যৌবন : মানুষের জীবনের স্বর্ণযুগ

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

কৈশর  পেরিয়েই যৌবন। তা কৈশোরে যে পোড়া আমি খেয়েছিলাম ,যৌবনের আগেই নিজেকে অনেকটা খোলোসের ভেতর  লুকিয়ে ফেলেছিলাম। নারি জাতীর বীভৎস রুপ কৈশরেই দেখেছিলাম। তাই যৌবনে সাবধান ছিলাম। যৌবন নিয়ে কি বা লিখব, কখন আসলো আর চলে যাচ্ছে তাই  বুঝে আসেনা। ইচ্ছা ছিলো যৌবন প্রেম ছাড়া পার করে দিব। কারন মানুষকে বিশ্বাস করা বড় দায় যে! নিজেকেই বিশ্বাস করতে পারিনা, আবার মানুষ কে! এক আল্লাহ ছাড়া , মা ছাড়া খুব কম জনকেই বিশ্বাস করতাম। মেয়েরা কথা বলতে ভয় ই পেত আমার সাথে।  অতি উৎসাহ দেখালে তোমার কি দরকার বলে দূর করে দিতাম। অনেক নারীর মাঝে দেখা ভয়ঙ্কর রূপ আমাকে তাঁদের বিশ্বাস করতে বাধা দিত। তাঁদের প্রতি ভালবাসার টান আসতই না।সাইক্রিয়াটিস্ট ডাকতারের ঘুমের ঔষধ খেয়ে , তখন নিয়মিত ঘুমাই। যাযাবর জীবনে তখন কিছুটা ছেদ পরলো। ,পথে পথে ঘুরা বন্ধ হলো। আমাদের সমাজে আবার সাইক্রিয়াটিস্ট এর কাছে গেলে তাকে পাগল বলে।  নিজের পরিবারের কাওকে নিয়ে যেতে হলে পরিবারের লোকজন লজ্জায় মরে, আর তাঁদের এই অনর্থক সমাজ লজ্জার কারনে অনেক শিশু কিশোর তাঁদের স্বাভাবিক জীবন হারায়। এটা যতদিন না সমাজ সুন্দর ভাবে মেনে নিবে ততদিন সমাজের অবক্ষয় অবধারিত। এখন সেই পথে পথে ঘুরার ভূত মাথা থেকে কিছুটা নেমেছে, সম্পূর্ন নয়। কি দরকার , থাকনা কিছুটা, আমার আবার সেই লেভেলের একজন দক্ষ মানুষ হওয়ার প্রয়োজনের তাগিদ আসেনা।

অনেক দক্ষেরা আছেন তারা চালিয়ে নিবেন বেশ। আমি বরং শিশু কিশোর দের দিকেই নজর দিব। যৌবনে কি করলাম! সবাই যা করে তা। প্রেম করিনাই তখন পর্যন্ত । যখন করলাম সিদ্ধান্ত নিলেম প্রেমের ছলে সময় কাটিয়ে লাভ কি!  আমাদের সমাজে আবার দশ টা প্রেম করলে ছেলে খারাপ হয় না। একটা প্রেম করে তাকেই বিয়ে করতে চাইলেই ছেলে টা খারাপ। আমাদের সমাজই , আমাদের বিজ্ঞরাই এখানে আবার এসে দাঁড়ায়। প্রেম করে বিয়ে করে ফেললেই জিনিশটা বৈধতা পায়, কিন্তু সমাজ প্রেম কে বৈধতা দেয়, এক দুটো নয় দশ বারোটা অবৈধ প্রেম কে হালকা নজরে দেখে। কিন্তু সে ছেলে বা মেয়ে যখন একটা প্রেম করে বিয়ে করে সম্পর্ক টা কে আইনত করতে চায়। আবার সমাজের বাগড়া। তাঁদের কে আরো একটা প্রেমের খেলার দিকে কিন্তু ঠেলে দিচ্ছেন, আপনারা, বিজ্ঞরা, বয়োজ্যোষ্ঠ রা। ভাববেননা আমি বিয়ে সেরে ফেলেছি। অনার্স সেকেন্ড ইয়ার এ একজন কে পছন্দ হয়। সমাজের কথা জানিনা! বলতে পারেন, মানিনা। এখন সে সম্পর্ককে আল্লাহ চাইলে বৈধতা দিয়ে ফেলার ইচ্ছে আছে।  প্রেম করলে দুষ্টামী, ঠিক হয়ে যাবে আর কেও সুন্দর, ধর্মীয় সম্পর্ক গড়তে চাইলে আপনাদের বাগড়া কেনো বলেন তো? আপনারা কি চান নিজেরাই জানেন না! সম্পর্কের বৈধতা নয় সামাজিক স্ট্যাটাস আপনাদের প্রাধান্যের বিষয়। আপনারাই তো যুব সমাজ কে খারাপ করে দিচ্ছেন তাঁদের প্রেমে বৈধতা আর বিয়েকে নিষিদ্ধ করে। সবাই অবশ্য নয়।

