নীল রংয়ের একটা ছাতা হাতে নিয়ে অামি হাটছি। অাকাশে তখনো ইলশেগুড়ি বৃষ্টি। অার অামাকে ছাতার মালিককে খুজে বের করতে হবে। কাল ঠিক যে জায়গাটায় দাড়িয়ে ছিলাম অাজ সেখানে কেউ নেই। একে একে যাত্রী বোঝাই করে বাসগুলো ছুটছে। ভাবতে লাগলাম তার কোনো একটিতে সে চলে গেছে। অথবা হয়ত অাজ সে কারো অপেক্ষাও করেনি।
পরক্ষনেই—-
— কি ব্যাপার অাজ এত দেরী করলেন যে? অামি সে কখন থেকে দাড়িয়ে অাছি। অামার বাস টা অাজও মিস গেল। (কিছুটা অনুযোগের স্বরে)
— সরি। অাসলে কখন যে দেরী হয়ে গেল বুঝতেই পারিনি। 😞 অামি তো ভাবলাম……….
অামাকে বলতে না দিয়েই সে বলে উঠল
— থাক, অার বলতে হবে না। এবার চলুন।
অামিও জিগ্গাসা করলাম না কোথায় যাবো। অামার উত্তরের অপেক্ষা না করেই সে হাটতে শুরু করলো। সুবোধ বালকের ন্যায় অামিও পাশাপাশি হাটছি।
ছাতাটা এগিয়ে দিয়ে বললাম,
— আপনার ছাতাটা,
— ও, অনেক ধন্যবাদ।
— অাচ্ছা অাপনার নাম টা জানা হলো না।
— অামি মিতু। অাপনার নাম?
— অামি ………।
— জ্বী মনে থাকবে অাপনার নামটা।
— অাপনার নামটাও মনে থাকবে।
মেয়েটি খুব সুন্দর করে অারো একটা হাসি উপহার দিলো। মেয়েদের হাসি সুন্দর হয়। টোল পড়লে অারো সুন্দর লাগে দেখতে।
মিতু অার অামি চুপচাপ পাশাপাশি হাটছি। ছোট্ট ছাতা। এ ছাতায় দুজন পাশাপাশি ধরে না। বৃষ্টিটা কিছুটা কমেছে। অামরা জানিনা তারপর ঠিক কি হবে। বৃষ্টি থেমে গেলে অামাদের দুজনের গন্তব্যই বা কি হবে। অামি ভাবতে লাগলাম, অাচ্ছা ক্ষনিকের দেখায় কি কখনো প্রেম হয়!!!! অামার হয়নি। অামার মনে হয় মিতুরও হয়নি। তবে হ্যা কিছু একটা হয়েছে। অার কিছু একটা হতে প্রেম লাগে না, একটা ছাতা লাগে।
লেখকের আরো লেখনী পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিঙ্কে