আমার বন্ধুঃ ফরিদ উদ্দিন মোহাম্মদ কাউসার খান

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
লিখেছেনঃ Refayat Kabir Shawon    

May 25, 2017·  ( পোস্ট লিঙ্কঃ  Refayat Kabir Shawon এর এফবি টাইমলাইন  ) 

১৯৯৪ সাল। আমরা এইচ এস সি পরীক্ষার্থী। কম্পিউটার নামক বস্তুটি তখনও দেখিনি। এর মধ্যে খবর এল আমাদের ফরম ফিলআপ হবে কম্পিউটারের মাধ্যমে। আমরা মহাখুশি। সপ্ন দেখতে লাগলাম, স্টার ট্রেকে দেখা কম্পিউটারগুলোর একটা হয়ত আমাদের কলেজে আনা হবে। মেশিনের বোতাম টেপা মাত্র পূরণ হয়ে যাবে ফরম।

 

ফরম পূরণের দিন সকাল সকাল কলেজে হাজির। হলঘরে সবাই, অপেক্ষা কম্পিউটারের আগমনের। স্যার আসলেন হাতে খাকি কাগজের প্যাকেট। প্যাকেট থেকে বেরোল সাদার ওপর লাল বৃত্তে ভরা অসংখ্য কাগজ। আমাদের প্রত্যেকের হাতে একটি করে ধরিয়ে দিয়ে বললেন পূরণ করতে। ফরম পূরণের ব্যাপারটাতে আমরা একেবারে অনভিজ্ঞ নই। এস এস সি পাশ করেই কলেজে ভর্তি হয়েছি। এবারের ফরমটিতে দেখলাম সব তথ্যতো লিখতেই হবে, উপরন্ত প্রত্যেকটি হরফের জন্য একটি করে মাইক্রোস্কপিক বৃ্ত্ত ভরাট করতে হবে।

 

কম্পিউটারে ফরম পূরনের জন্য প্রতিটি কলেজের কিছু শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। আমাদের কলেজে এ দায়িত্বে ছিলেন এ. ওয়াই. এম ওবায়দুল আকবর স্যার। স্যারকে আমরা অভিযোগ করলাম, কোথায় আমাদের কম্পিউটারে ফরম পূরণ করার কথা, আর এখন আমাদের এই বৃত্ত ভরাট করতে হচ্ছে। স্যার বুঝিয়ে বললেন, কম্পিউটার খুব ব্যাক্তিত্বসম্পন্ন মানুষ। উনার সাথে যোগাযোগ করতে হলে উনার ভাষায় কথা বলতে হয়। আর বৃত্তই হচ্ছে কম্পিউটারের ভাষা।

 

গোল বৃত্ত ভরাট করতে গিয়ে গোল বাঁধে আমার বন্ধু ফরিদ উদ্দিন মোহাম্মদ কাউসার খানের ফরম পূরণের সময়। কি কারণে জানি কতৃপক্ষের ধারণা হয় বাংলাদেশের কোন মানুষের নাম লিখতে ৪০ টির বেশি হরফের প্রয়োজন নেই। তাই এস আই এফ ফরমে ৪০ টি ঘর রাখা হয়। সমস্যা সমাধানে কোন কুল কিনারা না পেয়ে স্যার লম্বা নামের জন্য কাউসারকে বকতে লাগলেন, এমনকি এত বড় নাম রাখা যে তার বাবা-মার অদূরদর্শিতা তাও বললেন। কাউসার আর সহ্য করতে পারল না স্যারকে স্বরণ করিয়ে দিল তাঁর নামটিও কম লম্বা নয় ‘আবু উবাইদ মোহাম্মদ ওবায়দুল আকবর’। রসিক স্যার দমবার পাত্র নন। গর্বের সাথে বললেন কম্পিউটার নামক জটিল যন্ত্রের আক্রমনের পূর্বেই তিনি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা জীবন শেষ করেছেন। পরবর্তিতে শিক্ষা বোর্ড, মন্ত্রনালয় আর বুয়েট কম্পিউটার সেন্টারের বিশেষজ্ঞরা মিলে লম্বা নামওয়ালাদের কম্পিউটারের ফরম পূরণ সমস্যার সমাধান করেন।

 

 

দু্ই যুগ পরের কাহিনী

(সংবিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ : এই গল্পের প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক)

ফরিদ সাহেব একটি বেসরাকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন। খাটনি অনেক হলেও মাইনে নেহাৎ কম নয়। তিন ছেলে মেয়ে নিয়ে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটিতে একটি পুরোন বাড়িতে ভাড়ায় থাকেন। এদিকের পুরোন বাড়িগুলো প্রায় ভেঙে নতুনভাবে করা হয়েছে। ডেভেলপারদের করা বাড়িগুলোর জটিল নাম, রঙের বাহার আর ইউনিফর্ম পরা গার্ডদের স্যালুট দেখে বুঝতে পারেন ওগুলোতে থাকা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ভয়ে আছেন কখন তাঁর বাড়িওয়ালা ডেভেলপারদের ফাঁদে পা দেন। অন্তত ছেলে মেয়েদের পড়াশোনা শেষ না হওয়া পর্য়ন্ত তিনি এ এলাকায় থাকতে চান।

 

হুমায়ুন আহমেদের নাটকের মত ফরিদ সাহেবের পরিবার। কাক ভোরে ওঠা, একসাথে ব্রেকফাস্ট আর ডিনার – সবকিছু নিয়ম মাফিক – হিসেবে কোন গরমিল নেই। বেতনের টাকা হাতে পেয়েই সব হিসাব আপ টু ডেট করে নেন ফরিদ সাহেব। বাচ্চাদের স্কুলের বেতন, বাড়িভাড়া, গ্যাস, বিদ্যূত, টেলিফোন প্রভৃতির বিল। শুধু খটকা থাকে একটু বিদ্যুত বিল নিয়ে। প্রতিমাসে দেখেন তাঁর ব্যাবহার করা ইউনিট থেকে একটু বেশি বিল করা হয়েছে। ব্যাপারটা নিয়ে তিনি মিটার রিডারের সাথে কথা বলবেন বলে স্থির করলেও তার দেখা পাননি। এদেশে মিটার রিডারদের আসা যাওয়ার কোন নির্ধারিত নিয়ম নেই। যাহোক ফরিদ সাহেব ব্যাপারটা নিয়ে আর ভাবেন না।

 

বছর কয়েক আগে বিদ্যুতের এনালগ মিটার খুলে ডিজিটাল মিটার লাগানো হয়েছে। মিটার ক্রয় বাবদ কিছু টাকাও গুনতে হয়েছ তাঁকে। তবু তিনি খুশি, ভাবলেন এবার হয়ত তাঁকে আর অতিরিক্ত বিল দিতে হবে না। ফরিদ সাহেবের ভুল ভাঙল যখন তিনি বূঝতে পারলেন এনালগ আর ডিজিটাল মিটারের পার্থক্য হল এনালগ মিটারের নম্বরগুলো চাকার মত ঘুরে আর ডিজিটালে তা ক্যালকুলটেরের পর্দার মত পরিবর্তিত হয়।

 

কিছুদিন আগে আবার মিটার পরিবর্তন। এবার প্রিপেইড। ব্যান্কে গিয়ে বিল দেয়ার ঝক্কি আগেই শেষ হয়েছে। বছর দুয়েক ধরে ফরিদ সাহেব গ্রামীন ফোনের মাধ্যমে বিল দেন। বিল দেয়ার জন্য এখন আর অফিস থেকে আধবেলা ছুটি নিয়ে ব্যান্কের বারান্দায় লাইন ধরে দাঁড়াতে হয় না। আর এবার প্রিপেইড মিটার হলেতো ব্যাপারটা আরো সহজ হবে। আর মিটার রিডারের কারনে বাড়তি বিলও দিতে হবে না। তার উপর তিনি শুনেছেন প্রিপেইড মিটারগুলো ফ্রিতে দেয়া হবে। তিনি মহা খুশি।

 

