লি কুয়ান ইউ যার নেতৃত্বে বদলে গেলো সিঙ্গাপুর। আসুন জেনে আসি তাঁর কর্ম জীবন সম্পর্কে। ৩১ বছরের শাসনে তিনি বদলে দিয়েছেন সিঙ্গাপুরের চিত্র, বিশ্বমানচিত্রে সিঙ্গাপুরের জায়গা এখপ্ন উন্নত রাষ্ট্রের মডেল হিসেবে। এই নেতা ৩১ বছরের শাসন কালে অপরাধ ধ ও দারিদ্র্যপীড়িত বন্দর-শহর থেকে সিঙ্গাপুরকে এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধ জাতিতে পরিণত করেন ।সিঙ্গাপুরের সংস্কারে নিত্য নতুন উদ্যোগ নেন লি কুয়ান ইউ । উগ্র জাতীয়তাবাদ ও ধর্মীয় মৌলবাদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান ছিল তাঁর । বিভিন্ন দল,জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে ঐক্য ,শান্তি,ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেন তিনি।
১৯৫৯ সালে ব্রিটিশ উপনিবেশ এর হাত থেকে মুক্ত হয়ে স্বায়ত্তশাসিত সিঙ্গাপুরে পিএপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। সিঙ্গাপুরের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হন লি কুয়ান। ১৯৫৯ সালে লি কুয়ানের নেতৃত্বে পিএপি ক্ষমতায় আসে। লি কুয়ানের নেতৃত্বে বদলে যেতে থাকে সিঙ্গাপুর ।সিঙ্গাপুর তৃতীয় বিশ্ব থেকে প্রথম বিশ্বের দেশে পরিণত হয়।লি কুয়ান তিন দশকের ও বেশি সময় ধরে সরকার প্রধান হিসেবে দেশ শাসন করেন। পিএপি দলটি দেশের সাধারন মানুষের আস্থা অর্জন করে ব্যাপক ভাবে ক্ষমতা বিস্তারে সক্ষম হয়। বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের পর পর ১৯৯০ সালে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ান লি কুয়ান ইউ।
প্রাকৃতিক সম্পদ না থাকা সত্তেও যে একটা দেশ অর্থনীতিতে এতটা শক্তিশালী অবস্থানে চলে আসতে পারে তার উদাহরন লি কুয়ান। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বের বুকে উন্নত রাষ্ট্রের মডেল এখন সিঙ্গাপুর। বিশ্বের বুকে অর্থনৈতিক ভাবে নতুন পথের দিশা দিয়েছে এই সিঙ্গাপুর।অনেক দেশের কাছেই লি কুয়ানের সিঙ্গাপুর উন্নয়নের এক আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবেই এখন পরিগনিত হয়।উন্নয়নের জন্য তাবদ বিশ্বের বাহবা কুড়ালেও মানবাধিকার এর দৃষ্টিকোন থেকে তিনি অনেক বার প্রশ্নবিদ্ধ হন।এ সম্পর্কে লি কুয়ান বলতেন উন্নতি করতে হলে একটি রাষ্ট্র কে কিছু স্বাধীনতা ত্যাগ করতে হয়।
সিঙ্গাপুর কে সবুজ ও পরিচ্ছন্ন রাষ্ট্রে পরিনত করতে উদ্যোগ নেন তিনি।।নিষিদ্ধ করা হয় চুইংগাম ও দেয়াললিখন । নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় পর্নোগ্রাফির উপর। সকল ধরনের অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেন লি কুয়ান। এই বলিষ্ঠ নেতার প্রচেষ্টাতেই সিঙ্গাপুর এখন বিশ্বের অন্যতম বাসযোগ্য শহর। দেশটিকে দুর্নীতির অভিশাপ থেকে মুক্ত করার পেছনে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ।