যদি কেউ ফট করে আপনাকে প্রশ্ন করে বসে,আপনি কয়টি স্কুলে পড়েছেন ? অনেকেই হাতে গুনে বলে দিবেন,আবার অনেকেই আঙ্গুলে গুনে হিসেব মিলাতে পারবেন না! অনেকেরি বাবার-চাচার আমলের স্কুল থাকে, মানে একটা ঐতিহ্য থাকে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রে এ কথা খাটেনা। বিশেষ করে সরকারী-চাকরীজীবি বাবা যাদের তাদের ভাগ্যে তো স্কুলের পর স্কুল।
আমার বাবা মোটেই সরকারী কর্ম-কর্তা ছিলেন না। তাই বলে আমার স্কুলের অভাব ছিলোনা। প্রথম পাঠ কোথায় সেটা সঠিক মনে নাও থাকতে পারে। বড় হতে হতে সবাইকে ,বিশেষ করে মাকে জিজ্ঞেস করে যত টুকু জেনেছে ততটাই মনে আছে ।
প্রথম জীবনে বেড়ে ওঠা হয় চট্টগ্রাম শহরের ২ নং গেটের আশেপাশে। সেখানেই একটা ভাড়া বাসায় মনিরা,সোকা আন্টি সহ আম্মুর বাস ছিলো । সাথে আমি আর আমার পাঁচ বছরের বড় আপু। সেখানেরই এক কেজি ইশকুলে আমার অ-ক-খ-গ-ঘ এর সূত্রপাট ঘটে। সেখানে কি পড়েছি আর কি পড়িনি সে কথা মনে আছে ছাই! শুধু হালকা মনে আছে একটা ব্যাগ আর সুন্দর ঢাকনা ওয়ালা একটা পানির বোতল নিয়ে স্কুলে যেতাম। ক্লাস শুরুর আগে জাতিয় সঙ্গীত এর সুর তোলার আয়োজন চলত। আমি গিয়ে দাড়াতাম পেছনটায়। কারন আমি রীতিমত দেড়িতেই যেতাম। তারপর সবার সুন্দর গলার সাথে নির্দ্দিধায় আমার হেড়েগলা জুড়ে দিতাম।
টিফিন ব্রেকের কথাই মনে আছে বেশি। আমাদের ছোটদের জন্য একটা ছোট পতাকা ছিলো লোহার দন্দে আটকানো। সবাই সেটার চারদিকে ছুটে বেড়াতাম । এর টিফিন ও খেতাম। টিফিন এর কথা বললেই তিনকোনা ক্রিম বন এর কথা মনে পড়ে সবার আগে। এখন সেই যুগ নেই। দাম মনে পড়েনা, ২/৩ টাকা হবে হয়ত। যত ইচ্ছে ক্রিম দিতো দোকানদার আঙ্কেল। আহ! সেই স্বাদ আজো মুখে লেগে আছে।
সম্ভবত স্কুল্টার নাম ছিলো আমিরুন্নেছা, এরপর সেখান থেকে শীফট হই ষোলশহর বা তাঁর আশেপাশের কোন স্কুলে। সেই স্কুলে আম্মুও টিচার ছিলো। আমি পড়ালেখায় খুব বেশি মেধার পরিচয় দি নি কখনোই। একবার তো রোল ৭৮ হয়ে নাচতে নাচতে বাড়ি এসেছিলাম,আর বলছিলাম,”ইশ একটুর জন্য ১০০ হইনি”। তা মনে পড়লে এখনো লজ্জার সাথে পুলোক অনুভব করি।