প্রিপেইড মিটার লাগানোর লোক এল। গিন্নি ফোন করলেন। নতুন মিটারের অনেক কিছু বুঝে নেয়ার আছে। অফিসের সবাইকে সুখবরটা দিয়ে আধবেলা ছুটি নিয়ে ফরিদ সাহেব ছুটে বাসায় এলেন। নতুন মিটার লাগানো হল, পুরোনটা খোলা হল। যেহেতু নতুনটা ফ্রি দেয়া হয়েছে তাই পুরোনোটা কর্তারা নিয়ে যাবেন। ফরিদ সাহেবের কোন আপত্তি নেই তাতে। খোলার পর তাঁর পুরান মিটারের সাথে বিলটা মিলিয়ে নিলেন। দেখলেন রিডিং থেকে তিনি 200 ইউনিট বেশি বিল দিয়েছেন। ব্যাপারটা কর্তাদের জানালে স্মিত হেসে জবাব দিলেন ‘এদেশে কিছু দিয়ে দিলে কি ফেরত পাওয়া যায়’।

 

ফরিদ সাহেব আপত্তি করেন না। ভবিষ্যতেতো তাঁকে আর এ সমস্যায় পরতে হবে না। দেশ এখন ডিজিটাল যুগে। বিদ্যুত বিভাগের কর্তারা মিটারের টেকনিক্যাল দিকগুলো বুঝিয়ে দেন – টাকা ভরার নিয়মকানুন, কি চাপলে কি হবে ইত্যাদি। সবশেষে সামান্য টাকা বকশিষে বিদেয় হন।

 

ফরিদ সাহেব খুশি মনে ঘরে ঢুকেন। সবরুমের বাতি ফ্যান চালিয়ে নতুন মিটারের কাজ পরীক্ষা করতে থাকেন। তখনেই ঘটে বিপত্তি। বিদ্যুত চলে যায়। কিন্তু পাশের বাড়ীর বাতি ঠিকই চলছে। ফরিদ সাহেবের চাররুমের বাসা। লাইট ফ্যান বাদে বৈদ্যূতিক সরন্জাম বলতে দুটো ফ্রিজ, একটি টিভি, একটি কম্পিউটার। দুরুমের বাতি বন্ধ করলেই আবার বিদ্যুত চলে আসে। মিটার লাগানোর সময় বিদ্যুত বিভাগের এক কর্তা ফোন নম্বর দিয়ে গিয়েছিলেন। ফরিদ সাহেব তাঁকে ফোন করলেন। সমস্যাটা ফরিদ সাহেবের একারনা। বিল্ডিংয়ের সমস্ত ফ্ল্যাটের।

 

পরদিন কর্তা আসলেন জানালেন মিটারের নির্ধারিত লোডের চেয়ে তাঁদের বিদ্যুত ব্যাবহার বেশি। সবার মিটারে এ মুহুর্তে লোড ১ কিলোয়াট। যার যা প্রয়োজন সে অনুপাতে বাড়াতে হবে। ফরিদ সাহেবেরটা করতে হবে ৩। ফরিদ সাহেব জানতে চাইলেন কিভাবে করতে হবে। কর্তা তাঁকে নিয়মকানুন জানালেন। প্রতি কিলওয়াটের জন্য ৩৭৫ টাকা সরকারী ফি। ফরিদে সাহেব হিসেব করে দেখলেন পুরো কাজটি করতে তাঁর কমপক্ষে দুই দিন ছুটি নিতে হবে। অফিসে এ মূহুর্তে কাজের ভীষন চাপ। কর্তা ফরিদ সাহেবের চিন্তা ধরতে পারলেন। বললেন ৩৭৫ এর জায়গায় প্রতি কিলোওয়াটের জন্য ৮00 করে দিলে তাঁকে আর দৌড়তে হবে না। ফরিদ সাহেব রাজী হলেন। ফ্ল্যাটের সব রুমের বাতি জলল। ফ্রীজের পানি ঠান্ডা হল। বিদ্যুত বিভাগের কর্তা খুব ভাল মানুষ। তাঁর বর্ধিত লোডটা মিটারের ডিস্প্লেতে দেখালেন। দীর্ঘদিন একাউন্টস এ চাকরি করে ফরিদ সাহেবের মধ্যে একটা ছোঁক ছোঁক ভাব এসেছে। জানতে চাইলেন আগে ছিলো এক কিলো লোড, তিনি বাড়তি টাকা দিয়েছেন ৩ কিলোর জন্য, তাহলে মোট হওয়ার কথা ৪ কিলো, কিন্তু হল তিন কিলো। কর্তার স্মিত হাসি উড়ে গেল – গম্ভীর মুখে বললেন এটাই নিয়ম।

