আমারজীবনী আড্ডা- কিছু জীবন ও গল্প

Please log in or register to like posts.
পোস্ট

পরিক্ষার হল থেকে বের  হয়েই হন্তদন্ত হয়ে প্রস্তুত হলাম আমারজীবনী আড্ডা এর  জন্য। আজ ডিসি হিলে আমারজীবনীর আড্ডা হওয়ার কথা ৩ থেকে ৪:৩০ পর্যন্ত। কিন্তু  পরিক্ষায় দু-পাতা না লিখতেই ক্লান্ত আমার,কেন জানি মন হচ্ছিলোনা । শীতের এই বিকেলে রোদ্দুরে গা ম্যাজম্যজে রকমের লাগছে।তার উপর মন ভালো নেই নানা কারনে।

তাছাড়া আড্ডায় আজ কজন যাবে সেটাও বুঝতে পারছিলাম না। হল থেকে বের হয়ে মোহসিন কলেজের নীচে,  গেটের কাছে আমরা কজন জমা হলাম। কে যাবে,কে যাবেনা করতে করতে মোটামুটি সবাই রওয়ানা দিলাম। মেয়েরা গাড়িতে আর আমরা পদব্রজে। গনি ব্যাকারি হয়ে, জামালখানে পায়ের ধূলো দিয়ে গিয়ে পড়লাম চেরাগির মোড়ে। সেখান থেকে ডিসি হিলের পথে। এদিকটায় আবার ফুলের ডালি সাজিয়ে বসে থাকে দোকানিরা। তুর্নার ঘন ঘন কল আসছিল,  আর তনিমাকে ডাকছিলো। সবাই তার কল ধরছেনা দেখে সে রাগে ফুসছে। এই তূর্না কে আমার আবার বানান নিয়ে খুব ভয়।ঘ্যাচাঘ্যাচ বানানের ভুল ধরতে সে বেশ অনেকদিন ধরে পোক্ত হচ্ছে। আর আমার টাইপিং সমস্যার কারনে ভূল থাকে প্রায়ই।

যাচ্চলে, কি বলতে গিয়ে কই চলে যাচ্ছি! আমি, সব্বির, মিজবাহ, সাইমুন, মাহামুদ পেছনে আর সামনে তাসমিয়া, রাজিয়া, তনিমা, রুমা আর নওরিন। সবাই ডিসি হিলে পৌছুলে কোথাও তাকে খুজে পাচ্ছিলাম না। সে তনিমাকে তূর্নার হস্তে সমর্পন করতে গেছে সেটা জেনে ধাতস্ত হয়ে বসলাম। ওদিকে ইভেন্টের সময় ঘনিয়ে আসছে। ডিসি হিলে আমারজীবনীর এটা প্রথম ইভেন্ট। মন থেকে চাইছিলাম যেন সুন্দর কিছু না হলেও অসুন্দরের ধাতে না পড়ে যাই!

মাহামুদ আগেই আমারজীবনীর টি-শার্ট পড়ে এসেছে আমার জীবনীর।  বাকি যা ছিল তাও আমরা ভাগাভাগি করে নিলাম। কজনের ক্ষেত্রে টি-শার্ট না থাকায় আমি মনে প্রানে আকন্ঠ লজ্জা অনুভব করছিলাম। কারন আমি জানি আজকের আড্ডাবাজরা ক্ষনিকের অতিথি নয়। তাই সবারি প্রাপ্য ছিল। যাচ্চলে, এবার শুনুন গল্প বাজ মিজবার কথা। তার গল্পেই মূলত আমাদের আড্ডার আসর জমে উঠলো। আড্ডার যে বিষয় ছিল- স্মরনীয় ও শিক্ষনীয় ঘটনা, সেটার সাথে মিল রেখে ভাই আমাদের দু- দুটো কাহিনি শুনিয়ে দিলো।

আমাদের পেছনেই ছিল দুজন বয়স্ক মানুষ। তারা আমাদের দিকে তাকিয়েছিল। আর তাসমিয়ার ডেকে কি জানি বলল,আমি ঠিক শুনিনি।

এরপর কথায়, আড্ডায় জমে উঠা আসর আরো পূর্নতা পেল সেই দুজনের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবুল চন্দ্র পালের জীবনী শুনে। সেটা আবার সরাসরি প্রচারে সহযোগিতা করলো মাহামুদ আর নওরিন। তার মুখ থেকে শুনা তার গল্প লিখব আবার নতুন করে।  তার অভিজ্ঞতায় পূর্ন গল্প শূনে আড্ডার যেন এক অন্যরকম পরিসমাপ্তি ঘটলো।

একে একে সবাই চলে গেলো। তূর্না আবার তনিমার অপেক্ষায় রয়ে গেলো! এ যেন ইতিহাসের চক্র সম্পূর্ন করা! আমি আর রুমা চললাম বাড়ির পথে। আড্ডায় যোগ দিতে না পারা তিন জনের সাথে আবার সান্ধ্য ভ্রমণে দেখা হলো। এভাবেই দিনান্তে আড্ডার মধুর  হলো। আসা করছি এমন আড্ডা ডিসি হিলে আবার হবে! আশা তো করাই যায়! নাকি? 

এ মাসের ২য় আমারজীবনী আড্ডা আশা করি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে।  আপনাদের কে জানিয়ে দেওয়া হবে ফেসবুক পেজে।  আমাদের সাথে থাকুন, আমারজীবনীর সাথে থাকুন, জীবনের সাথে  থাকুন।

১৩/০১/২০১৯

চট্টগ্রাম।

ফেসবুক কমেন্টস

Reactions

0
0
0
0
0
0
Already reacted for this post.

প্রতিক্রিয়া

মন্তব্য করুন