অধ্যাপক ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী (জন্মঃ ৯ মে,১৯৫০) একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক।অধ্যাপক রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ফোকাসড ইমপ্যাড্যান্স পরিমাপ পদ্ধতিটি বিকাশের জন্য সুপরিচিত। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ শারীরিক বিজ্ঞান বিষয়ে অবদানের জন্য তিনি বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেসের একাডেমী গোল্ড মেডেল পুরুস্কারে ভূষিত হন।
শিক্ষা এবং পেশা
রাব্বানী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ইসলামাবাদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন যথাক্রমে ১৯৭০ এবং ১৯৭২ সালে । তারপর তিনি ১ ৯৭৮ সালে মাইক্রোইলেট্রিক্সের সাউথাম্পটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমনওয়েলথ স্কলার হিসাবে তার পিএইচডি অর্জন করেন । এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অনুষদের সদস্য হিসাবে যোগ দেন।২০০৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পদার্থবিদ্যা ও প্রযুক্তি বিভাগের স্নাতকোত্তর বিভাগের প্রথম চেয়ারম্যান হন।
কর্মজীবনঃ
কম খরচে এবং সহজলভ্য প্রযুক্তির উদ্ভাবনের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনৈতিকভাবে বঞ্চিত মানুষের অবস্থা উন্নত করতে রাব্বানী কাজ করছেন। বাংলাদেশ একাডেমী অফ সায়েন্সেসের মতে তিনি তিনটি উল্লেখযোগ্য উদ্ভাবন করেছেন,
সৌর বিকিরণ ব্যবহার করে জল জীবাণুমুক্ত করার সহজ এবং কম খরচের পদ্ধতি:
এর ফলে কম খরচে পানি জীবানুমুক্ত করা সম্ভব হবে, এমনকি সারফেস লেভেলের পানিও আমরা জীবানুমুক্ত করে পান করতে পারব।
নানাবিধ রোগ নির্নয়ের নতুন পদ্ধতি-ফোকাস ইমপিডেন্স মেজারমেন্ট(Focused Impedance Method,(FIM)):
বর্তমানে রোগ নির্নয় মানে হাজার টাকার টেস্ট এর ঝাক্কি।অনেকেই চিকিৎসা দূরে থাক রোগ নির্নয়ের খরচ-ই জোগাড় করতে পারেনা। রাব্বানীর কাজের লক্ষ্য রোগ নির্নয় এর খরচ সবার সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসা। ফোকাসড ইম্পিডেন্স পদ্ধতির মাধ্যমে কম খরচে রোগ নির্নয় সম্ভব। সার্ভিক্যাল ক্যান্সার, ওরাল ক্যান্সার ইত্যাদি সৃষ্টি হয় কোষ পরিবর্তনের ফলে । পেটের মেদের পুরুত্বের সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন রোগের সম্পর্ক । এখনকার সময়ে সিটিস্ক্যান ও এমআরআই পদ্ধতিতে এসব রোগ নির্ণয় করতে হয় এবং এতে খরচ হয় প্রায় ১০ /১২ হাজার টাকা। শরীরের বিভিন্ন অংশের ‘ রেজিস্ট্যান্স পরিবর্তন চিহ্নিত করা হয় ফোকাস ইমপিডেন্স মেজারমেন্ট পদ্ধতিতে। রোগ নির্ণয় করা হয় এসব পরিবর্তন থেকে । ভাবতে পারেন? মাত্র দেড় থেকে দুইশ(১৫০/২০০) টাকায় এভাবে (FIM) রোগ নির্ণয় করা যাবে ! এ পদ্ধতিতে কম খরচে শারীরিক কন্ডিশন, জানা যাবে। লাঞ্জ বা পাকস্থলীর অবস্থা এবং বিশেষ কিছু ক্যান্সার নির্নয় করা সম্ভব এ পদ্ধতিতে।
স্নায়বিক রোগ নির্ণয়ের নতুন পদ্ধতি-ডিস্ট্রিবিউশন অব এফ ল্যাটেন্সি(‘Distribution of F-latency, (DFL):
রেফারেন্সঃ