 

মোবাইলের মত প্রিপেইড মিটারে ব্যালান্স চেক করতে পারার ব্যাপরটা ফরিদ সাহেব খুব উপভোগ করেন। প্রতিদিন বিকেলে এসে মিটারের ব্যালান্স চেক করে বাড়িতে ঢুকেন। সেদিন দেখলেন আর মাত্র পঞ্চাশ টাকা আছে। বাড়িতে ঢোকার আগে দৌড়লেন গ্রামীন ফোনের দোকানে। দোকানদার বিষন্ন মনে জানালেন প্রিপেইড মিটারের চার্জ সেখানে সম্ভব নয় যেতে হবে ষোলশহর বিদ্যুত অফিসে। গেলেন সেখানে, তখন সন্ধা ছ’টা। অন্ধকার বিদ্যুত অফিসের দাড়োয়ান জানালেন। বিকেল চারটার মধ্যে কার্ড কিনতে হয়। বিষন্ন মনে বাড়ি ফিরলেন ফরিদ সাহেব। ভাবলেন রাতটা কোনরকম কাটিয়ে সকালে কার্ড কিনবেন। পরদিন ছিল শুক্রবার। এদিন কার্ড বিক্রি বন্ধ। দূপুর এর কিছু পরে জোরে শব্দ করতে লাগল মিটার। টাকা চাই।

 

পাশের ফ্ল্যাটের রফিক সাহেব এগিয়ে এলেন। তাঁর কাছে একটি ৫০০ টাকার এক্সট্রা কার্ড কেনা ছিল। তাঁর ব্যালান্সে আরো কদিন চলে যাবে। রফিক সাহেবকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফরিদ সাহেব গেলেন মিটার রিচার্জ করতে। কিন্তু হায় হচ্ছেনা। পরে জানতে পারলেন এটি মোবাইলে টাকা রিচার্জ করার মত সহজ ব্যাপার না। নির্ধারিত মিটারের জন্য নির্ধারিত কার্ড নেতে হয়।

 

পরদিন যথাসময়ে ফরিদ সাহেব গেলেন বিদ্যুত অফিসে। বেশ বড় লাইন। এগুচ্ছেনা মোটেও। ঘন্টাখানেক পর জানতে পারলেন সার্ভার ডাউন। ঘন্টা দেড়ক পর সার্ভার ঠিক হল। লাইন এগু্চ্ছে, আর মাত্র একজন। আবার কাজ বন্ধ। এবার প্রিন্টারের কাগজের রোল শেষ। ফরিদ সাহেব ভাবতে লাগলেন। এনালগ পদ্ধতিতে ব্যান্কে বিল দিতে অন্তত সার্ভার বা কাগজের রোলের সমস্যা হত না।

 

এরকম একটি গল্পের একটি উপসংহার থাকে, যেখানে কাউকে দায়ী করা হয় কিংবা সমস্যার সমাধান সাজেস্ট করা হয়। এর জন্য যে সাহসের প্রয়োজন তা আমার নেই। শেক্সপিয়রেরও ছিল না। শেক্সপিয়র, রাজশক্তিকে প্রশংসা করে যখন কিছু লিখতেন তখন তাঁর নাটকের পটভূমি হত ইংল্যান্ড আর যখন রাজশক্তির খারাপ দিক দেখাতেন পটভূমি বানাতেন অন্য কোন দেশকে। আমিও চেষ্টা করে দেখি।

 

