পত্রিকার পাতায় চোখ পড়তেই মনটা বিষন্ন হয়ে উঠে সোনার বাংলাদেশের মা বোনদের ধর্ষিত হওয়ার খবরে। ধর্ষনের মত জঘন্য ঘটনা যেন নিত্যদিনের রুটিনে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত অহরহ ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে, আমরা দু চার লাইনের স্ট্যাটাস আর প্রতিবাদী কথা বলেই নিজের দায়িত্ব শেষ বলে মনে করছি। অথচ এভাবে অনলাইন আর অফলাইনে প্রতিবাদের অভিনয় করে ধর্ষন বন্ধ করা কখনোই সম্ভব নয়।
যারা ধর্ষনের মত জঘন্য অপরাধ করে, তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া ছাড়া আর কিছুই হতে পারেনা। ধর্ষনের পিছনে শুধু যে কিছু পুরুষ নামের অমানুষেরা দায়ী এটা পুরাপুরি সঠিক নয়। বাস্তব কথা হচ্ছে যারা অমানুষ, তারা যে কোন অপরাধ করতে পারে যে কারো সাথে। ৫ বছরের শিশুই হোক আর ১৬ বছরের কিশোরী মেয়ে, ৬০ বছরের বৃদ্ধা মহিলাকেও তারা ধর্ষন করতে ছাড়বেনা। আপনি কোন উপযুক্ত পদক্ষেপ নেয়া ছাড়া তাদের প্রতিহত করতে পারবেন না কোনভাবেই। মহান আল্লাহ নারী পুরুষ কে একে অপরের পোষাক হিসাবে উল্লেখ করেছেন পবিত্র কোরআনের সুরা নেসাতে। তবে সেটা বিয়ের পরে স্বামী স্ত্রীর ব্যাপারে। কিছু অমানুষ নারীকে জোর করে নিজের পোষাক বানাতে উঠে পড়ে লাগে অন্যায়ভাবে ধর্ষন করে। এটা দিন দিন মহামারীর আকার ধারণ করছে।
নারী মানেই শুধু ভোগের বস্তু নয়! নারীর ভিতরেই লুকিয়ে আছে মা, এই মা জাতীকে যারা অসম্মান করে, তাদেরকে অবশ্যই মৃত্যুর চেয়ে ছোট কোন শাস্তি দেয়া টা উচিৎ হবেনা। তবে ধর্ষনের যতগুলি ঘটনা ঘটে, এর বেশীরভাগই বেপর্দা নারীরা আক্রান্ত হচ্ছে, ছোট বাচ্চাদের যারা ধর্ষন করেছে, সেগুলি অস্বাভাবিক ঘটনা হিসাবে ধরা ছাড়া উপায় নেই। একজন পুরুষের ভিতরে চাহিদা আছে বলেই সে পুরুষ, কিন্তু তাদের চাহিদা পুরণে সাহায্য করে যাচ্ছে নারীরা। বেপর্দায় চলাফেরা করে পুরুষদেরকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করা নারীদের জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে, এ মর্মে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ নারীদেরকে হুশিয়ার করেছেন।
একজন পুরুষ তখনই আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে, যখন আপনার শরীরের আকর্ষণীয় অঙ্গ তার নজরে পড়বে। সে যেভাবেই হোক আপনাকে ভোগ করতে চাইবে, কারণ মানুষের ভিতরে যখন পাশবিকতা জেগে উঠে, ধর্মের বিধানের কথা তার মাথা থেকে শয়তান ভুলিয়ে দেয়! তাই নিজের চাহিদা পুরণে একজন অমানুষ পুরুষ সব কিছুই করতে পারে।
নারীরা হচ্ছে মধুর মত, তারা যদি নিজেদেরকে নিরাপদে ঢেকে না রাখে, তবে কিছু লোভী পুরুষ তাকে আহরণ করতে চাইবে অবশ্যই। জগতের সব পুরুষ যেমন ধর্ষক নয়! তেমনই সব নারীরা বেপরোয়া চলাফেরা করেনা! ভালোর মাঝে খারাপ না থাকলে ভালোর মুল্য থাকেনা। তাইতো ভালো মানুষের মুখোশ পড়া খারাপ মানুষ আমাদের আশেপাশেই উৎপেতে থাকে শিকারের অপেক্ষায়। নারীদেরকে তাই খুব সজাগ থাকতে হবে, নিজেদের জায়গা থেকে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে হবে।
নারীরা নিজেদেরকে মেয়ে ভাবলে চলবেনা, তারাও সবার আগে মানুষ। তাই নারীদের করণীয় হলো, নিজেদেরকে পর্দায় আবৃত রেখে ধর্মের হুকুমের প্রতি যত্নশীল হওয়া! আপনি যদি টাকার ব্যাগ রাস্তায় ফেলে রাখেন, একজন ভালো মানুষ ও তখন টাকা তুলে নেয়ার চিন্তায় থাকবে, অথচ নারী জাতি জগতের সেরা সৃষ্টির অন্যতম! তারা যদি বেহায়ার মত পুরুষদের সামনে নিজের দেহ প্রদর্শন করে যায়! তবে যে কোন পুরুষের মনেই লালসা জাগতে দেরী হবেনা। তাই নারীদের করণীয় হলো নিজেদেরকে পর পুরুষের কু দৃষ্টি থেকে রক্ষা করার যথাযথ ব্যবস্থা নিয়ে চলাফেরা করা। তবেই তারা নিরাপদে থাকবে। কোন হায়েনার হাতে নিজের ইজ্জত হারাতে হবেনা কোন নারী নামক মা কে।
যদি আমি ধর্ষনের জন্য নারীকে একাই দোষারোপ করি, তবে ভুল বলা হবে একদমই। একজন নারী স্বাধীনভাবে চলাফেরা করবে তাই বলে আপনি তার ইজ্জত লুটে নিবেন এটা হতে পারেনা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ পুরুষদেরকে হুকুম দিয়েছেন নিজের দৃষ্টির হিফাজত করার জন্য। আপনি সেই হুকুম অমান্য করে একজন নারীর ইজ্জত লুটে নিয়ে নারীদের বেপর্দা চলাফেরাকে দায়ী করবেন! এটা হতে পারেনা। পুরুষের প্রতি আল্লাহর হুকুম রয়েছে, বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টিপাত করা থেকে বিরত থাকতে, নইলে পরকালে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে।
তাই পুরুষের করণীয় হচ্ছে নারী জাতিকে সম্মান করা, একজন পুরুষ হয়ে নারীর প্রতি কু দৃষ্টি দেয়া থেকে বিরত থাকা। নারী আর পুরুষ নিজেরা ধর্মের হুকুম মেনে চলার পরেও ধর্ষনের ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবেনা। কারণ কিছু মানুষ থাকবেই, যারা সব কিছুর উর্ধে গিয়ে অন্যায় করেই যাবে। তাই রাষ্ট্রের কর্ণধারদের এগিয়ে আসতে হবে ধর্ষনের মত জঘন্য এবং ঘৃন্য কাজ বন্ধ করার লক্ষ্যে। অপরাধী যদি অপরাধ করার পরে কোন শাস্তি ছাড়াই পার পেয়ে যায়! তবে আরো ১০ জন ও অপরাধের প্রতি আগ্রহী হবে।
তাই রাষ্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবে অন্যায় প্রতিরোধে। সাধারণ মানুষের ও ভুমিকা রয়েছে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পিছনে, আপনি যদি অন্যায় করতে দেখেও পাশ কাটিয়ে চলে যান, তবে আপনি সেই অপরাধকে সমর্থন করলেন! তাই যার যার জায়গা থেকে অন্যায়ের প্রতিরোধ করতে হবে সাধ্যমত, নামমাত্র প্রতিবাদ কখনোই অন্যায় বন্ধ করতে পারেনা। ইসলামের হুকুম অনুযায়ী ধর্ষনের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড! তাই যারা ধর্ষন করবে, তাদেরকে জনসম্মুখে মৃত্যুদণ্ডের বিধান কার্যকর করলে অন্য ধর্ষকদের আত্মা শুকিয়ে যাবে। তারা নতুন করে ধর্ষনের চিন্তা তো দূর, কল্পনাও করবেনা। মানুষ যত কিছুই করুক, যেখানে নিজের জীবন চলে যাওয়ার প্রশ্ন! সেখানে একজন সাহসী পুরুষ ও ভয়ে থরথর করে কাঁপবে।
তাই নতুন করে আর কোন মা বোন মেয়ে ধর্ষিত হওয়ার আগেই সরকারকে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে, তবেই এ দেশে ধর্ষনের মত অপরাধ বন্ধ হবে। আমাদেরকে একদিন আল্লাহর সামনে নিজেদের কৃতকর্মের হিসাব অবশ্যই দিতে হবে, তাই পুরুষ যদি আল্লাহকে ভয় করে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকে, নারীরা যদি পরকালের শাস্তির ভয়ে বেপরোয়া চলাফেরা থেকে বিরত হয়ে ধর্মের হুকুম মেনে চলাফেরা করে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যদি ধর্মের হুকুম মেনে জনসম্মুখে প্রতিটি অপরাধের উপযুক্ত শাস্তি কার্যকর করা হয়! এ দেশে আর কোন ধর্ষনের ঘটনা ঘটবেনা ইনশাআল্লাহ। সবার আগে নারী পুরুষ উভয়কেই নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হবে। তবেই এ দেশের সবাই নিরাপদে থাকবে। আর কোন অন্যায় কিছু ঘটবেনা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে।
তাই নারী পুরুষ উভয়কেই নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গী বদলাতে হবে।
তবেই এ দেশের সবাই নিরাপদে থাকবে।
আর কোন অন্যায় কিছু ঘটবেনা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশে।
তাই নারী পুরুষ উভয়ের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে,
আপনারা যার যার জায়গা থেকে নিজের দৃষ্টিভঙ্গী বদলান, জীবন টায় বদলে যাবে।
আপনার চারপাশটা সুন্দর হয়ে উঠবে।
আমার সোনার বাংলাদেশটা সবার জন্য নিরাপদ আশ্রয় হবে।
প্লিজ! নিজের দৃষ্টিভঙ্গি টা বদলান,
লিখাটা আজ থেকে ৩ মাস আগে লিখেছিলাম।
একটি শব্দ ও উলট পালট করিনি।
করার প্রয়োজন ও নেই, ৩ মাস আগে যেটা লিখেছিলাম, বাস্তবতা ভেবেই লিখেছি।
লিখাটা আমার উপন্যাস “অবশেষে ভোর “ এ রয়েছে।
আজ নুসরাতের জন্যই লিখাটা পোস্ট করলাম।
আশাকরি এই সিস্টেম ফলো করলে নতুন করে কোন মায়ের কোল খালি হবেনা।
ধর্ষণ বন্ধের উপায়।
লিখেছেনঃ Mehedi Reyad
“অবশেষে ভোর “ বইটি প্রাপ্তির জন্য যোগাযোগ করুনঃ Mehedi Reyad
অথবা কল করুন 01726627749 এই নম্বরে।