তো এটাই আরকি। যে সম্পর্কের গোড়া পত্তন কিছু বছর আগে, তাকে এখন ইসলামের  মতে বৈধতা দিতে চাই, সমাজের কথা ভেবে নিজের পাপ আর বাড়াতে চাইনা। আর যৌবনে বেশির ভাগ বোধয় আমার গল্প বই আর ঘুরেই কাটলো। এর মাঝে একোটা বিষয়ে জড়িত ছিলাম , আছি, সেটা হলো রক্ত। রক্ত সংরহ করে দেওয়া, আর নিজে দেওয়া।২০ তম বার রক্ত দান করে  এর মাঝে জীবনের অনন্য আনন্দের দেখা পেয়েছি। রক্তের প্রয়োজনে দিন রাত ছুটা ছুটি করতে খুবি ভালো লাগে। রাতের বেলায় কেও রক্তের জন্য ফোন করলে চট্টগ্রাম মেডিকেল এ ছুটে যাই। তবে আমার ভাগ্যে ছোট শিশুরাই বেশি পরে রক্ত দানের ক্ষেত্রে। একজন শিশুকেই  ৬ বার রক্ত দিয়েছিলাম, তার বাবা বিদেশ থেকে এখন মাঝ রাতে ফোন করে , কেমন আছি জিজ্ঞেস করে।আসলে রক্তের বন্ধন এর চাইতেও বড় মানবতার টান। কিছুদিন আগেই অনার্স শেষ করলাম। এখন লিখছি, এটাই কাজ। এটাই পেশা, নেশা। তবে , হ্যা তবে আমার লিখার জায়গাটা অন্য  ।গল্প,কবিতায় এখন মন মজেছে। আর কিছুটা অন্য জায় গায় লেখালেখি করি।লেখালেখির জগতে এসে দেখা হল আরমান ভাই মানে পথিক ভাই আর রেযোয়ান বা তিন পলি ভাই এর সাথে। ইমারান,রাকিব,ফাহিম ,নাইম ভাই এর সাথে। জীবনের সম্পর্কে নাজীম ভাই মন্তব্য “জীবন কচু পাতার পানি”। আরমান ভাই বলেন কচু পাতার পানি ঠুস করে পরলো আর ঠাস করে ফাটলো বলে। আমি কিছু না বলে তাঁদের কথা ধরে রাখার ব্যার্থ প্রয়াস চালাই কালি ও কলমে, বা টাইপ্রাইটারে এর মাধ্যমে ।এই তো যৌবন চলে যায়……। ধর্মের অনেক কিছু জানা বাকি। শিখা বাকি। যৌবনই এর উপযুক্ত সময় বৈকি। বাকিটা আল্লাহ জানেন, তিনি ই সব কিছু জানেনহ, ভালো মন্দ বিচারের ভার তার উপর ছেড়ে দিলাম।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন