ইবনে বতুতার জীবনী : যিনি শামস-উদ-দিন নামেও পরিচিত

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
Ibn_Battutaman

ইবনে বতুতার জীবনী , যিনি শামস-উদ-দিন নামেও পরিচিত-  আসুন জেনে আসি তাঁর জীবনের জানা-অজানা কিছু তথ্য। ছোট বেলা থেকেই আমরা অনেকেই শুনে আসছি, পড়ে আসছি তাঁর কথা, তাঁর সফর নামা সম্পর্কে নানা গল্প সম্পর্কে আমরা অবগত। আসলেই কতটুকু জানি, কত টুকু জানিনা, আসুন জেনে নিই, মিলিয়ে নিই।

 

একজন মুসলিম পর্যটক, একজন চিন্তাবিদ একি সাথে  বিচারক আমাদের ইবনে বতুতা। তাঁর সম্পূর্ন নাম আবু আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা। ১৩০৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি, জন্ম হলো এক ভবিষ্যতের পরিব্রাজকের। রবিবার, মরক্কোর তাঞ্জিয়ারে জন্ম গ্রহন করেন তিনি।   চীন সহ পৃথিবীর অনেক স্থানে তাঁর জীবদ্দশায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। সারাটা জীবন ধরে ঘুরে বেড়িয়েছেন পৃথিবীর নানা প্রান্তে। মূলত তাঁর এই ভ্রমন পিপাসু মন, আর তাঁর এই ভ্রমন-ই তাঁকে পৃথিবীর মানুষের কাছে স্মরণীয় করে রেখেছে,রাখবে। ২১ বছরেই তাঁর ভ্রমনের শুরু।

 

এরপর আর থেমে থাকেননি তিনি , ভ্রমনের দীর্ঘ ৩০ বছরে পাড়ি দিয়েছেন ৭৫০০০ মাইল বা  ১,২১,০০০ কি,মি পথ। পথ জুড়ে দেখেছেন অনেক কিছুই,  শিখেছেন, আর ভবিষ্যতের মানুষের জন্যে রেখে গেলেন এক আশ্চর্য জ্ঞানের আধার । একমাত্র পরিব্রাজক হিসেবে ভ্রমন করেছেন সেকালের পৃথিবীর সমগ্র মুসলিম বিশ্ব ,শুধু তাই নয় সাক্ষাত করেছেন এর  সুলতানদের সাথে।  বর্তমান পশ্চিম আফ্রিকা থেকে তাঁর ভ্রমন শুরু হয়েছিলো। আর শেষ টা ছিলো অনেক পথ ঘুরে অনেক দেশ দেখে। মিশর, সৌদি আরব, সিরিয়া, ইরান , ইরাক, কাজাকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান , মালদ্বীপ , ভারত , বাংলাদেশ ,দক্ষিন-পূর্ব এশিয়া, শ্রীলঙ্কা  একি সাথে চীন ভ্রমনের এক বিশাল অভিজ্ঞতায় পূর্ন তাঁর জীবন। আপনারা অনেকেই হয়ত শুনেছেন পরিব্রাজক মার্কো পোলোর কথা, তিনি ছিলেন ভেনিসের ব্যবসায়ী। ইবনে বতুতার পূর্বেই তিনি দীর্ঘ পথ ভ্রমন করে জগদ্বিখ্যাত হয়েছিলেন। তবনে এটা কি জানেন ? ইবনে বতুতা মার্কো পোলোর তিন গুন বেশি পথ ভ্রমন করেছেন।  পথে পথে, দেশে দেশে ঘুরেছেন ইবনে বতুতা, এসব দেশের, সম্রাট, কাজী, সুলতান আলেমদের সাথে সাক্ষাত হয়েছিলো তাঁর। ৩০ বছর শেষে ৪০ টি দেশে ঘুরে স্বদেশ মরক্কোতে ফিরেন তিনি। এর আগেই তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়েছিলো মুখে মুখে। মরোক্ক ফেরার পথে মরক্কোর সুলতান আবু ইনান ফারসি ইবনে বতুতার ভ্রমণ কাহিনী লিখে রাখতে ইচ্ছুক হন, এবং এই কাজে  নিয়োগ দেন ইবনে যোজাইয়াকে ।  আমরা এই ভ্রমন কাহিনীর নাম বর্তমানে “রিহালা” নামে চিনি ।  এটাকেই ১৪ শতকের পৃথিবীর পূর্ব, দক্ষিন এবং মধ্য এশিয়ার  মুসলিম সাম্রাজ্যগুলোর ইতিহাসের অন্যতম প্রধান দলিল হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। ইংরেজীতে অনুদিত হয় ১৯৫৮ সালে।

( চলবে……………)

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া