তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্থপতি

Please log in or register to like posts.
পোস্ট
বাংলাদেশ, আকরাম_খান

তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্থপতিঃ

চট্টগ্রাম শহরের খানিক দক্ষিণে কাজীর দেউড়ী মোড়। পাশেই এম এ আজিজ স্টেডিয়াম। একসময় এখানকার ক্রিকেট তীর্থ বলা যায় একে। এই মাঠেই লুটোপুটি খেলে বেড়ে উঠেছেন এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেটের অবিসংবাদিত ব্যাটিং কিংবদন্তি, তামিম ইকবাল খান। তাঁর ভাই নাফিস ইকবাল খানও দৌঁড়ুছেন এখানটায়, তাদের চাচা আকরাম খান তো বটেই।

স্টেডিয়ামের পাশের অঞ্চলটা, যেখানে এখনও ‘ক্রিকেট’ আছে, যাকে ‘আউটার স্টেডিয়াম’ বলা হয়, ঠিক তার বিপরীতেই আছে খাজা রেস্টুরেন্ট। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের পারিবারিক রেস্টুরেন্ট তা। তামিম-নাফিসদের রেস্টুরেন্ট, আকরাম খানদের রেস্টুরেন্ট।
সেই রেস্টুরেন্টের একটু পরের গলি ধরে খানিক এগোলেই তামিমদের বাড়ি বা বাসা। কাজীর দেউড়ী মোড়ে যাওয়া যে কোনো ক্রিকেট দর্শকদের জন্যেই এক দর্শনীয় স্থান। রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে বিরাটাকায় ভবনটার সামনে দাঁড়িয়ে বা হাঁটতে হাঁটতে কেউ ফিসফিস করে, কেউ স্বাভাবিকভাবেই বলে- ঐ যে তামিমদের বাড়ি। সেই তামিম, যিনি প্রায় দশক-দুই আগে ছিলেন বছর-আটের ছোট্ট বালক। প্রবল বিস্ময় চোখে নিয়ে দেখছিলেন তাঁর বাসার সামনে কত্ত মানুষ! সবাই সমানে চিৎকার করছে ‘আকরাম খান, আকরাম খান’।

আজকের ‘তামিমদের বাসা’ হওয়ার আগে তখন যে তা ছিল সবার প্রিয় ‘আকরাম ভাইয়ের বাড়ি’!

*****

নাদুস নুদুস বলতে যেমনটা বোঝায় আকরাম খান যেন তা-ই। ইয়া বিশাল শরীর। তবে সেই শরীরের ভেতরে কোনো দানব বা দৈত্য-দানো বাস করে না, বুঝি চুপটি করে এক শিশু ঘুমিয়ে থাকে। আপনি আকরাম খান-কে মারুন, কাটুন, গাল পাড়ুন, মন্দ বলুন… যাই বলুন না কেন, মুখে রা-টি নেই। আছে শুধু হাসি। শিশুর মতো সরল হাসি। তাই বলে তিনি যে কিচ্ছু বোঝেন না তা নয়, বরং বোঝেন সব। কিন্তু তিনি আসলে রাগতে জানেন না। মানুষকে কটু বলতে পারেন না। তাই হাসেন। তাঁকে বকলেও হাসেন, তাঁর স্তুতিতেও হাসেন।
বিশাল শরীরের আকরাম খানের ভেতরটা যেন পুরোটাই সারল্য আর বড়ত্বে পরিপূর্ণ, সেখানে ঘৃণা বা কপটতা নামক কোনো কিছুর কোনো অস্তিত্ব যেন নেই।

তিনি শুধু শারীরিকভাবেই যে বিশাল তা নয়, ক্ষুদ্রতার অনস্তিত্বে তিনি মানুষ হিসেবেও বুঝি অনেক বড়, বিরাট, বিশাল।

*****

চট্টগ্রামের খান পরিবারের মতো ‘ক্রিকেট পরিবার’ বাংলাদেশে আছে আর ক’টা? মনে হয় একটাও নেই। বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এই পরিবার কী দেয়নি? তিন-তিনজন টেস্ট ক্রিকেটার, প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ে দাঁতে দাঁত চাপা সেঞ্চুরী, শততম টেস্টটাকে বিজয়-রঙে রাঙাতে ৫ম দিনের ভাঙা-পিচে দুর্দান্ত ৮২, এছাড়া আরও আরও কত কি!