নার্সারী আর কেজি পড়তেই বছর তিন গাপ করে দিয়েছিলাম। এরপর ক্লাস ওয়ানের যাত্রা আর শহরে হয়নি। চলে গেলাম কালীপুরে,নিজ গ্রামে। গ্রামে যাওয়ার আনন্দে আত্মহারা ছিলাম। সেখানে গিয়ে কি পরিবেশে পরবো টের পাইনি আগে। কার মাধ্যমে কখন ক্লাস ওয়ানে ভর্তী হলাম এখন আর মনে নেই। বই এ যেমন পড়ে আসি ” অমুকের হাত ধরে আমি প্রথম দিন শ্রেনীতে প্রবেশ করেছিলাম,সেদিন আমি কখনই ভুলবোনা” এমনটা আমার ক্ষেত্রে কখনই ঘটেনি। আমি বেমালুম ভুলে বসে আছি সে সব দিনের কথা। যতটুকু মনে পড়ে তা ভর্তীর পরে কয়েকটি ক্লাস করে ফেলার পরের কথা।
************************************
বাড়ি থেকে স্কুল ছিলো মাত্র ৫ মিনিটের হাটা পথ। সেটা আমার জন্য। যারা জোরে হাটেন তাদের বড়জোর দু মিনিট লাগবে। ব্যাগ নিয়ে,জুতো মোজা পড়ে স্কুলে যাওয়ার পথে সবাই হাসা-হাসি করত। আমি কখনো কাউকে জিজ্ঞেস করিনি কেনো। একদা একদিন বুঝিতে পারিলাম!
সবাই খোলা পায়ে বা স্যান্ডেল পায়ে হাটে আর সবাই হাতের ভাজে অথবা মাথার উপর বই এর বোঝা বহন করে আর আমি একমাত্র জীব যে কিনা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে গমন করি। আমি ব্যাপারটা বুঝেই লজ্জায় পরে গেলাম। আস্তে আস্তে আমার রুপান্তর ঘটতে লাগলো ।
কিছু বন্ধুও জুটে গেলো। আমিও ধীরে ধীরে পদ-যুগল স্যান্ডেলের সহিত অভ্যাস্ত করে ফেললাম। আরো দু বছর যেতে না যেতেই আমি হাতের চাপে বই আর স্যান্ডেল পায়ে পাহাড়ি আর গ্রামের তাবদ ছাত্র-ছাত্রীর মত স্কুলে যেতে লাগলাম। বেশ ভালই লাগছিলো। তখনো স্কুলের বানান আমরা মাঝে মাঝেই ইশকুল লিখতাম বা ইশকুল বলতাম, আমি ভাবতাম ইশকুল বা স্কুল দুটোই লিখা যায় ।
একদিন শুনলাম ইশকুল এখন থেকে স্কুল রুপে লিখা হবে।
(স্কুল ইশকুল হবে নাকি ইশকুল -স্কুল হয়ে যাবে এটা নিয়ে আমি এই লেখা শুরুর আগেই দোটানায় ছিলাম। আরমান ভাইকে জিজ্ঞেস করইতে গেলাম-
“ভাই ,একটা কথা”
“বলে ফেলেন”
“আমাদের সময় ইশকুল বানান স্কুল হইসিলো , নাকি স্কুল বানান ইশকুল হইসিলো?”
“আরে শুনেন,ইশকুল তো লিখিত রুপ না…”
আমি পুরো না শুনে বল্লাম”ও, মানে আগে ইশকুল ছিলো পরে…”
“আরে না ,আগে ইশকুল ছিলোনা…”
“ও আমরা ভুলে…”
“আরে ধূর…” আরমান ভাই আমাকে আর বুঝাতে চাইলেন না। হতাশ হয়ে না বুঝানোর সীদ্ধান্ত নিলেন। আমি চাউনিতে বুঝিয়ে দিলাম এবার আর মাঝ পথে বাগড়া দিবোনা।
আরমান ভাই বলতে লাগলেন”আগে ইশকুল,ইশটিশন এসব বলত, সেটা লিখিত ছিলোনা, লিখিত হচ্ছে স্কুল”
“ও আচ্ছা” আমি বুঝে নিয়ে মানে মানে কেটে পড়লাম। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, দুমিনিটের মাথায় লিখতে বভস্তে গিয়েই আবার মাথায় ঘুরছে “ইশকুল আগে না স্কুল আগে!”
যাক! এখন লিখে ফেলেছি,আর ভয় নেই। ইশকুল থেকে স্কুল ই সই। )
সেদিনি স্কুলে গিয়ে একটা মারামারি বাধিয়ে দিলাম। দিব্বি গ্রামের স্কুলে মিশে আছি, এমন সময় সেখানেও আমার পাঠ চুকলো। পঞ্চম শ্রেনীর বৃত্তি পরীক্ষা তখন সামনে। এমন সময় আপু ইস্পাহানীতে টিকায় আমরাও আবার চট্টগ্রাম শহরে স্থান্তরিত হলাম। আমি শহর থেকে এসে ফাইভের পরীক্ষা আর বৃত্তি দিয়ে যাবো ঠিক হলো।
শহরে এসে আবার শহরের হাওয়া গায়ে লাগলো! মাঝ-খান থেকে আমি না শহরকে আপন করে নিলাম না গ্রাম কে। বা উভয়কে!
সবাই বৃত্তি নিয়ে মহা-ভয়ঙ্কর ভাবে উঠে পড়ে লেগেছে। আর আমি তখন তিগোর নেশায় মজেছি। বৃত্তি আমার কাছে তেমন মূল্যবান ছিলোনা। শহর থেকে গিয়ে গ্রামের সেন্টারে বৃত্তিও দেওয়া হলো, সে বৃত্তির ডগার দেখাও আমি পাইনি। আমি তাকে মূল্য দিনি সে আমায় দিবে কেনো!
এরপর চলে এলাম শহরের প্রান্তরে। আবার যুদ্ধ। ভর্তী যুদ্ধ। আমার উপর মোটামুটি ১৪৪ ধারা জারি হলো, কোথাও না টিকলে টিনের স্কুলে পড়াবে। সেটাতেও আমার তেমন সমস্যা ছিলোনা। সমস্যা হলো যখন আম্মু হুমকি দিলো”নাসিরাবাদে না টিকলে ,মেরে ফেলবে”। আগে যদি বুঝতাম সেটা নেহায়েত হুমকি ছিলো তবে ভর্তীর জন্য এত পড়তাম না। উঠেপরে পড়তে লাগলাম। আমার চেয়ে বেশি জোর দিলো আমার আপু। পরীক্ষা দিয়ে এলাম এক সন্ধিক্ষণে !
এর মধ্যেই শহরের বাসার সামনে বন্ধু জুটিয়েছি বেশ। চলছে খেলা। ভদ্র ছেলেদের কম্পিউটার আর ঘুরাঘুরি বাদ দিয়ে আমার সাথে ক্রিকেটের নেশায় মজালাম, আর আমি আরো বেশি মজে গেলাম। এখনো সেই ফখরুলের কথা আমার মনে আছে।
ভর্তীর ঘোষনার দিন চলে এলো। ফল-আনতে ঝুড়ি ছাড়াই গেলাম। সামনে আব্বু পেছনে আমি ,সাথে আপু। কোন-মতে আল্লাহ আল্লাহ করে যাচ্ছিলাম। মাঝে আব্বু বলে উঠলো” টিকলে এই পথে নাহলে…।” নাহলের পর তিনি আর কিছু না বল্লেও খারাপ ইঙ্গিত টা আমি ঠিকি ধরতে পারি, আর আমার পেটের ভেতরটা অজানা আতংকে কেমন যেন করে উঠে। বুক খালি খালি লাগে। ….. *************************************
রেজাল্ট এর বোর্ডে আমি আমার নাম খুজে পেলাম না। তাঁর পর আপুর চীৎকার শুনে বুঝলাম অন্য বোর্ডে আমার নাম আছে। আহ শান্তি! মাথায় আবার চিন্তা টা চলে আসলো”আজকের খেলাটা জম্বে,আমি এখন এখানের হয়ে গেলাম” ।
হ্যা আমি শহরের হয়ে গেলাম আবার। প্যান্ট ,শার্ট আর ব্যাগ নিয়ে ক্লাস সিক্সের ক্লাসে যাওয়া শুরু করে দিলাম। জুটিয়ে ফেললাম প্রথম লং লাস্টিং কিছু বন্ধু। রুমায়েত,মিজবাহ(ভাতিজা), তাহামিদ ,রিফাত আরো অনেকে্,… চলছিলো বেশ, শুধু বেশ না্, বলতে গেলে বেশি বেশ চলছিলো।
গ্রামের ছেলে বলে সবাই বোকা ভাবতো। এতে আমার সুবিধেই হতো। কারো অনেক কিছুই বুঝে যেতাম সে বুঝার আগেই। স্বপ্নের মতই চলছিলো ইশকুল! এর মধ্যে ভাতিজা মেজবাহদের সাথে একসাথে বাসা নিলাম । তাদের সাথে বাসা নেওয়ার আগে আমরা জি,ই,সি তে থাকতাম। তাদের সাথে বাসায় থাকাটা নানা কারন বসত বেশিদিন স্থায়ী হলোনা।
এর মাঝেই চলে এলো ক্লাস এইটের বৃত্তি পরিক্ষা। আমার আবার সেই কোনভাবে চালিয়ে নেওয়া পরা চলল। এতটুকুই মনে আছে, সব পারবো জেনেও ভাতিজা সহ পরীক্ষার হল থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়েছিলাম, খেলা ছিলো বলে!
সে সময় নিজের তাগিদেই পড়তাম। মাঝে মাঝেই দুই,তিন বা চার, রেঙ্কে চলে আসতাম। নিঝের মধ্যে একটা আলাদা কনফিডেন্স চলে আসছিলো। এখানেই কেটেছে আমার শিক্ষাজীবনের অতি আনন্দঘন দিনগুলো । সেই মাঠ যেখানে, এক চক্কর ঘুরে না আসলে ভাত হজম হতোনা, এখনো তাঁর কথা মনে পড়ে। মনে পড়ে পাটোয়ারি স্যার, আরিফ স্যারদের কথা। পাটোয়ারি স্যার আমাদের সাথে ফিল্ডে অনেকটা সময় কাটাতেন। আর আরিফ স্যার ছিলো আতঙ্কের আরেক নাম। তাঁর এমন কোন ক্লাস নেই যেখানে কারো না কারো গায়ে মার পড়েনি। তাঁর ক্লাস এলে , একেবারে যাকে বলে পিন ড্রপ সাইলেন্স। এতটাই সাইলেন্ট পরিবেশ যে, কেউ খুক করে কাশি দিলেও মনে হত বুঝি ক্লসে বোম ফুটলো। নেহায়েত শান্ত ছেলেটাও আরিফ স্যারের বেত্রাঘাত থেকে বেঁচে ফিরেনি। কেউ যদি থাকেন যে আরিফ স্যারের ক্লাসে থেকেও কখনো আরিফ স্যারের শাসনে শাসিত হননি,বা বেত্রাঘাতের শিকার হননি, সে চাঁদমুখ আমি একবার দেখতে চাই। হয়ত থাকতেও পারে তেমন কেউ! আরিফ স্যারের শেষ মার খেয়েছি ক্লাস নাইন এ সাইন্স নেওয়ার পর। নিউটনের ৩য় সূত্র ভুলে গিয়েছিলাম বলে।
ফাতেমা নার্গিস মেডামের কথা মনে আছে, আরো অনেক শিক্ষক শিক্ষিকার কথাই মনে আসছে।আরিফ স্যারের শাসন, ফাতেমা মেডাম,পাটোয়ারি স্যারদের কথা চিরদিন মনে থাকবে আমার।আর সহ-পাঠিদের কথা ভোলার প্রশ্নই আসেনা, মিজবাহ,রুমায়েত,সাখাওয়াত(সজারু-সাখাওয়াত), তাহামিদ,রিফাত, আরো কয়েকজনের নাম এই মূহুর্তে মনে পড়ছেনা। একতা মোটা করে কালো-লম্বা ছেলে ছিলো, তাঁর নামটা মনে পড়ছেনা বলে বড্ড আফসোস হচ্ছে।
মিজবাহ এখন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার,রুমায়েত একি,রিফাতের কথা ঠিক জানিনা, বন্ধু তাহামিদ দন্ত-বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সজারু সাখাওয়াত এখন কি করে আমি জানিনা। জানতে ইচ্ছুক,আশা করি সবার একদিন আবার দেখা হবে। তাদের সাথে টান-হেচড়া করে তিনগোন্দা পরার স্বাদ এখনো মন জুড়ে আছে।
সেই প্রানের শিক্ষক-শিক্ষিকা,সহপাঠিদের সাথে একদিন হঠাৎ বিচ্ছেদ হলো। সেই প্রানের স্কুল ও আমার ছাড়তে হলো। সেই দিনটা ছিলো আমার লাইফের একতা বড় সেটব্যাক। বা জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়া ঘটনা। ক্লাস নাইনের শুরুর দিকেই স্কুল থেকে টিসি নিয়ে চলে আসার দিন, নীরবে কেঁদেছিলাম, মাঠের এক কোনে গিয়ে , এখনো সে আফসোস যায়নি!
বিধি বাম, আমার আর নাসিরাবাদেও থাকা হলোনা। বলতে গেলেই এখানেইও আমার শিক্ষাজীবনের মধুরতম সময় অতিবাহিত হয়েছে। আব্বুর এক্সিডেন্ট হলো, মেজ আব্বু মারা গেলেন্… আমরা আবার বাড়িতে।
নাসিরাবাদ থেকে ক্লাস নাইনের ভর্তী বাতিল করে কালীপুরের এজাহারুল স্কুলে ভর্তী হলাম। ইচ্ছে ছিলো সাইন্স নিয়ে পড়ে সাইন্টিস্ট হব,সে আশায় গুড়েবালি। গ্রামের স্কুলে আর পড়ালেখায় মন টিকেনা।
গ্রামের স্কুলেও এসে ভর্তী হলাম সাইন্সে। ক্লাস নাইনে যাওবা পড়েছিলাম, ক্লাস টেনে উঠে পড়ালেখা শিকেয় উঠলো। বাদ গেলো স্কুলে যাওয়া। সবার কথা না মেনে, আবার এসে পড়লাম শহরে। মেট্রিক পরীক্ষার ঠিক ৩ মাস আগে। পাঠ্য বই নেই,! ঘুরে ঘুরে সময় কাটাচ্ছিলাম, আর গল্প বই পড়ছিলাম। শহর থেকেই গ্রামের সেন্টারে পরীক্ষা দিতে গেলাম সকাল সকাল সি,এঞ্জি করে। শুধুই যেতাম আর চলে আসতাম সাথে বই ছিলোনা, কারন পাঠ্য বই বাড়িতেই পরে ছিলো অনাদরে। কি পরীক্ষা দিতাম আমি নিজেই জানিনা! অপ্সনাল সাব্জেক্ট ছিলো উচ্চতর গনীত ,যখন শুনলাম সেটাই বৃত্ত ভড়াট করে আসলেই হবে, ফেল গেলে সমস্যা নেই তখন সীদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম। সেই পরীক্ষায় গিয়ে বৃত্ত ভরাট করে,১ ঘন্টার মাথায় বেরিয়ে আসলাম।
কেমন পরীক্ষা, কি পরীক্ষা দিলাম জানিনা, আল্লার রহমতে টপকে গেলাম সে যাত্রায় মেট্রিক!
এর পরের কাহিনী ভিন্ন ,সেটা স্কুলের সাথে যায়না। কাজেই অন্যদিন বলবো।
—জুনাইদ বিন কায়েস