা মামুনি। আজকের দিনে তুমি দুনিয়াতে আসছো আর আজকের দিনে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জয়েন করছি। সময়কাল ১৩ই জুলাই ২০১৭।

–আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের অনেক দায়িত্ব। বেশিরভাগ দায়িত্বে বাধ্যবাধকতা নাই। বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে সে দায়িত্বগুলো পালন করতে হয়। এই জন্য হয়তো শিক্ষককে সবাই সম্মান করে। এই জন্য হয়তো শিক্ষক হওয়া একটি অতি সম্মানিত পেশা। কয়েকটা দায়িত্বঃ

–১। Curricular aspects এ যাতে উন্নতি ঘটানো যায় সে জন্য কাজ করা। নিজেকে যেমন আরো জ্ঞানী করে তুলতে হবে (পিএইচডি একটা মাধ্যম) সাথে সাথে দেশের শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়নের জন্য কাজ করতে হবে।

–২। ক্লাস রুম শিক্ষা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যায়নে অংশগ্রহণ করা। শিক্ষার্থীরা যেহেতু তার শিক্ষক দ্বারা প্রভাবিত হয় তাই এই কার্যক্রম ক্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ হওয়া উচিত নই। ছাত্র-ছাত্রীদের মেধা মননের বিকাশে সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতার চেষ্টা করা উচিত। ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা তৈরী করা। ছাত্র-ছাত্রীদের ওয়েলফেয়ার এন্ড ডেভেলপমেন্ট এ কাজ করা। এই ছাত্ররা যেহেতু একটি দেশের ভবিষ্যত তাই সব দিক দিয়ে তাদের কে যোগ্য করে তোলার একটা চেষ্টা থাকা উচিত। সব চেষ্টা এককভাবে আসবে তা নয়। বেশীরভাগ চেষ্টা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবেই আসবে এবং যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে সেটা বাস্তবায়ন করতে হবে।

–৩। গবেষণা এবং কন্সাল্টেন্সীর সাথে যুক্ত হওয়া। সরকারী এবং বেসরকারী তত্তাবধানে পরিচালিত রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক কাজে ভূমিকা রাখা। গবেষণার মাধ্যমে রাষ্ট্রের পলিসি মেকারদের সহায়তা করা।

–৪। স্বীয় প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতির জন্য কাজ করা।

–৫। Innovation and Best practice introduce করা।

–৬। বিভিন্ন ধরণের প্রশাসনিক কাজে অংশগ্রহণ করা।

–এই প্রফেশনে আসছি আজকে এক বছর পূর্ণ হলো। কিছু কাজ শুরু করেছি। বেশিরভাগ কাজ শুরু করা হয়নাই। গত একবছর বেশীরভাগ সময় ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়েই ছিলাম। শুরুর দিকে নিজেকে তৈরী করতে হয়। পড়তে পড়তে মাঝেমধ্যে মনে হয় ১ ঘন্টার লেকচারের জন্য ২৪ ঘন্টা পড়া যথেষ্ট নই। চেষ্টা করে চলেছি। মানুষের সীমাবদ্ধতা অনেক। জ্ঞান সেই সীমাবদ্ধতা কমাতে সাহায্য করে বলে আমার বিশ্বাস।

–ভালোবাসা থেকেই এই প্রফেশনে আসা। দেশ ও দশের জন্য যাতে কাজ করে যেতে পারি সেই প্রার্থনা করি।সবাই সবার জন্য দোয়া করবো। আল্লাহ আমাদের প্রত্যেক কে স্বীয় দায়িত্ব পালনের সুযোগ এবং শক্তি দিক।

–সর্বশেষ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি ফটিকছড়ির সর্বস্তরের মানুষের প্রতি তাদের অকৃত্রিম এবং অপরিসীম ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশের জন্য।

–সবাই আরিবা এবং আমার পরিবারের সবার জন্য দোয়া করবেন।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া