কাহিনীটি কর্মসূত্রে বইতে পড়া। জ্যাকি স্মিথ যুক্তরাজ্যের সরাষ্ট্র মন্ত্রি থাকাকালে সকল নাগরিকের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার উদ্যোগ নেন। কম্পিউটার নির্ভর জাতীয় পরিচয়পত্র কি ধরনের সমস্যা সৃষ্টি করতে তা নিয়ে একটি প্রবন্ধ লিখেন লন্ডন স্কুল অব ইকনমিস্কের অধ্যাপক আয়ান এনজেল। সে প্রবন্ধটি বৃটিশ সরকার অনূমোদিত পিয়ারসন প্রকাশিত অষ্টম শ্রেনীর ইংরেজি বইতে পাঠ্য (সরাষ্ট্র মন্ত্রিকে আক্রমন করে লেখা প্রবন্ধ সরকার অনুমোদিত বইতে পাঠ্য হওয়া বৃটেনে অস্বাভাবিক নয়)

 

আয়ান এঞ্জল তাঁর প্রবন্ধে অতি মাত্রায় কম্পিউটার নির্ভর হওয়ার বিপদ নিয়ে কিছু উদাহরণ দেন। যুক্তরাজ্যে বায়মেট্রিক্স আইডি কার্ডের প্রচলনের আগে সংসদ সদস্যদের পুরো বিষয়টা নিয়ে ডেমো দেয়া হয়। এসময় সাংসদ বেরনেস এনলি অব সেন্ট জোসের চেহারা কম্টিউটার সনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়, কারণ তাঁর চেহারার রেখাগুলে ব্ল্যান্ড ছিল।

 

বিখ্যাত বার্কলে ব্যান্ক তাদের কার্জক্রম কম্পিউটারাইজ করার পর, একবার লেখিকার লেনদেন বন্ধ করে দেয়। কারণ তাদের কম্পিউটারের তথ্য অনুযায়ি ওই একাউন্টটি অন্য এক আয়ান এন্জেলের। ১৪ বছর বয়সি এ আয়ান এন্জেলেও লেখিকার ঠিকানায় থাকেন এবং লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্সের অধ্যাপক। অতিমাত্রায় কম্পিউটার নির্ভর ব্যান্ক কর্তাদের বোঝাতে লেখিকাকে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয় যে ১৪ বছরের এক কিশোরী ৩৫ বছর আগে করা একাউন্টের মালিক হতে পারে না।

 

লেখিকার গবেষনায় আরো উঠে আসে, কম্টিউটার নিয়ন্ত্রিত যুক্তরাজ্যের ড্রাইভিং লাইসেন্স সিস্টেমে এক তৃতিয়াংশ এন্ট্রিতে গোলমাল আছে। অন্যান্য ক্ষেত্রেও তাই। এছাড়া পুরো সিস্টেম ক্র্যাশ আর তথ্য ব্যাহাত হওয়ার সম্ভাবনাতো সবসময়ই থাকে।

এত কিছুর পরও কেন বৃটিশ সরকার কম্পিউটার নির্ভর জাতীয় পরিচয়পত্রের দিকে ছুটছে। লেখিকা আয়ন এন্জেলের মতে, সরকারের মন্ত্রিরা জর্জ অরওয়েলের বিখ্যাত উপন্যাস 1984 পড়েছেন, তাতক্ষনিকভাবে এ উপন্যাসের সরকার পদ্ধতি তাদের পছন্দ হয়েছে – সবদিক থেকে মানুষকে নিয়ন্ত্রন।

 

জুরাসিক পার্ক খ্যাত লেখক Michael Crichton তাঁর একটি বইয়ের ভূমিকায় বলেছিলেন প্রযুক্তি এখন এত বুদ্ধিমান হয়ে যাচ্ছে যে, যে কোন সময় এটি মানুষের সাথে যুদ্ধে নামতে পারে। প্রযু্ক্তি যাদের হাতে তাদের মেধা যদি প্রযুক্তির চেয়ে ধারাল না হয়, তা মানবজাতির ধ্বংস নিয়ে আসতে পারে।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন