সাকিবের জন্ম ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ।তার অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্য দিয়ে। সাকিবের শুরুটা ছিলো অল্রাউন্ডার হিসেবে। এখনো সে জায়গাটা বেশ শক্ত করেই ধরে রেখেছেন।বাম হাত্তি ব্যাটসম্যান , বলিং ও বামহাতি অর্থডক্স স্পিনার হিসেবেই করেন। বলারদের বিপক্ষে তার ব্যাট ধারালো তরবারি
হয়ে উঠে প্রায়।
বলিং টাও করেন বিশ্ব মানে। বা্ম হাতের ঘূর্নিজাদুতে অনেক নাম করা খেলোয়াড়ের উইকেট তিনি নিমিশেই তুলে নেন।
সাকিব বিকেএসপির প্রাক্তন শিক্ষার্থী।দলের নির্ভরযোগ্যতার প্রতীক তিনি। হয়ে উঠেন সময়ের সাথে দলের ওয়ান ম্যান আর্মি, দলের প্রান ভোমরা।২০১৫ সালে টেস্ট ,ওয়ানডে আর টি ২০ ক্রিকেটের এই তিন ফর্মেটে এক নম্বর অল্রাউন্ডার হয়ে উঠেন।সাকিব আল হাসান প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে ক্রিকেটে চার হাজারে রান করার গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হন৷ এছাড়া দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে টি২০তে ১০০০ রান ও ৫০ উইকেট লাভ করেন ৷
আসুন জেনে নি সাকিব আল হাসানের প্রথম দিকের জীবন ও তার ক্রীড়া প্রেম নিয়ে।
তারুন্যেই তার খেলার প্রতি ছিল অমোঘ টান।বড় হয়েছিলেন ফুটবল পাগল পরিবারে , এর পরেও কমেনি ক্রিকেটের প্রতি নেশা। নইলে আমরা আমাদের সাকিব আল হাসান কে পেতাম কিভাবে! তার অসাধারন ক্রিকেট দক্ষতার সুবাদে তাকে গ্রামে গ্রামে খেলার জন্য নিয়ে যাওয়া হত।সেখানেই একজন আম্পায়ার এর সুনজরে পরেন তিনি। যিনি তাকে সুযোগ করে দেন ইসলামপুর পাড়া ক্লাবের হয়ে খেলার যেটা মাগুরার ক্রিকেট লীগের একটি দল।সাকিবের ঘূর্নি জাদুর শুরু এখান থেকেই। তার ব্যাটিং ছিল আক্রমনাত্তক। ইসলামপুর দলের হয়ে তিনি প্রথম কাঠের বলে খেলা শুরু করেন। কাঠের বলে বল করলেন,এবং উইকেট পেলেন। প্রথম বলেই! , এর আগে তিনি টেপ টেনিস দিয়েই খেলতেন।
মাত্র ১৫ বছর বয়সেই সাকিব অনূর্ধব ১৯ দলে খেলার সুযোগ পান।২০০৫ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যেই সাকিব অনূর্ধব ১৯ এর হয়ে ১৮ টি এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন।৩৫.১৮ গড়ে সাকিব মোট ৫৬৩ রান সংগ্রহ করেন ব্যাটের সাথে পাল্লা দিয়ে ২০.১৮ গড়ে নেন মোট ২২টি উইকেট।২০০৫ এ অনূর্ধব ১৯ এর ফাইনালে ৮৬ বলে সেঞ্চুরি ও ৩ উইকেট নিয়ে দল কে জেতাতে ভূমিকা রাখেন।২০০৬ সালের জিম্বাবুয়ে সফরে প্রথম বাংলাদেশ জাতিয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান।একদিনের আন্তর্জাতিক খেলায় সাকিবের অভিষেক হয় ৬ই আগস্ট। তার সর্ব প্রথম শিকার হন এল্টন চিকাম্বুরা ।৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট, এই ছিল তাঁর সেদিনকার বোলিং ফিগার।ব্যাট হাতে ৩০ বলে ৩০ রান করে অপরাজিত থাকজেন। পরবর্তিতে চুক্তিবদ্ধ হন বোর্ডের সাথে।