বিশ্বক্রিকেটে একই পরিবারের সদস্যের প্রথম ও শততম টেস্ট খেলার নজির মাত্র তিনটি। পাকিস্তানের হানিফ মোহাম্মদ আর মুস্তাক মোহাম্মদ দুই ভাইয়ের একজন প্রথম টেস্ট খেলেছিলেন, অন্যজন খেলেছিলেন দেশের শততম টেস্ট। অন্যদিকে ডেভ গ্রেগরির ও সিড গ্রেগরি এই দুইজন চাচা-ভাতিজা মিলে একই কান্ডের নজির রেখেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে। আর বাংলাদেশে সেই বিরল কৃতিত্বের সাক্ষর রেখেছেন আকরাম খান ও তামিম ইকবাল খান।

তবে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সবচেয়ে বড় উপহারটা সম্ভবত দিয়েছিলেন আকরাম খানই। মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর শহরতলী থেকে ৩৫ কিলিমিটার দূরের সুগোই বুলোর আরআরআই (রাবার রিসার্চ ইনস্টিটিউট) মাঠে, যে ইনিংসটি খেলেছিলেন- তর্কসাপেক্ষে সেই ইনিংসটির উপরই দাঁড়িয়ে আজকের বাংলাদেশ ক্রিকেট!

*****

তখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে কেবল স্বপ্নভঙ্গের দীর্ঘশ্বাস। ‘৯০-এ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সম্ভাবনা জাগিয়ে সম্ভব হয়নি ১৯৯২-এর বিশ্বকাপ খেলা। জিম্বাবুয়ে ’৯২-তে টেস্ট পরিবারের সদস্য হয়ে গেলে বাংলাদেশের পথের কাঁটা কমে গেলো একটা। দেশের ক্রিকেটে জোর হাঁক, এবার বুঝি বিশ্বকাপ খেলা হয়েই যাবে। পড়শী দেশে বিশ্ব-আসর, এশিয়ার মাঠে বসবে নন্দন-মেলা, সেই নন্দনের সুশোভিত এক পুষ্প হয়ে যদি ফোটা যায়, তার চেয়ে আনন্দের বুঝি আর কিছু হয় না!

কিন্তু নিয়তি আর দূর্ভাগ্য বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আনন্দের পরিবর্তে উপহার দিল, বেদনার চোখের জল। কেনিয়ার কাছে হারতে হলো জয়ের খুব কাছে গিয়েও। ’৯৪-তে বাছাই-বাঁধা উতরাতে ব্যর্থ হয়ে, বাংলাদেশ হারালো ঘরের কাছে বিশ্বকাপ খেলার সুবর্ণ সুযোগ।

পরপর এমন স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় বিদগ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেটে কেমন সংশয়ের জোর হাওয়া। ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি খেলতে যাওয়া নিয়েও কত দোলাচল! অর্থের যোগান নেই, স্পন্সর নেই, অনুশীলন নেই, নেই কারো আগ্রহও। বারবার স্বপ্নের হোঁচট খাওয়া দেখে হয়তো ভাটা এসেছিল উৎসাহেও। তারপরও বাংলাদেশ গেল মালয়েশিয়া, আইসিসি ট্রফিতে অংশ নেবে বলে। আকরাম খানের নেতৃত্বে।

*****

সেবারের মালয়েশিয়ার পিচ ছিল খানিক স্লো, বোলিং বান্ধব। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১৩৮ তাড়া করতে গিয়েই ৫ উইকেট খোঁয়াতে হয়েছিল বাংলাদেশকে, ৫ উইকেট খুঁইয়েছিল ডেনমার্কের বিপক্ষেও। মালয়েশিয়ার বিপক্ষেও স্কোর বোর্ডে উঠেছিল মাত্র ২১১, তাও ৯ উইকেটের বিনিময়ে!

নেদারল্যান্ডের (তখনকার হল্যান্ড) বিপক্ষে ম্যাচটা সেই তুলনায় অনেক কঠিনই হওয়ার কথা। যদিও সেবার ঘরোয়া ক্রিকেটে আকরাম, নান্নু, বুলবুল, দুর্জয়, রফিক, আতহার, শান্তরা সবাই ছিলেন দুরন্ত ফর্মে। তাও বারবার খুব কাছে গিয়েও স্বপ্নের রঙ ফিঁকে হতে দেখা বাংলাদেশ সেবার ভীষণ সতর্ক। টস জিতে ফিন্ডিং নিয়ে হল্যান্ডকে মাত্র ১৭১-এ আটকে দিয়েই একটু স্বস্তি জুটেছে কী জোটেনি, তার মধ্যেই ১৩ রানে নেই ৩ উইকেট।

লাঞ্চের পর খানিক আয়েশ করার বদলে প্যাড-গ্লাভস পরে আকরাম খানকে ছুটতে হলো মধ্য-মাঠে। মাথায় তখন বিশাল চাপ। তাঁর দশাসই শরীরটার পুরো ভারও, সেই চাপের কাছে নস্যি!
সেই চাপ যে একটা জাতির, একটা দেশের ক্রিকেট ভবিষ্যতের শংকা-আশংকা আর সম্ভাবনা ঘিরে ছিল!

*****

লেফেব্রের সুইংয়ে টালমাটাল তখন বাংলাদেশ টপ অর্ডার। অন্যপাশ থেকে আসিমও ছড়াচ্ছিলেন ভীতি। এরমধ্যেই ১৫ রানের মাথায় আকরামকে একা রেখে ফিরলেন আতহারও। ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু’ পাড়ি দিতে আকরামের সঙ্গে যোগ দিলেন বহুদিনের পরীক্ষিত সহযোদ্ধা, চট্টগ্রামেরই আরেক সূর্যসন্তান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। নান্নুকে সাথে নিয়ে আকরাম খান তখন ধীরে ধীরে একটি একটি ইট গাঁথার কাজে মগ্ন, তিনি যেন ভীষণ মনোযোগী ও সুদক্ষ শ্রমিকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন।

এক ইঞ্চি এদিক-সেদিক করার উপায় নেই, একটু চোখ সরানোর উপায় নেই। তাহলেই ধ্বসে পড়বে বিশ্বকাপ-স্বপ্নে রাঙা বহুদিনের লালিত্য সেই স্বপ্নের ইমারত।

*****

আরআরআই মাঠে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। কুড়ি ওভার খেলা না হলেই ম্যাচ পরিত্যক্ত। বাংলাদেশ পেয়ে যাবে ‘১’ পয়েন্ট। ব্যস! তাতেই হবে। বিশ্বকাপ খেলতে যে বাংলাদেশ না হারলেই চলে!

কিন্তু বৃষ্টি আসতে এত দেরী করছে কেন?

আকরাম খানের হঠাৎ সাইটস্ক্রিন নিয়ে কত্ত সমস্যা! পিচ থেকে ময়লা সরাতে কত ব্যস্ততা! ফিল্ডারদের বাড়াবাড়ি নিয়ে আম্পায়ারকে কত্ত অভিযোগ! সব বৃষ্টিকে আসতে সময় করে দিতে, কুড়ি ওভার শেষ হতে আরেকটু দেরী করাতে। অথচ ২০ ওভারে ৩৭ করলেই হয়ে যেত বাংলাদেশের, কিন্তু তার জন্য উইকেটের পাশটা ‘শূণ্য’ হওয়ার দরকার ছিল। সেখানে ‘চার’ হয়ে যাওয়াতে বাংলাদেশের তখন ৭৭ করতেই হবে। কিন্তু এদিকে ৭৭ পর্যন্ত পৌঁছানোর কোনো সুযোগই নেই। তাই বৃষ্টির জন্য এমন ভীষণ প্রার্থনা আর বাড়াবাড়ি কামনা।

অবশেষে নিয়তি সেবার দল পালটে বাংলাদেশের পক্ষে এসে যোগ দিল। ১৮.৫ ওভার হতেই বৃষ্টি ‘ঝিরি ঝিরি’ থেকে স্বরুপে রুপ নিল। বেল তুলে নিলেন আম্পায়াররা। না-জিতেও জয়ের আনন্দে মশগুল হয়ে গেল পুরো বাংলাদেশ।

কিন্তু তখনো রঙ বদলের অনেক বাকী। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনিন্দ্য সুন্দর শ্রেষ্ঠ ইনিংসটা খেলা তখনো বাকী। তখনো যে আকরাম খানের ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্থপতি’ হওয়া বাকী!

*****

বৃষ্টি থেমে গেল একসময়। মাঠকর্মী আর গর্ডন গ্রিনিজদের মতো ক্রিকেট অন্তঃপ্রাণ মানুষদের ক্লান্তিহীন প্রচেষ্টায় মাঠও খেলার উপযোগী হয়ে গেল। বাংলাদেশের সামনে পরিবর্তিত লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ালো, ৩৩ ওভারে ১৪১। তার মানে পরের ৮৫ বল থেকে করতে হবে ঠিক ৮৫ রান!

কী কঠিন টার্গেট! কী বিষম চাপ! পুরো একটা জাতি, একটা দেশ তাকিয়ে আছে তাঁর দিকে। তিনি নেতা, অধিনায়ক; চাপের বিশালত্ব আর সময়ের মাহাত্ম্য বুঝতে একটুও দেরী হলো না তাঁর।

ওদিকে ঝকঝকে সূর্য জানান দিচ্ছে- যা করার করতে হবে নিজেদেরই। নিয়তির কাঁধে ভর দিয়ে পেরিয়ে যাওয়ার উপায় নেই আর। বিশ্বকাপেই যখন যাবে, তবে বিশ্বকেই তাক লাগানো কিছু করে যাও!

*****

খেলা শুরু হলে, আকরামকে ৭৭-এ রেখে ফিরলেন সহযোদ্ধা নান্নু। মণিও তাঁকে ‘একা’ করে বিদায় নিলেন ৮৬-তে। তখনো ৫৫ দরকার, ৫২ বলে।

এবার খোলস ছেড়ে বেরোলেন তিনি। মাছি তাড়ানোর মতো চাপটাকেও তাড়ানো শুরু করলেন। কাভার ও মিড উইকেট দিয়ে অনায়াসে খেলতে লাগলেন তাঁর ‘আকরাম স্পেশাল’ গুলো। ব্যাটিং করা যেন কত্ত সহজ! চাপ-তাপ কোথায় যে উড়ে গেছে! গোধুলী বেলার উড়ে আসা কোনো হাওয়ার সঙ্গেই বুঝি কোথায় হারিয়ে গেছে তা!

আকরামের ব্যাটে কী আস্থা আর দাপট! যেন তিনি জানেন, তিনি ইতিহাস করতে যাচ্ছেন। যেন তিনি জানেন, তিনি মহাকাব্য লিখছেন। যেন তিনি জানেন, তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এক নতুন উচ্চতায় তুলে দিচ্ছেন।
দলপতির আত্মবিশ্বাস সংক্রামকের মতো সঞ্চারিত হলো সাইফুলের ব্যাটেও। সাইফুলকে সাথে নিয়ে পরের ৬ ওভার থেকে আকরাম খান নিলেন যথাক্রমে ৬, ৭, ১২, ৮, ৮, ৭। ফলে শেষ ২ ওভার থেকে দরকার থাকলো, মোটে ৫ রান।

১০ বল বাকী থাকতে সাইফুল ফিরে এলেও, ৮ বল বাকী রেখেই দলকে জয়ের বন্দরে ভিড়িয়ে সতীর্থদের দিকে ছুটলেন আকরাম!

*****

কেবলমাত্র একটা ইনিংস দিয়ে একটা দেশের ক্রিকেটের গতিপথ নির্ধারণের ইতিহাস, বিশ্বক্রিকেটে দ্বিতীয়টি নেই। আকরাম খানের ঐ একটা ইনিংস দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলতে যায়, সেখানে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে মর্যাদার লড়াইয়ে জয়ও পায়। বাংলাদেশকে ক্রিকেটকে অন্য চূড়ায় তুলে দেয়া পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়টাও আসে, যার ফলে টেস্ট স্ট্যাটাস প্রাপ্তির আওয়াজটাও ভীষণ জোর গলায় করতে পারে বাংলাদেশ। আবার পাকিস্তানের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ৪২ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন আকরাম।
ও হ্যাঁ, নেদারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটাতে কিন্তু আকরাম খান দুটি উইকেটও পেয়েছিলেন!

৯২ বলে ৬৮ রানের যে ইনিংসে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আজকের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছিল, তাতে বাউন্ডারী ছিল ক’টি জানেন?
মাত্র তিনটি!

আকরাম খান সেদিন সত্যিই আমাদের চেনা-জানা ‘আকরাম খান’ ছিলেন তো?

*****

অনেকেই বলতে পারেন টেস্ট গড় যাঁর ১৬, সর্বোচ্চ ৪৩; একদিনের ক্রিকেটেও যিনি ২৩ গড়ের সাদামাটা একজন। তাঁকে নিয়ে এত উচ্ছ্বাস কেনো?

উপরের এতটা পাঠ-যাত্রা শেষে উচ্ছ্বাসের সে ব্যখ্যা দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে যে আর মনে হয় না! আপনি জানেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট জানে, জানি আমরা সবাই- আকরাম খান আসলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্থপতি! তিনিই বিনির্মাণ করেছেন আজকের বাংলাদেশ ক্রিকেট। তাঁর একটি ইনিংসের কল্যাণেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের আজকের এই জাঁকজমকে ভরা অবস্থান।

‘আকরাম ভাইয়ের বাড়ি’ থেকে ‘তামিমের বাসা’ তে রুপান্তরের মতো আকরাম খানের এই স্থপতির অবস্থানটা যেনো কখনোই রুপান্তরিত না হয়!

______

তথ্য সহযোগিতা

১. সেই সব ইনিংস : উৎপল শুভ্র
২. নায়ক : দেবব্রত মুখোপাধ্যায়
৩. দ্য খানস অব চিটাগং : মোহাম্মদ ইসাম (ক্রিকইনফো আর্টিক্যাল)
৪. শুভ জন্মদিন আকরাম খান, বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্মাতা : হাসান মাহবুব (সামহোয়্যার ইন ব্লগ) 

 

আরো লেখনী পড়তে ক্লিক করুনঃ           তামিমের ডায়েরী থেকে 

                                                         মাশরাফির বচন, মাশরাফির দর্শন

                                                              সাকিব আল হাসানের জীবনী

                                                     মজিদ সাহেবের রহস্যময় জীবন ( সম্পূর্ন)

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন