হাসনাত করিম বসে আছেন ঘরের বারান্দায়। বসে আছেন বললে ভূল হবে , তিনি ইজি চেয়ারে বসে দোল খাচ্ছেন। আর তার মাথার ভিতরে হাজারো চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। এই যেমন তার ছেলে রিজুয়ান করিম এর দফারফা অবস্থার কথা।
সে আজ তাকে মুখের উপর বলে দিলো উপন্যাস, সাহিত্য সবই গাঁজাখুরি ব্যাপার। হাসনাত করিম তাকে ব্যাপারটা বুঝিয়ে উঠার আগেই ছেলে লাপাত্তা। গেছে হয়ত বন্ধুদের সাথে কোথাও। হাসনাত করিম কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে করেই হোক ঘুম ভাঙ্গবেন বলে।
____
রাত ১১ টায় রিজুয়ান ঘরে ঢুকলো। বাপের সামনে না পড়ার শত কায়দা করেও সে পার পেলনা, যখন সাক্ষাৎ ভূত দেখার মত বাপকে শোয়ার ঘরে বসে থাকতে দেখলো হাতে এক গাদা বই নিয়ে।
হাসনাত করিম ছেলেকে বাগে পেয়ে মিটি মিটি হাসছেন….
রিজুয়ান বুঝে গেলো এ রাত পার হবার নহে। মুখে তিক্ত হাসিয়ে ঝুলিয়ে সে বাপের পাশে গিয়ে বসল। বলেন আপনি আজকে কি বিশদ আলোচনা করবেন।
হাসনাত করিম চারটা বই রিজুয়ানকে ধরিয়ে দিয়ে বললেন। নে এ কটা বই পড়ে নে, তারপর আলোচনা হবে। জানিস তো মূর্খের সাথে তক্ক করতে নেই..
_______
রিজুয়ান অবিশ্বাস দৃষ্টিতে তার বাপের দিকে খানিক তাকিয়ে থাকলো, অনার্স পাশ ছেলেকে কিনা মূর্খ বলে!
____
রিজুয়ান আধাঁর রাতের মুসাফির পড়তে পড়তে যেন কোন এক গভীর অতীতে হারিয়ে যাচ্ছে। যত পড়ছে, তার পড়ার নেশা তত বাড়ছে। বইটার কয়েকপতা ঠাট্টায় উল্টাতে গিয়ে এখন তার চোখ সেখানে আঠার মত সেটে আছে।( চলবে)