বেলাল চৌধুরী,বিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙালি কবি যাকে ষাট দশকের সঙ্গে চিহ্নিত করা হয়। বেলাল চৌধুরী র জন্ম ১২ নভেম্বর, ১৯৩৮।
তিনি সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সম্পাদক হিসাবেও খ্যাতিমান। কাজের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি ২০১৪ সালে পেয়েছেন একুশে পদক।
তার #জলবিষুবের_পূর্ণিমা বই এর ব্যাক কভার থেকে তার সম্পর্কে কিছু কথা,
” কবিকর্মী ও সংস্কৃতি প্রেমীদের মনে ফেরে যে কবির নাম , তিনি বেলাল চৌধুরী । আজ গার্হস্থ্য এর তাঁবতে আশ্রয় নিলেও এক সময় প্রথাবিরােধী জীবনযাপনের মাধ্যমে তিনি এক কিংবদন্তীতে পরিণত হয়েছিলেন । কলকাতা ও ঢাকার সাহিত্যিক আড্ডাতে তাে বটেই এমনকি একাধিক বাংলা উপন্যাসেও একটি স্থান দখল করে বেলাল চৌধুরী । সনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর ‘ আত্মপ্রকাশ ’ উপন্যাসে একটি বিশিষ্ট চরিত্র হিশেবে বেলালকেই নির্বাচন করেছিলেন । শুধু প্রথা ছুট জীবনযাপনের জন্যেই খ্যাত নন তিনি , কৃত্তিবাসে’র মতো একটি উজ্জল চমক সষ্টিকারী পত্রিকার সম্পাদনা করে এবং সর্বোপরি কিছ , উৎকৃষ্ট কবিতা লিখে তিনি জমা করে নিয়েছেন প্রচুর স্বীকৃতি । বেলাল চৌধরী কখনাে খুব বেশি লেখেন না , কিন্তু যখনই লেখেন তখনই তিনি কাব্যানুরাগীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন । তিনি কখনাে কবিতার বাধা সড়কে হাঁটে না , একটু , অন্যরকম লিখতে চেষ্টা করেন তিনি এবং তাঁর কবিতা কথ্যচ্ছন্দে ফুটে ওঠে স্বকালের বিচণিত রপ , তার মর্ম মল – ছেড়া আর্তনাদ ।”
তার সৃষ্টির সংখ্যা অসংখ্য, অনবদ্য। তিনি যেমন লিখতে ভালোবাসতেন, আরো বেশি ভালো বাসতেন পড়তে।
২৪ এপ্রিল, ২০১৮ সালে বাংলার সাহিত্যাঙ্গনে এক মুঠো শূন্যতা ছড়িয়ে তার চির প্রস্থান ঘটে।
মৃত্যু: ২৪ এপ্রিল, ২০১৮।
সূত্র। উইকিপিডিয়া। লেখকের বই: #জলবিষুবের পূর্ণিমা#