চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান-সলিমুল্লাহ খানের প্রাথমিক জীবন সম্পর্কে কিছু কথাঃ
প্রথমেই স্বীকার করে নিচ্ছি তাঁর সম্পর্কে আমি যা জানি তা খুবি কম। তবে যতটুকু জানি তাও কিছু লাইনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব নয়। তাই যা লিখতে আমি চেষ্টা করব সেটা তাঁর জীবন চরিত হতেই পারেনা বরং এটা হতে পারে তাঁর জীবন সম্পর্কে কিছু কথা মাত্র। কিছুদিন যাবৎ তাঁর সম্পর্কে পড়ছি এবং যতটাই পড়ছি ততটাই অভিভূত হচ্ছি। একটা মানুষ কতটা জানতে পারে ,জানাতে পারে!
যারা বিভিন্ন গণ মাধ্যমে তাঁর স্পিচ শুনেছেন, তারাও বোধকরি আমারি মতন অভিভূত হয়েছেন। এতটা সাবলিল এবং প্রাঞ্জল ভাবে একটা মানূষ বলে যেতে পারেন তখনি যখন যা বলছেন তা সম্পর্কে তাঁর অগাধ ধারণা থাকে।
কার্ল মার্ক্স, জাক লাকাঁ ও আহমদ ছফার চিন্তার ছায়া তাঁর চিন্তাধারা বা রচনায় পাওয়া যায়। তাঁর জন্ম হয় ১৯৫৮ সালের ১৮ আগস্ট , কক্সবাজার জেলায়। তাঁর বেড়ে ওঠা হয় মহেশখালীতে। পরিবারে চার ভাই ও তিন বোনের একজন তিনি। তাঁর বড় তিন ভাই ও ছোট তিনবোন রয়েছে। কক্সবাজারের সাথে তাঁর সুম্পর্ক অন্তরঙ্গ ভাবে রয়েছে সেই শৈশব থেকেই। তাঁর নানার বাড়ি কলার মার ছড়া, কক্সবাজার।
তাঁর বাবা ছিলেন একজন রাজনীতিবিদ। রাজনীতির ব্যাপারে তাঁর জ্ঞান বা আগ্রহের সূত্রপাত হয়তবা সেখান থেকেই। তাঁর বিশ্লেষণ ধর্মী ক্ষমতা, যেটার বিচ্ছুরণ প্রায়ই দেখা যায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমাজ, রাজনীতি, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের ক্ষেত্রে তা আসলেই অবাক করা।
কি প্রাঞ্জল বিশ্লেষণ, কি তাঁর ভাব ,কি অগাধ তথ্য তাঁর সঞ্চয়ে! এতটুকু জেনেই জানতে ইচ্ছে হয় তাঁর শিক্ষাজীবন সম্পর্কে। কোথায় তিনি পড়েছিলেন,কোথায় তাঁর বেড়ে ওঠা!
যখন জানতে পারি আমাদের চট্টগ্রামেই ই তাঁর শিক্ষাজীবনের বড় এক অধ্যায় এর ব্যাপ্তি ঘটেছিলো তখন মন থেকে খুশি হয়ে উঠি। চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট উচ্চ বিদ্যালয় এর সাথে জড়িয়ে আছে তাঁর নাম। পরবর্তিতে ভর্তি হন চট্টগ্রাম কলেজে। এখান থেকেই তিনি উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। এর পর শিক্ষার পরবর্তি ধাপের জন্য পাড়ি দেন ঢাকার পথে। ছাত্র অবস্থায় পরচয় ঘটে আহমদ ছফা ও জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাকের সাথে। পরবর্তিতে আশাকরি তাঁর সম্পর্কে আরো কিছু লিখব। আজ এই পর্যন্ত।