ওমর খৈয়াম ( ১০৪৪ – ১১২৩)

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
ওমর খৈয়াম

ওমর খৈয়াম খােরাসানের রাজধানী নিশাপুরে জন্মগ্রহণ করেন  ১০৪৪ খিস্টাব্দে ।   তিনি ওমর খৈয়াম নামেই সমগ্র বিশ্বে পরিচিত । খৈয়াম হচ্ছে বংশগত উপাধি । খৈয়াম শব্দের অর্থ হচ্ছে তাবু নির্মাতা বা তাবু ব্যবসায়ী । খৈয়াম হচ্ছে বংশগত উপাধি।  সম্ভবত বংশের কেউ তাবু তৈরি করতেন কিংবা তাবুর ব্যবসা করতেন । আর সে থেকেই বংশের কিংবা পারিবারিক উপাধি হয়েছে খৈয়াম।  তাঁর আসল নাম গিয়াস উদ্দীন আবুল ফতেহ ওমর ইবনে ইব্রাহীম ।

 বাস্তবিক  অর্থে তিনিই ছিলেন খৈয়াম অর্থাৎ তাবু নির্মাতা । তিনি জ্ঞানের যে তাবু নির্মাণ করে গেছেন , আজও বিশ্বের অগণিত জ্ঞান পিপাসু মানুষ প্রবেশ করে জ্ঞানের সে তাবুর অভ্যন্তরে এবং আহরণ করে জ্ঞান ওমর খৈয়ামের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিস্তারিত জানা যায় না । এমন কি এ মনীষীর জন্ম তারিখ নিয়েও রয়েছে মতভেদ । পারস্য ঐতিহাসিকগণের মতে গজনীর সুলতান মাহমুদের মৃত্যুর কিছুদিন পূর্বে আনুমানিক ১০১৮ থেকে ১০৪৮ সালের মধ্যে কোন এক সময়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেন ।

 

ওমর খৈয়াম ছিলেন একজন বিশ্ব বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী , অংক শাস্ত্রবিদ , অর্জন করার তেমন কোন আশা আকাঙ্ক্ষা তাঁর ছিল না । তিনি কেবল মাত্র আত্মসন্তুষ্টির জন্যে বিজ্ঞান চর্চার অবসর সময়ে মনের খেয়ালে এক ধরনের চতুষ্পদী কবিতা লিখতেন । তিনি নিজ মাতৃভূমি ইরানেও জীবিতাবস্থায় কবি হিসেবে পরিচিত ছিলেন না । অথচ মনের খেয়ালে তাঁর লিখিত কবিতাগুলাে আজ সমগ্র বিশ্বে হয়েছে সমাদ্রিত এবং দখল করেছে সাহিত্য ও কবিতা জগতের শ্রেষ্ঠ সিংহাসন । ওমর খৈয়াম আজ সমগ্র বিশ্বের সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব । কিন্তু ইউরােপীয়রা অত্যন্ত কৌশলে এ মহামনীষীকে বিশ্ব বিখ্যাত একজন বিজ্ঞানীর পরিবর্তে কেবলমাত্র একজন কবি হিসেবে পৃথিবীর মানুষের সামনে পরিচিত কারার চেষ্টা করেছেন । ওমর খৈয়ামের মৃত্যু প্রায় ৭৩৪ বছর পর ১৮৫৭ সালে এডােয়ার্ড ফিজারেল্ড খৈয়ামের রুবাইয়াত ’ নামক চতুস্পদ কবিতাগুলাের ইংরেজি অনুবাদের দ্বারা সমগ্র ইউরােপে তাঁর রুয়াইয়াত ছড়িয়ে দেয় এবং তিনি কবি হিসেবে পরিচয় লাভ করেন ।

 

রেফারেন্স :  মাইকেল এইচ হার্টের The 100 অবলম্বনে

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া