বাউণ্ডুলে সেই ছেলেটি

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

বড্ড বাউণ্ডুলে স্বভাবের এক ছেলের গল্প বলছি আজ।যার জন্ম ১৯৯৯ সালের ৪ এপ্রিল পাঁচলাইশস্থ বিলুপ্ত উপশম হাসপাতালে।ডাক্তার বলেছিল এই ছেলেটি এক সপ্তাহর বেশী বাঁচবেনা যা শুনে তার দাদা-দাদী,নানু,সুন্দর নানু,খালা,মামা সহ পরিবারের অনেকে সিজদায় যাতে তাদের নাতী/ভাগিনা/ভাতিজা/ভাই আল্লাহ হায়াত দেয়।একসপ্তাহ সময় কেটে গেল আর ছেলেটি বেঁচে গেল।সে ছিল তার দাদা-দাদী,জেঠা,ভাই-বোন সবার আনন্দের উৎস।পরিবার সর্বদা তাকে নিয়ে থাকতো মাতোয়ারা।

 

আস্তে আস্তে সে বড় হতে থাকলো তার বয়স যখন আড়াই বছর তখন তার কামাল মামার কোলে করে স্যান্ডো গেঞ্জি পড়া শহরে চলে এল তখন কোরবানের ঈদের বেশ কিছুদিন বাকি।তাকে দেখে তার নানু,খালা,মামা সবাই আনন্দিত। এভাবে শুরু তার শহুরে জীবন তাকে মায়ের মত স্নেহ দিয়ে মানুষ করতে লাগলেন তার মেজ খালাম্মা,ছোট খালাম্মা,বড় মামী,মেজ মামীরা মিলে।তার খুশীর কোনটা কমতি রাখেনি তার বড় মামা,মেজ মামা,ছোট মামা।সে ছিল সবার আদরের বিসিঙ্গা।সারাদিন বাসা মাতিয়ে রাখতো সে।২০০৪ সালের একদিন তাকে তার ছোট খালাম্মা নিয়ে গেলেন ঘাটফরহাদবেগ প্রাইমারী স্কুলে।এখানেই শুরু তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন।তার জন্য স্কুল টাইমে বসে থাকতো সারাদিন কখনো তার ছোট খালামনি কখনো মেজ খালামণি।সেখানে একবছর পড়াশেষে তাকে তার ছোট খালামনি ভর্তি করান জামালখানস্থ শাহ ওয়ালী উল্লাহ ইনষ্টিটিউটে।এখানে পায় আইয়ুব স্যার এবং বশর স্যারের মত স্যারকে।স্যাররা ক্লাসে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ওরে নিশিগন্ধা গানটি করে তাদের মাতিয়ে রাখতো। এখানে তার বন্ধু হয় অপি,আবিদ,আদন।এভাবে এখানে পড়তে থাকে সে।ক্লাস ওয়ানে সে রোল এক হয় যা সে ক্লাস থ্রী পর্যন্ত ছিল।২০০৮ সালে তাকে মায়ের স্নেহ দিয়ে বড় করা ছোট খালার বিয়ে পুরাটা ভেঙ্গে দেয়।যার প্রভাব পড়ে তার শিক্ষাজীবনেও ক্লাস ফোরে রোল হয়ে যায় তার ৩।ক্লাস ফাইভে রোল হয়ে যায় তার ১৮।সে ক্লাস ফাইভে এক ছাত্র সংগঠনের সদস্য হবার দাওয়াত পায়।যা সাদরে গ্রহণ করে।

 

তার প্রাইমারী স্কুল জীবনের বন্ধু ছিল আশফাক,সামির,সাজিদ,ইমরুল সাকিব,ইমন(জাতীয় দল ক্রিকেটার)হুমাইরা,নাইমা,তাহমিনা,হাবিবা,সামিহা,তাসফিয়া সহ অনেকে।প্রাইমারী জীবন শেষে সে ভর্তি শাওই এর ক্লাস সিক্সে। ক্লাস টিচার হয় মাওলানা আলিমুদ্দীন।এভাবে শুরু তার মাধ্যমিক জীবন।এভাবে শুরু তার স্বাধীন জীবন একা স্কুলে যায় একা আসে।এভাবে কোনমতে সিক্স পাশ করে সেভেনে উঠে এখানে ক্লাস টিচার হিসেবে পাই তানজিনা ম্যামকে।তখন সে দাওয়াত পাওয়া সংগঠনের তুখোড় কর্মী।কোনমতে সেভেন পাশ করে উঠে এইটে। এই বছর জেএসসি তাই মোটামুটি লেখাপড়ায় মন দেয়।জেএসসিতে মোটামুটি রেজাল্ট হয়।জেএসসির পর গ্রামমুখী হয় সে। রেজাল্ট হলে নাইনে উঠে।কমার্সে ভর্তি হয়ে ক্লাস করতে থাকে। তখন হয় সৃজনশীল বিরোধী আন্দোলন। স্কুলের সামনে প্রেসক্লাবে আন্দোলন হওয়ায় প্রতিনিয়ত সে সহ তার বন্ধুরা যোগ দিতে থাকে।

 

নাইনে নওরিন নামে এক মেয়ের আগমন ঘটে তার জীবনে।যা ১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ছিল। কোন এক সমস্যায় স্কুল ছাড়ে সে।শাওই এর বন্ধু ছিল তার সাকিব শাহ,রিয়াজ,কামরুল সাকিব,মেহেদী,নয়ন, উসামা, রানা,জাহিদুল,মোরশেদ রাকিব সহ অনেকে।এরপর ভর্তি হয় এমইএস স্কুলে।এখানে নতুন বন্ধু হয় তার কিছু।হেয়ালীপনায় কাটিয়ে দেয় সময়।আসে এসএসসি।কোনমতে পাশ করে এখানে।এমইএস এর বন্ধু ছিল রাইসা,জেসমিন,নীরুপা,আরাফাত,প্রমি,হাবিবা,সুজয়,তন্ময়,অভিজিৎ,সুকান্ত,তিশা,আকিব,নিশাত,কাজী সহ অনেকে।

নানা কারণে পরিবারের আদরের ছেলেটি হয় অনেকের অপ্রিয়।তার বাউণ্ডুলে স্বভাব পরিবার মানতে পারেনি।সে আস্তে আস্তে গ্রামে থাকা শুরু করে গ্রামে তার বন্ধু হয় সোহেল,মাহিন,শাবাব,শাকিল,হানিফ,জাবেদ সহ অনেকে।।

ওহ আচ্ছা বাউণ্ডুলে ছেলেটির কথা বললাম তার পরিচয় দেয়া হলোনা সে হলাম আমি মাসউদুল হক

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন